পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামপুকুর বাট । সরকার, গিরীশ প্রভৃতি ভূক্ত সঙ্গে। ২৭১ SAAJJJAJAJAJAJJJJASMMMM MMMMMMMS MMMMM MMMMM MMMMMMMS MMMMM MMMM MMM AAAA SAAAAA AAAAM MASMAM AAAA AAAA AAAA AAAAJAJAMMAMS আনন্দ। শস্তু (মল্লিক ) বলেছিল—যখন আমি তার বাড়ীতে প্রায় যেতুম —“তুমি এখানে এস ; অবশ্য আমার সঙ্গে আলাপ ক’রে আনন্দ পাও তাই এস ;–ঐ টুকু আনন্দ আছে । R “তবে ওর উপর আর একটা অবস্থা আছে! বালকের মত যাচ্ছে ; কেন,—ঠিক নাই ; হয় তো একটা ফড়িঙ ধ’বৃছে।” - শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি ) । এর ( ডাক্তারের ) মনের ভাব কি tছা ? ঈশ্বরকে প্রার্থনা করা হয়, হে ঈশ্বর, আমায় সৎ ইচ্ছা দাও, যেন অসৎ কাযে মতি না হয় ! “আমারও ঐ অবস্থা ছিল । একে দাস্ত বলে। আমি মা মা ব’লে এমন কাদতুম যে, লোক দাড়িয়ে যেতো। আমার এই অবস্থার পর আমাকে বীড়বার জন্য, আর আমার ‘পাগলামি সারাবার জন্য তার একজন রাড় এনে ঘরে বসিয়ে দিয়ে গেল,—সুন্দর, চোক ভাল । আমি মা মা ব’লে ঘর থেকে বেরিয়ে এলুম, আর হলধারীকে ডেকে দিয়ে ব’ল্লুম, ‘দাদা, দেখবে এসো, ঘরে কে এসেছে। হলধারীকে আর সব লোককে ব’লে দিলুম। এই অবস্থায় মা মা ব’লে কাদতুম, কেঁদে কেঁদে ব’লতুম, ‘ম ! রক্ষা কর ; মা ! আমায় নিখাদ কর, মা ; যেন সৎ থেকে অসতে মন না যায় । ( ডাক্তারের প্রতি ) তোমার এ ভাব তো বেশ—ঠিক ভক্তিভাব, দাসভাব। [ জগতের উপকার ও সামান্য জীব । নিষ্কামকৰ্ম্ম ও কৰ্ম্মত্যাগ । ] ঐীরামকৃষ্ণ । যদি কারো শুদ্ধসত্ত্ব ( গুণ ) আসে, সে কেবল ঈশ্বর চিন্ত৷ করে, তার আর কিছু ভাল লাগে না । কেউ কেউ প্রারন্ধের গুণে জন্ম থেকে শুদ্ধ সত্ত্ব গুণ পায়। কামনাশূন্ত হ’য়ে কৰ্ম্ম করতে চেষ্টা ক’লে, শেষে শুদ্ধসত্ত্ব লাভ হয়। রজোমিশান সত্ত্ব গুণ থাকলে ক্রমে নানা দিকে মন হয়, তখন জগতের উপকার করবে। এই সব অভিমান এসে জোটে । জগতের উপকার এই সামান্য জীবের পক্ষে করতে যাওয়া বড় কঠিন। তবে যদি কেউ পরোপকারের জন্য কামনাশূন্ত হ’য়ে কৰ্ম্ম করে, তাতে দোষ নাই –একে নিষ্কাম কৰ্ম্ম বলে। এরূপ কৰ্ম্ম করতে চেষ্টা করা খুব ভাল ! কিন্তু সকলে পারে না ! বড় কঠিন। - “সকলেরই কৰ্ম্ম ক’বুতে হবে ; দু একটী লোক কৰ্ম্ম ত্যাগ করতে পারে। দু একজন লোকের শুদ্ধসত্ত্ব দেখতে পাওয়া যায়। এই নিষ্কাম কৰ্ম্ম ক’রতে ক’রতে . রজোমিশান সত্ত্বগুণ ক্রমে শুদ্ধসত্ত্ব হ’য়ে দাড়ায় । শুদ্ধসত্ত্ব হ’লেই ঈশ্বর লাভ হয় । “সাধারণ লোকে এই শুদ্ধসত্বের অবস্থা বুঝতে পারে না; হেম আমায় ব’লেছিল “কেমন ভট্টাচাৰ্য্যমহাশয়! জগতে মান লাভ করা মানুষজীবনের উদ্দেশ্য,কেমন ?”