পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२.२७ ঐত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত। ১৮৮৫, ১১ মার্চ। SAASA SAASAASSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS AA SAASAASAASAAAS iMASeeSeSeASAeASAeSeeMSeeAMAeeMAeMAeAeAeeSAeeSeeSeeeSAeeAeS حسیس حبس حیات امنیتی مسیحیح جه ছটাক বুদ্ধি ; এর দ্বারা আর কি বুঝবে ঈশ্বরের কথা ! একসের বাটতে কি চার সের দুধ ধরে ? তবে অবতার বিশ্বাস কিরূপে হয় ? ঠাকুর ব’ল্লেন ঈশ্বর যদি দেখিয়ে দেন দপ, ক’রে, তাহ’লে এক দণ্ডেই বুঝা যায় ! Goethe মৃত্যুশয্যায় বলেছিলেন, "Light ! More Light !” তিনি যদি দপ, ক’রে আলো জেলে দেখিয়ে দেন ! তবে— “ছিদ্যন্তে সৰ্ব্বসংশয়াঃ” “যেমন Palestine এ মৃর্থ ধীবরের Jesusকে পূর্ণাবতার দেখেছিলেন, অথবা যেমন শ্ৰীবাসাদি ভক্ত শ্ৰীগৌরাঙ্গকে পূর্ণাবতার দেখেছিলেন। “যদি দপ, ক’রে তিনি না দেখান তা হ’লে উপায় কি ? কেন ? যে কালে ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণ বলছেন ও কথা, সে কালে অবতার বিশ্বাস করবো। তিনিই শিখিয়েছেন—বিশ্বাস, বিশ্বাস, বিশ্বাস —গুরুবাক্যে বিশ্বাস । আর “তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা। এসমুদ্রে আর কভু হ’বনাকে পথহারা ॥” “আমার তার বাক্যে—ঈশ্বরকৃপায়—বিশ্বাস হ’য়েছে ;—আমি বিশ্বাস করবো ; অন্যে যা করে করুক—আমি এই দেবদুলভ বিশ্বাস কেন ছাড়বো ? বিচার থাক। জ্ঞান চচ্চড়ি ক’রে কি আর একটা Faust হতে হবে ? আবার কি গভীর রজনী মধ্যে বাতায়নপথে চন্দ্রকিরণ আসিবে, ও আর একজন Faust একাকী ঘরের মধ্যে ‘হায়, কিছু জানিতে পারিলাম না, Science, Philosophy বৃথ। অধ্যয়ন করিলাম, এই জীবনে ধিক্‌ ; এই বলিয়া বিষের শিশি লইয়া আত্মহত্যা করিতে বসিবে ? না আর একজন Alastor অজ্ঞানের বোঝা বইতে না পেরে শিলাখণ্ডের উপর মাথা রেখে মৃত্যুর অপেক্ষা করিবে ? না, আমার এ সব ভয়ানক পণ্ডিতদের মত এক ছটাক জ্ঞানের দ্বারা এ রহস্ত ভেদ ক'বৃতে যাবার প্রয়োজন নাই। আর, এক সের বাটতে চার সের দুধ ধরলো না ব’লে,মরিতে যাবারও দরকার নাই। বেশ কথা,-- গুরুবাক্যে বিশ্বাস। হে ভগবন, আমায় ঐ বিশ্বাস দাও, আর মিছামিছি ঘুরাইও না । যা হবার নয়, তা খুজতে যাওয়াইও না । আর ঠাকুর বা শিখিয়েছেন, ‘যেন তোমার পাদপদ্মে শুদ্ধাভক্তি হয়—আমল, অহৈতুকী—ভক্তি ; আর যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ ন হই! কৃপা ক’রে এই আশীৰ্ব্বাদ কর । আবার, ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণের অদৃষ্টপূর্ব প্রেমের কথা ভাবিতে ভাবিতে মণি সেই তমসাচ্ছন্ন রাত্রিমধ্যে রাজপথ দিয়া বাড়ী ফিরিয়৷ যাইতেছেন।