পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সৰ্ব্বভূতস্থমাত্মানং সৰ্ব্বভূতানি চাত্মনি । ঈক্ষতে যোগযুক্তাত্মা সৰ্ব্বত্র সমদৰ্শন • গীতা। । [ নরেন্দ্র, ভবনাথ ও মাষ্টার | | . মাষ্টার তখন বরাহনগরে দিদির বাড়ীতে ছিলেন। ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করা অবধি সৰ্ব্বক্ষণ র্তাহারই চিন্তা । সৰ্ব্বদাই যেন সেই আনন্দময় মুক্তি দেখিতেছেন ও তাহার সেই অমৃতময়ী কথা শুনিতেছেন । ভাবিতে লাগিলেন, এই দরিদ্র ব্রাহ্মণ কিরূপে এই সব গভীর তত্ত্ব অনুসন্ধান করিলেন ও জানিলেন ? আর এত সহজে এই সকল কথা বুঝাইতে মাষ্টার এ পর্ব্যস্ত কাহাকেও কখনও দেখেন নাই। কখন তাহার কাছে যাইবেন ও আবার তাহাকে দর্শন করিবেন এই কথা রাত্র দিন ভাবিতেছেন । : , দেখিতে দেখিতে রবিবার আসিয়া পড়িল। বরাহনগরের নেপাল বাবুর সঙ্গে বেলা ৩টা ৪টার সময় মাষ্টার দক্ষিণেশ্বরের বাগানে আসিয়া পছছিলেন । দেখিলেন, সেই পূৰ্ব্বপরিচিত ঘরের মধ্যে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছোট তক্তাপোষের উপর বসিয়া আছেন। ঘরে এক ঘর লোক । রবিবারে অরসর হইয়াছে তাই ভক্তের দর্শন করিতে আসিয়াছেন । এখনও মাষ্টারের সঙ্গে কাহারও আলাপ হয় নাই। মাষ্টারও সভামধ্যে এক পার্থে আসন গ্রহণ করিলেন । দেখিলেন, ভক্তদের সঙ্গে সহাস্তবদনে ঠাকুর কথা কহিতেছেন । । একটা উনবিংশতিবর্ষবয়স্ক ছোকরাকে উদ্দেশ করিয়া ও তাহার দিকে ভাকাইয়া ঠাকুর যেন কত আনন্দিত হইয়া অনেক কথা বলিতেছিলেন। ছেলেটার নাম নরেন্দ্র। তিনি কলেজে পড়েন ও সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে যাতায়াত করেন । কথাগুলি তেজ:পরিপূর্ণ। চক্ষু দুটা উজ্জল। ভক্তের চেহারা। মাষ্টার অকুমানে বুঝিলেন যে, কথাটা বিষয়াসক্ত সংসারী ব্যক্তির সম্বন্ধে হুইতেছিল। যারা কেবল ঈশ্বর ঈশ্বর করে ও ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম করে তাদের ঐ সকল ব্যক্তিরা নিন্দ করে। আর সংসারে কত দুষ্ট লোক মাছে তাদের সঙ্গে । কিরূপ ব্যবহার করা উচিত, এই সব কথা হইতেছে । . লীরামকৃষ্ণ ( নরেজের প্রতি ) । লরেন্দ্র । তুই কি বলিস ? সংসারী,