পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামপুকুর বাটী। ঈশান, ডাক্তার সরকার প্রভৃতি ভক্ত সঙ্গে। ২৩৫ SAM AeSeSeAMAMSMAMMAMMAMMAMeAMAMAMAMAeSeSeAeeAAASAASAASAASAA MAeeMASASAeAMAeeAAAS ডাক্তার। স্বৰ্য্য উঠলে বরফ গ’লে জল হয় ; আবার জানেন, জল আবার নিরাকার বাষ্প হয় ? শ্রীরামকৃষ্ণ । অর্থাৎ ‘ব্ৰহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা এই বিচারের পর সমাধি হ’লে রূপ টুপ উড়ে যায়। তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি ( personal God ) ব’লে বোধ হয় না। কি তিনি, মুখে বলা যায় না । কে ব’লবে ? যিনি ব’লবেন, তিনিই নাই । তিনি তার ‘আমি’ আর খুজে পান না ! তখন ব্ৰহ্ম নিগুণ ( the Absolute ) । তখন তিনি কেবল বোধে বোধ হন। মন, বুদ্ধি atti čićxt dai His Ti ( the Unknown and Unknowable ) "তাই বলে, ভক্তি–চন্দ্র ; জ্ঞান—স্থৰ্য্য। শুনেছি, খুব উত্তরে আর দক্ষিণে সমুদ্র আছে। এত ঠাণ্ডা যে জল জমে মাঝে মাঝে বরফের চাই হয়। জাহাজ চলে না। সেখানে গিয়ে আটকে যায় ।” ডাক্তার। ভক্তিপথে মানুষ আটকে যায় । শ্রীরামকৃষ্ণ । হা, তা যায় বটে, কিন্তু তাতে হানি হয় না, সেই সচ্চিদানন্দসাগরের জলই জমাট বেঁধে বরফ হ’য়েছে। যদি আরও বিচার করতে চাও, যদি ‘ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা’ এই বিচার কর, তাতেও ক্ষতি নাই । জ্ঞানস্থয্যেই বরফ গলে যাবে ;—তবে সেই সচ্চিদানন্দসাগরই রইল । [ কাচ আমি ও পাকা আমি ; ভক্তের আমি । ] “জ্ঞান বিচারের শেষ সমাধি হ’লে, আমি টামি কিছু থাকে না। কিন্তু সমাধি হওয়া বড় কঠিন। আমি কোন মতে যেতে চায় না। আর যেতে চায় না বলে, ফিরে ফিরে এই সংসারে আসতে হয় । "গরু হাম্বা হাম্বা ( আমি, আমি ) করে, তাই এত দুঃখ । সমস্ত দিন লাঙ্গল দিতে হয়—গ্রীষ্ম নাই, বর্ষা নাই । কিম্বা তাকে কসাইয়ে কাটে । তাতেও নিস্তার নাই। চামারে চামড়া করে, জুতা তৈয়ার করে। অবশেষে নাড়ী ভূড়ী থেকে তাত হয়। ধুমুরির হাতে প’ড়ে যখন তুহু তুহু (তুমি, তুমি ) করে তখন নিস্তার হয় ! “যখন জীব বলে, ‘নাহং নাহং আমি কেহ নই, হে ঈশ্বর ! তুমি কৰ্ত্ত, আমি দাস তুমি প্রভু,—তখন নিস্তার, তখনই মুক্তি।” ডাক্তার। কিন্তু ধুমুরির হাতে পড়া চাই । (সকলের হাস্ত )। শ্রীরামকৃষ্ণ । যদি একান্ত ‘আমি না যাস, থাকু শালা ‘দাস আমি হয়ে । ( সকলের হাস্য ) । SASeeMSA SAASAASAAAS