পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミレ* - শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [১৮৮২ মার্চ SS S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS AAAAAA AAAA AAAA AAAAeAS A SAS S S AAAAAA গৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। মাঝে মাঝে হৃদয়মধ্যে সেই হৃদয়োম্মত্তকারী মধুর সঙ্গীতের ফুট উঠিতে লাগিল,— - ‘প্রেমানন্দ রসে হও রে চিরমগন ? (হরি প্রেমে মত্ত হয়ে ) । নবম পরিচ্ছেদ । চতুর্থ দৰ্শন । যং লব্ধ, চাপরং লাভং মন্ততে নাধিকং ততঃ। যস্মিন স্থিতো ন দুঃখেন গুরুনাপি বিচাল্যতে ॥গীতা, ৬, ২২ ৷ [ নরেন্দ্র, ভবনাথ প্রভৃতি সঙ্গে আনন্দ । ] তাহার পরদিনও ছুটি ছিল । বেল তিনটার সময় মাষ্টার আবার আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সেই পূৰ্ব্ব পরিচিত ঘরে বসিয়া আছেন । মেজেতে মাদুর পাতা । সেখানে নরেন্দ্র, ভবনাথ, আরও দুই একজন বসিয়া আছেন । কয়টিই ছোকরা ; উনিশ কুড়ি বৎসর বয়স । ঠাকুর সহাস্তবদন, ছোট তক্তাপোষের উপর বসিয়া আছেন, আর ছোকরাদের সহিত আনন্দে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছেন। মাষ্টার ঘরে প্রবেশ করিতেছেন দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্ত করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, ঐ রে আবার এসেছে ?—বলিয়াই হাস্য। সকলে হাসিতে লাগিল। মাষ্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিয়া বসিলেন । আগে হাতযোড় করিয়া দাড়াইয়া প্রণাম করিতেন—ইংরাজিপড়া লোকেরা যেমন করে। কিন্তু আজ তিনি ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতে শিখিয়াছেন । তিনি আসন গ্রহণ করিলে, ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ কেন হাসিতেছিলেন, তাহাই নরেন্দ্রাদি ভক্তদের বুঝাইয়া দিলেন। তিনি বলিলেন,– – “দ্যাখ, একটা ময়ূরকে বেলা চারটার সময় আফিম খাইয়ে দিছিল। তার পরদিন ঠিক চারটার সময় ময়ুরটা উপস্থিত—আফিমের মৌতাত ধ’রেছিল —তাই আবার ঠিক সময়ে আফিম খেতে এসেছে। ( সকলের হাস্য )। মাষ্টার মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন, ইনি ত ঠিকই কথা বলিতেছেন। বাড়ীতে যাই, কিন্তু দিবানিশি ইহার দিকে মন পড়িয়া থাকে—কখন দেখিব, কখদ দেখিৱ । এখানে কে যেন টেনে আনলে । মনে করলে অন্ত যায়গায়