পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠনঠনিয়াতে শশধর পণ্ডিত প্রভৃতি সঙ্গে । >Qや পণ্ডিত। আজ্ঞা হা। মহাশয়, তীর্থে যাওয়া যা, আর কৌস্তুভ মণি ফেলে অন্য হীরা মাণিক খুজে বেড়ানোও তা। ... • শ্রীরামকৃষ্ণ। আর তুমি এইট জেনে, হাজার শিক্ষা দাও—সময় না হ’লে ফল হবে না। ছেলে বিছানায় শোবার সময় মাকে ব’ল্পে ‘ম ! আমার যখন হাগ পাবে, তখন তুমি আমায় উঠিও।' মা ব’ল্লে, ‘বাব, হাগাই তোমাকে উঠাবে, এজন্য তুমি কিছু ভেব না । ( সকলের হাস্ত ) ৷ g “সেইরূপ ভগবানের জন্য ব্যাকুল হওয়া। ঠিক সময় হ’লেই হয় । [ আচার্য্যের তিন শ্রেণী। পাত্রাপাত্র । ] “তিন রকম বৈদ্য আছে । “এক রকম আছে তারা নাড়ী দেখে, ঔষধ ব্যবস্থা ক’রে চলে যায়। কেবল রোগীকে ব’লে যায়, ঔষধ খেয়ে হে। এরা অধম থাকের বৈদ্য । “সেইরূপ কতকগুলি আচাৰ্য্য উপদেশ দিয়ে যায়, কিন্তু তাদের উপদেশে লোকের ভাল হ’ল কি মন্দ হ’ল, তা দেখে না । তার জন্য ভাবেন । “কতকগুলি বৈদ্য আছে, তার ঔষধ ব্যবস্থা ক’রে রোগীকে ঔষধ খেতে বলে । রোগী যদি খেতে না চায়, তা’কে অনেক বুঝায় । এরা মধ্যম থাকের বৈদ্য । সেইরূপ মধ্যম থাকের আচার্য্যও আছে । তারা উপদেশ দেন, আবার অনেক ক’রে লোকদের বুঝান, যা’তে তা’রা উপদেশ অনুসারে চলে । “আবার উত্তম বৈদ্য আছে। যদি মিষ্ট কথাতে রোগী না বুঝে, তা হ’লে তারা জোর পর্য্যন্ত করে। যদি দরকার হয়, রোগীর বুকে হাটু দিয়ে রোগীকে ঔষধ গিলিয়ে দেয়। সেইরূপ আবার উত্তম থাকের আচাৰ্য্য আছে। র্তার শ্বরের পথে আনবার জন্য শিষ্যদের উপর জোর পর্য্যস্ত করেন ।” * পণ্ডিত। মহাশয়, যদি উত্তম থাকের আচাৰ্য্য থাকেন, তবে কেন আপনি, সময় না হ’লে জ্ঞান হয় না এ কথা বললেন ? ... " শ্রীরামকৃষ্ণ । সত্য বটে। কিন্তু মনে কর, ঔষধ যদি পেটে না যায়— যদি মুখ থেকে গড়িয়ে যায়, তা হ’লে বৈদ্য কি ক’রবে ? উত্তম বৈদ্যও কিছু ক’রতে পারে না। , শ্রীরামকৃষ্ণ পাত্র দেখে উপদেশ দিতে হয়। তোমরা পাত্র দেখে উপদেশ দাও না। আমার কাছে কেহ ছোকরা এলে আমি আগে জিজ্ঞাসা করি, ‘তোর কে আছে ? মনে কর, বাপ নাই, হয় তো বাপের ঋণ আছে, তা হ’লে সে কেমন ক’রে ঈশ্বরে মন দিবেক ? শুনছে বাপু ?