পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 8 ঐস্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ ১৮৮২ মার্চ। আবার মনে করে যে, ঐ সংসারের কামিনী ও কাঞ্চনেতেই স্থখ হবে, আর নিৰ্ভয়ে থাকুবে । জানে না যে, ওতেই মৃত্যু হবে । বদ্ধজীব যখন মরে, তখন তার পরিবার বলে, “তুমি তো চ’ল্পে, আমার কি ক’রে গেলে ? আবার এমনি মায় যে, প্রদীপটাতে বেশী সলতে জললে বদ্ধজীব বলে, ‘তেল পুড়ে যাবে, সলতে কমিয়ে দাও । এদিকে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে রয়েছে। w “বদ্ধজীবের ঈশ্বরচিন্তা করে না। যদি অবসর হয়, তা হ’লে হয় আবোল তাবোল ফালতো গল্প করে,-নয় মিছে কাজ করে । জিজ্ঞাসা করলে বলে, আমি চুপ ক’রে থাকৃতে পারি না, তাই বেড়া বাধছি। হয় তো সময় কাটে না দেখে তাস খেলতে আরম্ভ ক’রূলে ?” ( সকলে স্তব্ধ । ) amsemminggas সপ্তম পরিচ্ছেদ । “যোমামজমনাদিঞ্চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম। অসংমূঢ়: স মৰ্ত্তেষু সৰ্ব্বপাপৈ: প্রমুচ্যতে ॥” গীতা, ১০, ৩ । [ উপায়—বিশ্বাস । ] একজন ভক্ত। মহাশয়, এরূপ সংসারী জীবের কি কোন উপায় নাই ? শ্রীরামকৃষ্ণ। অবশু উপায় আছে। মাঝে মাঝে সাধুসঙ্গ করতে হয় আর মাঝে মাঝে নির্জনে থেকে ঈশ্বরচিন্তা করতে হয় । আর বিচার করতে ; হয়। র্তার কাছে প্রার্থনা করতে হয়, ‘আমাকে ভক্তি বিশ্বাস দাও । --বিশ্বাসন হয়ে গেলেই হ’ল। বিশ্বাসের চেয়ে আর জিনিষ নাই । । , ( কেদারের প্রতি ) “বিশ্বাসের কত জোর তা তো শুনেছ ? পুরাণে আছে, রামচন্দ্র যিনি সাক্ষাৎ পূৰ্ণব্ৰহ্ম নারায়ণ, তার লঙ্কায় যেতে সেতু বাধতে হ’ল। কিন্তু হনুমান রামনামে বিশ্বাস ক’রে লাফ দিয়ে সমুদ্রের পারে গিয়ে পড়ল । তার আর সেতুর দরকার হয় নাই। (সকলের হস্ত। ) . 4-বিভীষণ একটী পাতায় রামনাম লিখে, ঐ পাতাট একটি লোকের কাপড়ের খোটে বেঁধে দিছল। সে লোকটী সমুদ্রের পারে যাবে। বিভীষণ তাকে ব’লে, তোমার ভয় নাই, তুমি বিশ্বাস ক’রে জলের উপর দিয়ে চলে যাও ; কিন্তু দেখে, যাই অবিশ্বাস করবে, অমনি জলে ডুবে যাবে। লোকট বেশ সমূত্রের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল। এমন সময়ে তার ভারি ইচ্ছা হ’ল-য়ে, কাপড়ের খোটে কি বাধা আছে একবার স্তাখে। খুলে দেখে