পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দর্শন গৃহস্থও তমোগুণ। २० مهدی هم محبوبیتی حرای سینمایی تحت ع “শাস্ত্রে আছে ‘আপো নারায়ণঃ’—জল নারায়ণ। কিন্তু কোনও জল ঠাকুরসেবায় চলে ; আবার কোন জলে অচান, বাসন মাজা, কাপড় কাচ। কেবল চলে, কিন্তু খাওয়া বা ঠাকুরসেবা চলে না। তেমনি সাধু, অসাধু, ভক্ত, অভক্ত, সকলেরি হৃদয়ে নারায়ণ আছেন। কিন্তু অসাধু অভক্ত দুষ্ট লোকের সঙ্গে ব্যবহার চলে না । মাখামাখি চলে না । কারও সঙ্গে কেবল মুখের আলাপ পৰ্য্যস্ত চলে, আবার কারও সঙ্গে তাও চলে না। ঐৰূপ লোকের কাছ থেকে তফাতে থাকতে হয় ।” * একজন ভক্ত। মহাশয়! যদি দুষ্ট লোকে অনিষ্ট ক’বৃতে আসে বা অনিষ্ট করে, তা হ’লে কি চুপ ক’রে থাকা উচিত ? - - { গৃহস্থ ও তমোগুণ । ] , * শ্রীরামকৃষ্ণ । লোকের সঙ্গে বাস ক’বৃতে গেলেই, দুষ্ট লোকের হাক্ত থেকে আপনাকে রক্ষা করবার জন্য একটু তমোগুণ দেখান দরকার। কিন্তু সে অনিষ্ট ক’বৃবে ব’লে, উন্টে তার অনিষ্ট করা উচিত নয়। * F “এক মাঠে রাখাল গরু চরাতে। সেই মাঠে একটা ভয়ানক বিষাক্ত সাপ ছিল । সকলেই সেই সাপের ভয়ে অত্যন্ত সাবধানে থাকৃতে । এক দিন একটা ব্রহ্মচারী সেই মাঠের পথ দিয়ে আসছিল। রাখালের দৌড়ে এসে ব’ল্পে, ঠাকুর মহাশয় । ওদিক দিয়ে যাবেন না । ওদিকে একটা ভয়ানক বিষাক্ত সাপ আছে। ব্রহ্মচারী ব’ল্লে, বাবা তা হোক, আমার তাতে তত্ত্ব নাই, আমি মন্ত্র জানি । এই কথা বলে ব্রহ্মচারী সেই দিকে চলে গেল। রাখালের ভয়ে কেউ সঙ্গে গেল না। এ দিকে সাপটা ফণা তুলে দৌড়ে আসছে। কিন্তু কাছে না আসতে আসতে ব্রহ্মচারী যেই একটা মন্ত্র পড়লে, অন্ধনি সাপটা কেঁচোর মতন পায়ের কাছে পড়ে রইল। ব্ৰহ্মচারী বঙ্গে, এধর! তুই কেন পরের হিংসা করে ক’রে বেড়াস, আয় তোকে মন্ত্ৰ দিব । মন্ত্র জপ লে তোর ভগবানে ভক্তি হবে, ভগবান লাভ হবে, আর হিংসা ধত্তি থাকবে না। এই বলে সে সাপকে মন্ত্র দিল। সাপটা মন্ত্র পেয়ে লকে প্রণাম ক’লে, আর জিজ্ঞাসা ক’লে, ঠাকুর । কি ক’রে সাধনা বুব বলুন । গুরু ব’ল্লেন, এই মন্ত্র জপ কর, আর কা’রও হিংসা কোরে । ব্ৰহ্মচারী যাবার সময় ব’লে, আমি আবার আসবে। । “এই রকমে কিছু দিন যায়। রাখালের দেখে যে, সাপটা আর কামড়াতে সে না। চালা মারে, তবুও রাগ হয় না, যেন কেঁচোর মতন হয়ে গেছে।