পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিতির ব্রাহ্মসমাজ দশন । ( ૧ চতুর্থ পরিচ্ছেদ । “যতোবাচে। নিবৰ্ত্তস্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ”। উপনিষৎ । ব্রহ্মের স্বরূপ মুখে বলা যায় না । ] | একজন ব্রাহ্মভক্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, ঈশ্বর সাকার না নিরাকার । শ্রীরামকৃষ্ণ । তার ইতি করা যায় না। তিনি নিরাকার আবার সাকার । ভক্তের জন্য তিনি সাকার । যারা জ্ঞানী অর্থাৎ জগৎকে যাদের স্বপ্লবৎ মনে হ’য়েছে, তাদের পক্ষে তিনি নিরাকার । ভক্ত জানে, আমি একটী জিনিষ, জগৎ একটা জিনিষ । তাই ভক্তের কাছে ঈশ্বর ‘ব্যক্তি ( Personal God ) হ’য়ে দেখা দেন। জ্ঞানী—যেমন বেদাস্তবাদী—কেবল নেতি নেতি বিচার করে । বিচার ক’রে জ্ঞানীর বোধে বোধ হয় যে, “আমিও মিথ্যা, জগতও মিথ্যা—স্বপ্লবৎ । জ্ঞানী ব্ৰহ্মকে বোধে বোধ করে । তিনি যে কি, মুখে বলতে পারে না । “কি রকম জান ? যেন সচ্চিদানন্দ সমুদ্র-কুল কিনারা নাই--ভক্তিহিমে স্থানে স্থানে জল বরফ হ’য়ে যায়—বরফ আকারে জমাট বাধে। অর্থাৎ ভক্তের কাছে তিনি ব্যক্তভাবে কখন কখন সাকার রূপ ধ’রে থাকেন। জ্ঞান স্বৰ্য্য উঠলে, সে বরফ গ’লে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় ন—ৰ্তার রূপও দর্শন হয় না । কি তিনি, মুখে বলা যায় না । কে ব’লবে ? যিনি বলবেন, তিনিই নাই, তার ‘আমি আর খুজে পান না। “বিচার করতে করতে আমি টামি আর কিছুই থাকে না । যেমন প্যাজের প্রথমে লাল খোসা তুমি ছাড়ালে, তারপর সাদা পুরুখোসা ছাড়ালে, এইরূপ বরাবর ছাড়াতে ছাড়াতে ভিতরে কিন্তু খুজে কিছু পাওয়া যায় না । । “যেখানে নিজের ‘আমি খুজে পাওয়া যায় না—আর খুজেই বা কে ? সেখানে ব্রহ্মের স্বরূপ বোধে বোধ কিরূপ হয়, সে কথা কে ব’লবে । একট। লুণের পুতুল সমুদ্র মাপতে গি’ছল । সমুদ্রে যাই নেমেছে, অমনি গ’লে মিশে গেল। তথন খবর কে দিবেক ? _ . “পূর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ,– পূর্ণ জ্ঞান হ’লে মানুষ চুপ হয়ে যায়। তখন আমি রূপ লুণের পুতুল সচ্চিদামদক্ষপ গ্ররে গ’লে এক হ’য়ে যায়, আর একটুও ভেদবুদ্ধি থাকে না । క్టే. " - - “বিচার করা যতক্ষণ না শেষ হয়, লোকে ফৰ্ড ফৰ্ভু, ক’রে তর্ক করে । & " - " ماهی - مس - ها می میرح ح