পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত। ত্ৰন্ত্ৰোদশ 26th OCTOBER, 1884. প্রথম পরিচ্ছেদ । [ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে । ] চল ভাই, আবার তাকে দর্শন করতে যাই। সেই মহাপুরুষকে, সেই যালককে দেখিব, যিনি মা বই আর কিছু জানেন না ; যিনি আমাদের জন্য দেহ ধারণ ক’রে এসেছেন—তিনি ব’লে দেবেন, কি ক’রে এই কঠিন জীবনL সমস্ত। পূরণ করতে হবে ! সন্ন্যাসীকে ব’লে দেবেন, গৃহীকে ব’লে দেবেন। অবারিত দ্বার। দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ীতে আমাদের জন্য অপেক্ষা ক'বৃছেন । চল, চল, তাকে দেখবো । “অনন্ত গুণাধার প্রসন্নমুরতি, শ্রবণে যার কথা অণথি ঝরে ।” চল ভাই, সেই অহেতুককৃপাসিন্ধু, প্রিয়দর্শন, ঈশ্বর প্রেমে নিশিদিন মাতোয়ার, সহাস্তবদন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দশন ক’রে মানব-জীবন সার্থক করি ! y আজ রবিবার, ২৬শে অক্টোবর, ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দ। হেমন্তকাল। কাৰ্ত্তিকের শুক্লাসপ্তমী তিথি । . . দু'প্রহর বেল। ঠাকুরের সেই পুৰ্ব্ব-পরিচিত ঘরে ভক্তের সমবেত হইয়াছেন । সে ঘরের পশ্চিম গায়ে অৰ্দ্ধচন্দ্রাকার বারাগু। বারাওরি পশ্চিমে উদ্যান-পথ ; উত্তর দক্ষিণে যাইতেছে । পথের পশ্চিমে মা কালীর পুষ্পোন্তান, তাহার পরেই পোস্ত; তৎপরে পবিত্র-সলিলা দক্ষিণবাহিনী গঙ্গা। ভক্তেরা অনেকেই উপস্থিত আছেন। আজ আনন্দের হাট । আনন্দময় ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঈশ্বরপ্রেম ভক্তমুখদর্পণে মুকুরিত হইতেছিল। কি আশ্চৰ্য্য ! আনন্দ কেবল ভক্ত-মুখদর্পণে কেন ? বাহিরের উষ্ঠানে, বৃক্ষপত্রে, নানাবিধ যে কুহুম ফুটিয়া রহিয়াছে তন্মধ্যে, বিশাল ভাগীরথী বক্ষে, রুবিকুরপ্রদীপ্ত নীল নভোমণ্ডলে, মুরারিচরণচ্যুত-গঙ্গাবারিকণবাহী শীতল সমীরণ মধ্যে, এই আনন্দ প্রতিভাসিত হইতেছিল। কি আশ্চৰ্য্য ! সত্য সত্যই ‘মধুমৎ