পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ ১৮৮২ মার্চ । وينا ছড়াইয়া দিয়াছিলেন । এই পঞ্চবটীর ঠিক পূৰ্ব্ব গায়ে একখানি কুটীর নির্শ্বাণ করাইয়া ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ তাহাতে আসিয়া অনেক ঈশ্বরচিন্তা, অনেক তপস্ত করিয়াছিলেন। এই কুটার এক্ষণে পাক হইয়াছে। পঞ্চবটীমধ্যে সাবেক একটা বটগাছ আছে । তৎসঙ্গে একটা অশ্বখগাছ । দুইটি মিলিয়া যেন একটা হইয়াছে। বৃদ্ধ গাছটা বয়সাধিক্যবশতঃ বহুকোটরবিশিষ্ট ও নানাপক্ষিসমাকুল ও অন্যান্য জীবেরও আবাসস্থান হইয়াছে । পাদপমূল ইষ্টকনিৰ্ম্মিত, সোপানযুক্ত, মণ্ডলাকারবেদীসুশোভিত। এই বেদীর উত্তর পশ্চিমাংশে আসীন হইয়া ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ অনেক সাধনা করিয়াছিলেন ; আর বৎসের জন্য যেমন গাভী ব্যাকুল হয়, সেইরূপ ব্যাকুল হইয় ভগবানকে কত ডাকিতেন ! আজি সেই পবিত্র আসনোপরি বটবৃক্ষের সখিবৃক্ষ অশ্বখের একটি ডাল ভাঙ্গিয়া পড়িয়া আছে। ডালট একেবারে ভাঙ্গিয়া যায় নাই। মূলতরুর সঙ্গে অৰ্দ্ধসংলগ্ন হইয়া আছে। বুঝি সে আসনে বসিবার এখনও কোনও মহাপুরুষ জন্মেন নাই । ১৪, ১৫ । ঝণ উতলা ও বেলতলা । কৃতী । পঞ্চবটীর আরও উত্তরে খানিকট গিয়া লোহার তারের রেল আছে । সেই রেলের ওপারে ঝাউতলা । সারি সারি চারিটি ঝাউগাছ। ঝাউতলা দিয়া পূৰ্ব্বদিকে খানিকট গিয়া বেলতলা। এখানেও পরমহংসদেব অনেক কঠিন সাধনা করিয়াছিলেন । ঝাউতলা ও বেলতলার পরেই উন্নত প্রাচীর । তাহারই উত্তরে গবর্ণমেণ্টের বারুদঘর (Magazine) । উঠানের দেউড়ী হইতে উত্তরমুখে বহির্গত হইয়া দেখা যায় সম্মুখে দ্বিতল কুঠী । ঠাকুরবাড়ীতে আসিলে রাণী রাসমণি, র্তাহার জামাই মথুরবাবু প্রভৃতি এই কুঠীতে থাকিতেন। র্তাহীদের জীবদ্দশায় পরমহংসদেৰ এই কুঠীর বাড়ীতে নীচের পশ্চিমের ঘরে থাকিতেন। এই ঘর হইতে বকুলতলার ঘাটে যাওয় স্বায় ও বেশ গজ। দর্শন হয়। في 3 بجےہی سہی ১৩। লণঅনল-মাজার ঘাট, গাজীতল ও ठूडे उवकल्लेन्दऽ । উঠানের দেউড়ী ও কুঠার মধ্যবর্তী যে পথ সেই পথ ধরিয়া পূৰ্ব্বদিকে যাইতে যাইতে ডানদিকে একটা বাধাঘাটবিশিষ্ট স্বন্দর পুষ্করিণী। মা-কালীর । মন্দিরের ঠিক পূৰ্ব্বদিকে এই পুকুরের একটি বাসনমাজার ঘাট ও উল্লিখিত পথের অনতিদূরে আর একটা ঘাট। ঐ পথপার্শ্বস্থিত ঘাটের নিকট একটা গাছ আছে, তাহাকে গাজিতলা বলে । ঐ পথ ধরিয়া আর একটু পূৰ্ব্বমুখে ।