পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३.२8 ঐত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত [ ১৮৮৫,১১ মার্চ । এই বলিয়া নরেন্দ্রের গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন, ও বলিতেছেন, ‘হরি ওঁ, হরি ওঁ, হরি ওঁ । কেন এরূপ করিতেছেন ও বলিতেছেন ? ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কি নরেন্দ্রের. মধ্যে সাক্ষাং নারায়ণ দর্শন করিতেছেন? এরই নাম কি মানুষে ঈশ্বরদর্শন ? কি আশ্চৰ্য্য ? দেখিতে দেখিতে ঠাকুরের সংজ্ঞা যাইতেছে । ঐ দেখ, বহির্জগতের। হুস চলিয়া যাইতেছে। এরি নাম বুঝি অৰ্দ্ধবাহদশা—যাহা শ্ৰীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল। এখনো নরেন্দ্রের পায়ের উপর হাত— যেন ছল করিয়া নারায়ণের পাটিপিতেছেন—আবার গায়ে হাত বুলাইতেছেন। অ্যাতে গা টেপ, প। টেপা কেন ? এ কি নারায়ণের সেবা ক’বৃছেন, না শক্তি সঞ্চার করছেন ? দেখিতে দেখিতে আরো ভাবাস্তর হইতেছে। এই আবার নরেন্দ্রের কাছে হাতজোড় ক’রে কি ব’লছেন । ব’লেছেন,—“একটা গান (গ )—তা’হলে ভাল হ’বে ;--উঠতে পারবো কেমন ক’রে!—গোর প্রেমে গর্গর মাতোয়ারা (নিতাই আমার )—” কিয়ৎক্ষণ আবার অবাক ; চিত্ৰপুত্তলিকার মত চুপ ক’রে রহিয়াছেন। আবার ভাবে মাতোয়ারা হয়ে ব’লছেন— “দেখিস রাই—যমুনায় যে পড়ে যাবি-কৃষ্ণপ্রেমে উন্মাদিনী!” আবার ভাবে বিভোর ! বলিতেছেন ;– - ”সখি ! সে বন কত দূর । ( যে বনে আমার শু্যাম সুন্দর । ) ( ঐ যে কৃষ্ণ-গন্ধ পাওয়া যায় ! ) ( আমি চলিতে যে নারি )* এখন জগৎ ভুল হয়েছে—কাহাকেও মনে নাই—নরেন্দ্রের সম্মুখে, কিন্তু নরেন্দ্রকে আর মনে নাই—কোথায় বসে আছেন, কিছুই হুস নাই। এখন যেন প্রাণ ঈশ্বরে গত হ’য়েছে । ‘মদগত-অন্তরাত্মা’ । ‘গোরাপ্রেমে গর্গর মাতোয়ার। —এই কথা বলিতে বলিতে হঠাৎ হুঙ্কার দিয়া দণ্ডায়মান! আবার রসিতেছেন ; বসিয়া বলিতেছেন — । “ঐ একটা আলো আসছে দেখতে পাচ্ছি –কিন্তু কোন দিক দিয়ে আলোটা আসছে এখনো বুঝতে পারছি না।” । . এইবার নরেন্দ্র গান গাইতেছেন—