পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• بر د: বৈষ্ণবপণ্ডিত বৈষ্ণবচরণও সর্বদা আসিতেন । তিনিই ঠাকুরকে কলুটোলায় চৈতন্যসভায় লইয়া যান। এই সভাতে ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ ভাবারিষ্ট হইয়৷ শ্ৰীচৈতন্যদেবের আসনে গিয়া উপবিষ্ট হইয়াছিলেন। বৈষ্ণবচণ চৈতন্য- ' সভার সভাপতি ছিলেন । বৈষ্ণবচরণ মথুরকে বলিয়াছিলেন, এ উন্মাদ সামান্য নহে,—প্রেমোন্মাদ । ইনি ঈশ্বরের জন্য পাগল ! ব্রাহ্মণী ও বৈষ্ণবচরণ দেখিলেন ঠাকুরের মহাভাবের : অবস্থা ! চৈতন্যদেবের ন্যায় তাহারও কখনও অন্তৰ্দ্দশা, (তখন জড়বৎ, সমাধিস্থ}; কখন অৰ্দ্ধবাহ ; কখনও বা বাহাদশ ! . ঠাকুর মা মা করিয়া কাদিতেন—সৰ্ব্বদা মার সঙ্গে কথা কহিতেন। মার। কাছে উপদেশ লইতেন। বলিতেন, ‘মা তোর কথা কেবল শুনবো; আমি শাস্ত্রওঁ । জানি না, পণ্ডিতও জানি না। তুই বুঝাবি তবে বিশ্বাস করবো।’ ঠাকুর । জানিতেন ও বলিতেন, যিনিই পরব্রহ্ম, অখণ্ড সচ্চিদানন্দ, তিনিই মা । ঠাকুরকে জগন্মাত৷ বলিয়াছিলেন, ‘তুই আর আমি এক ! তুই ভক্তি নিয়ে থাকৃ—জীবের মঙ্গলের জন্য । ভক্তেরা সকলে আসবে। তোর তখন কেবল । বিষয়ীদের দেখতে হবে না ; অনেক শুদ্ধ কামনাশূন্ত ভক্ত আছে, তার আসবে। ঠাকুরবাড়ীতে আরতির সময় যখন কাসর ঘন্টা বাজিত, তখন । শ্রীরামকৃষ্ণ কুঠীতে গিয়া উচ্চৈস্বরে ডাকিতেন, “ওরে ভক্তেরা, তোরা কোথায় । কে আছিস শীঘ্র আয় ।” . - মাতা চন্দ্ৰমণী দেবীকে ঠাকুর জগজ্জননীর রূপান্তর জ্ঞান করিতেন ও সেই ভাবে পূজা করিতেন। জ্যেষ্ঠ ভ্রাত রামকুমারের স্বৰ্গলাভের পর মাতা পুত্র । শোকে কাতর হইয়াছিলেন ; তিন চার বৎসরের মধ্যে র্তাহাকে কালীবাড়ীতে? আনাইয়া নিজের কাছে রাখাইয়া দিয়াছিলেন ও প্রত্যহ তাহাকে দর্শন, তাহার পদধূলি গ্রহণ ও মা কেমন আছ জিজ্ঞাসা করিতেন । । - ঠাকুর দুইবার তীর্থে গমন করেন। প্রথমবার তাঙ্গর মাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া যান, সঙ্গে শ্ৰীযুক্ত রাম চাটুয্যে ও মথুর বাবুর কয়েকটা পুত্র। তাহার অবস্থাস্তরের ৫৬ বৎসরের মধ্যে। তখন ঠাকুর অহৰ্নিশি প্রায়ই সলাধিস্থ বা ভাবে গর্গর মাতোয়ারা। এবার বৈদ্যনাথ দর্শনান্তর ভকাশীধাম ও প্রয়াগ দর্শন হইয়াছিল। দ্বিতীয়বার তীর্থ গমন ইহার ৭৮ বৎসর পরে—মথুর বাবু ও তাহার স্ত্রী জগদম্বা দাসীর সঙ্গে। ভাগিনেয় হৃদয় এবার সঙ্গে ছিলেন। এ যাত্রায় ।