পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Συηο ο আমি। যে আজ্ঞা । , ঠাকুর । যাবে ত ? ষেও কিন্তু । আমি । আপনার হুকুম হ’লো, তা মানবো না ? অবিশ্যি যাবো । ঠাকুর । আচ্ছ, যে ও । ঘরে ছবি কথান দেপালেন, পরে জিজ্ঞাস করলেন “বুদ্ধদেবের ছবি পাওয়া যায় ?” আমি শুনতে পাই পাওয়া যায়। ঠাকুর । সেই ছবি একখানি তুমি আমার দিও। আমি । যে আজ্ঞ, যখন ফের আসবে, নিয়ে আসবে। আর দেখা হ’লোনা । আর সে শ্রীচরণপ্রাস্তে বসতে ভাগ্যে ঘটে নাই । } সেদিন সন্ধ্যার সময় রামবার বাড়ী গেলাম। নরেন্দ্রের সঙ্গে দেখা হ’ল ! iাকুর একটি কামরায় তাকিয়া ঠেস দিয়ে বসেছেন, নরেন্দ্র তার ডান পাশে । নামি সমূপে । নরেন্দ্রকে আমার সহিত আলাপ করতে বল্লেন । নরেন্দ্র বল্লেন “আজ আমার বডভ মাথা ধরেছে । কথা কইতে ইচ্ছা ইচ্ছে না ।” আমি বল্লাম “থাক, আর একদিন আলাপ হবে।” সেই আলাপ হয় ১৮৯৭ সনের মে কি জুন মাসে আলমোড়ায় । ঠাকুরের ইচ্ছ। ত পূর্ণ হতেই হবে, তাই বারে বছর পরে পূর্ণ হল । আহা ! সেই স্বামীবিবেকানন্দের সঙ্গে আলমোড়ায় কটা দিন কত আনন্দেই গিটাইয়াছিলাম ! কখনও তার বাড়ীতে কখনও আমার বাড়ীতে, আর নির্জনে তাকে নিয়ে একটি পৰ্ব্বতশৃঙ্গে । আর তার সঙ্গে পরে দেখা য় নাই। ঠাকুরের ইচ্ছা পূর্ণ করতেই সেবারের দেখা । ঠাকুরের সঙ্গেও মাত্র চার পাচ দিনের দেখা, কিন্তু ঐ অল্প সময়ের মধ্যেই এমন হয়েছিল যে তাকে ( ঠাকুরকে ) মনে হ’ত যেন এক ক্লাসে পড়েছি, কমন বেয়াদবের মত কথা বলেছি, সম্মুখের থেকে সরে এলেই মনে হ’ত ‘ওরে পরে । কার কাছে গেছলাম ! ঐ কদিনেই যা দেখেছি ও পেয়েছি তাতে জীবন ধুময় করে রেখেছে। সেই যে দিব্যামৃতবর্ষী হাসিটুকু, যতনে পেটরায় পুরে খে দিইছি। সে যে নিঃসম্বলের অফুরন্ত সম্বল গো । আর সেই হাসিচু্যত মৃতকণায় আমেরিক অবধি অমৃতারিত হচ্ছে—এই ভেবে ভেবে “হামি চ মুহুমুহুঃ, হৃষামি চ পুনঃ পুনঃ “ আমারই যদি এই, এখন বোঝে তুমি কেমন Fo !” 属ス* o