পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিতির ব্রাহ্মসমাজ পুনৰ্ব্বার দর্শন »ዓ © শুন' এ অভিমান না থাকলেই হলো। অহঙ্কান জ্ঞানে হয়, না অজ্ঞানে হয় ? যে নিরহঙ্কার, তারই জ্ঞান হয়। নীচু জায়গায় বৃষ্টির জল দাড়ায়, উচু জায়গা থেকে গড়িয়ে যায়। - ஆம் “যতক্ষণ অহঙ্কার থাকে, ততক্ষণ জ্ঞান হয় না, আবার মুক্তিও হয় না। এই সংসারে ফিরে ফিরে আসতে হয়। বাছুর হাম্বা হাম্বা ( আমি আমি ) করে তাই অত যন্ত্রণা। কষায়ে কাটে, চামড়ায় জুতা হয় ; আবার ঢোল ঢাকের চামড়া হয় ; সে ঢাক কত পেটে, কষ্টের শেষ নাই ! শেষে নাড়ী থেকে তাত হয়, সেই তাতে যখন ধুহুরীর যন্ত্ৰ তৈয়ার হয়, আর ধুমুরীর তীতে তুহু তুহ ( তুমি তুমি ) বলতে থাকে—তখন নিস্তার হয়। এখন আর হাম্বা হাম্ব। (আমি আমি ) বলছে না ; বলছে, তুহু তুহু (তুমি, তুমি) অর্থাৎ, হে ঈশ্বর, তুমি কর্ত, আমি অকৰ্ত্ত, তুমি যন্ত্রী, আমি যন্ত্র ; তুমিই সৰ। - [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গুরুবাদ । ] o ఛ “গুরু, বাবা ও কৰ্ত্ত, এই তিন কথায় আমার গায়ে যেন কাটা বেঁধে । আমি মার ছেলে, আমি চিরকাল বালক, আমি আবার বাবা কি ? ঈশ্বর । কৰ্ত্তা, আমি অকৰ্ত্তা, তিনি যন্ত্রী, আমি যন্ত্র। . . . . . “যদি কেউ আমায় গুরু বলে, আমি বলি, ‘দুর শালা, গুরু কি রে ?” এক সচিদানন্দ বই আর গুরু নাই। তিনি বিনা আর কোন উপায় নাই। তিনিই একমাত্র এই ভবসাগরের কাণ্ডারী। । ( বিজয়ের প্রতি ) । আচাৰ্য্যগিরি করা বড় কঠিন। ওতে নিজের হানি হয়। অমনি দশজন মানচে দেখে, পায়ের উপর পা দিয়ে বলে, “আমি বলছি আর তোমরা শুন । এই ভাবটা বড় খারাপ। তার ঐ পৰ্য্যন্ত ! ঐ একটু মান ; লোকে হদ ব’লবে, ‘আহ, বিজয় বাবু বেশ বল্লেন, লোকটা খুব জ্ঞানী । ‘আমি বলছি, এ জ্ঞান কোরো না । আমি মাকে বলি, 'ম, তুমি যন্ত্রী, আমি যন্ত্র, যেমন করাও তেমনি করি, যেমন বলাও তেমনি বলি ।” । বিজয় ( বিনীতভাবে ) । আপনি বলুন, তবে আমি গিয়ে বোসবো । , ত্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে) । আমি কি ব’লবো ; চাদ মামা সকলেরই মাম। তুমিই তাকে বলে যদি আন্তরিক হয়, তা হ’লে কোন ভয় নাই। । বিজয় আবার অনুনয় করাতে শ্রীরামকৃষ্ণ বলিলেন, "" איו আছে তেমনি করোগে ; আস্তৱিক তার উপর ভক্তি থাকলেই ষ্ট্ৰেী í তদনন্তর বিজয় বেদীতে আসীন হইয়া ব্রাহ্মসমাজের পঞ্জ