পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিতির ব্রাহ্মসমাজ দর্শন । @@ কয়েকখানি কাষ্ঠাসন । তথা হইতেও লোকে উদগ্রীব ও উৎকর্ণ হইয়। মহাপুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত করিতেছে। সারি সারি ফল ও পুষ্পের বৃক্ষ, মধ্যে পথ। বৃক্ষ সকল সমীরণে ঈষৎ হেলিতেছে জুলিতেছে- যেন আনন্দভরে মস্তক অবনত করিয়া তাহাকে অভ্যর্থনা করিতেছে । g ঠাকুর পরমহংসদেব হাসিতে হাসিতে আসন গ্রহণ করিলেন । এখন সব চক্ষু এককালে তাহার আনন্দমূৰ্ত্তির উপর পতিত হইল । যতক্ষণ নাট্যশালায় অভিনয় আরম্ভ না হয়, ততক্ষণ দর্শকবৃন্দের মধ্যে কেহ হাসিতেছে, কেহ বিষয়-কৰ্ম্মের কথা কহিতেছে, কেহ একাকী অথবা বন্ধুসঙ্গে পাদচারণ করিতেছে, কেহ পান খাইতেছে, কেহ বা তামাক খাইতেছে। কিন্তু যাই ড্রপ সিন ( Drop-scene ) উঠিয়া গেল, অমনি সকলে সব কথাবার্তা বন্ধ করিয়া অনন্তমন হইয়। একদৃষ্টে নাট্যরঙ্গ দেখিতে থাকে। অথবা নানাপুষ্পপরিভ্রমণকারী ষটপদবৃন্দ পদ্মের সন্ধান পাইলে অন্ত কুষম ত্যাগ করিয়া পল্প মধু পান করিতে ছুটয় আসে। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । মাঞ্চ যোহব্যভিচারেণ ভক্তিযোগেন সেবতে । স গুণান সমতীত্যৈতান ব্ৰহ্মভূয়ায় কল্পতে ॥ গীত, ১৪, ২৬ । [ ভক্তসম্ভাষণে ] সহাস্য বদনে ঠাকুর শ্ৰীযুক্ত শিবনাথ আদি ভক্তগণের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন, “এই যে শিবনাথ ! দেখ তোমরা ভক্ত, তোমাদের দেখে আমার বড় আনন্দ হয় । গাজাখোরের স্বভাব, আর একজন গজাখোরকে দেখলে ভারী খুলী হয় । হয় ত তার সঙ্গে কোলাকুলিই করে। ( শিব নাথের ও সকলের হাস্ত ) ৷ р n { সংসারী-লোকের স্বভাব । ] . স্ত্রীরামকৃষ্ণ । যাদের দেখি ঈশ্বরে মন নাই, তাদের আমি বলি, “তোমরা একটু ঐখানে গিয়ে বস।” অথখুবলি, ষাও বেশ বিলুডিং ( Building ) দেখগে’ ( অর্থাং রাসমণির কালীবচীর মন্দির সকল ) । (সকলের হাস্ত )। “আবার দেখছি যে, ভক্তদের সঙ্গে হাবাতে লোক এসেছে। তাদের ভারি বিষয়-বুদ্ধি। তাদের ঈশ্বরীয় কথা ভাল লাগে না । ওরা হয় ত, আমার