পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামপুকুর বাট । সরকার, বিজয়, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্ত সঙ্গে । ২৫৭ AMMAMAMMMASAMMeeAMAM AMAMMAAAA همه محتیم محمابستقر দীঘিতে হাতী নামলে তোলপাড় হয় না ; কেউ হয় তো টেরও পায় না । শ্ৰীমতী সখীকে বল্লেন, “সখি তোরা তো কৃষ্ণের বিরহে কত কাদছিস ; কিন্তু দেখ, আমি কি কঠিন, আমার চক্ষে এক বিন্দুও জল নাই ।” তখন বৃন্দ। ব’ল্লেন, ‘সখি তোর চক্ষে জল নাই, তার অনেক মানে আছে । তোর হৃদয়ে বিরহ অগ্নি সদা জলছে ; চক্ষে জল উঠছে আর সেই অগ্নির তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে ? ডাক্তার । তোমার সঙ্গে তো কথায় পারবার যো নাই ! ( সকলের হাস্ত । ) [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ক্রোধজয় । ] ক্রমে অন্য কথা পড়িল । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের প্রথম ভাবাবস্থা বর্ণনা করিতেছিলেন। কাম ক্রোধাদি কিরূপে বশ করিতে হয়, সেই কথা হইতেছিল । ডাক্তার। তুমি ভাবে প’ড়েছিলে, আর এক জন দুষ্ট লোক তোমায় বুট জুতার গোজা মেরেছিল,—সে সব কথা শুনেছি। : - শ্রীরামকৃষ্ণ । মাষ্টারের কাছে শুনেছ। সে কালীঘাটের চন্দ্র হালদার । সেজে বাবুর* কাছে প্রায় আসতো । আমি ঈশ্বরের আবেশে মাটীতে অন্ধকারে পড়ে আছি । চন্দ্রহালদার ভাবতে, আমি ঢং ক’রে ঐ রকম হয়ে থাকি, বাবুর প্রিয়পাত্র হব বলে। সে অন্ধকারে এসে বুট জুতার গোজা দিতে লাগলো। গায়ে দাগ হ’য়েছিল । সবাই ব’ল্লে, সেজে বাবুকে ব’লে দেওয়া যাক্ । আমি বারণ করলুম ! ডাক্তার ৷ এও ঈশ্বরের খেলা, ওতেও লোক শিখবে । ক্রোধ কি রকম ক’রে বশীভূত করতে হয়। ক্ষমা কাকে বলে, লোকে শিখ বে। [ বিজয় ও নরেন্দ্রের ঈশ্বরীয় রূপ দৰ্শন । ] ইতিমধ্যে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সম্মুথে বিজয়ের সঙ্গে ভক্তদের অনেক কথা বার্তা হইতেছে। বিজয় । কে একজন আমার সঙ্গে সদাসৰ্ব্বদা থাকেন, আমি দূরে থাকৃ লেও তিনি জানিয়ে দেন, কোথায় কি হ’চ্চে । AC&R's guardian angelo NVE I «r বিজয় । ঢাকায় একে ( পরমহংসদেবকে ) দেখেছি ! গা ছুয়ে ! শ্রীরামকৃষ্ণ ( হাসিতে হাসিতে ) সে তবে আর একজন । নরেন্দ্র । আমিও এ কে নিজে অনেকবার দেখেছি । ( বিজয়ের প্রতি ) তাই কি ক’রে ব’লবো—আপনার কথা বিশ্বাস করি না !

  • ‘সেজোবাবু?—রাসমণির জামাতা । ঠাকুর গ্রীরামকৃষ্ণকে অতিশয় ভক্তি করিতেন ও শিষ্যের স্তায় সেবা করিতেন ।

> ግ