পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

منهم # ooאצי • ** ঠাকুর জিজ্ঞাসা করে ভক্তগণ ঠাই । বলত ঠাকুর বাড়ী যাই কি না যাই । হইয়া গুরুঠাকুর এ হেন দীনতা । চক্ষে জল দন্তে তৃণ গলে ছেড়া কঁথা ৷ মৃত্যুঞ্জয় দশরথ বলে যোড় হাতে। যাওয়া উচিত হয় ঠাকুর বাড়ীতে ॥ ঠাকুর চলিল সব ভক্তগণ ল’য়ে। , নাম সংকীৰ্ত্তন করে আনন্দে মাতিয়ে। ঠাকুর বসিল গিয়া ঠাকুরের বাড়ী অধিকারী গোয়ুমী প্ৰণামে গোস্বামী গোলোকবলে জয় হ জয় হরি বলরে গৌর-হরি বোল . সব ভক্তগণ বলে জয় জয় জয় । ...", - অধিকারী লোটাইল ঠাকুরের পায় ! প্রভু হরিচাঁদ বলে শুনহে গোসাই । তুমি গুরু আমি শিষ্য ভিন্ন ভেদ নাই ॥-- ভব কর্ণধর হ’য়ে জগৎ তরা’লে। " নিজে যে তরিব হই। কবে ভেবেছিলে । কাদিয়া কহেন তবে গুরু অধিকারী । - "তুমি গুরু আমি শিষ্য তার যদি তরি ॥ " - মহাপ্রভু বলে কোথা হেন কল্পতরু। - [ গুরু হ’য়ে শিষ্য কে বলিতে পারে গুরু ॥ ভক্তগণ বলে এই ঈশ্বর অধিকারী । গৌরাঙ্গ লীলার ছিল শ্ৰীঈশ্বর পুরী ॥ সে ঈশ্বর পুী ইনি ঈশ্বরাবতার। ঈশ্বর ঈশ্বর নাম হয় দোহাকার ॥ অধিকারী ঈশ্বর, ঠাকুরে কেঁদে কহে। . অন্ন ভোজ নিতে হবে এ দ্বীনের গৃহে ॥ ঠাকুর কহেন বহু ভক্তগণ সাথে। । এক আমি অন্ন ভোজ লইব কিমতে ॥ তাহা শুনি কঁদে অধিকারী মহাশয় । কান্না দেখে বলে হরিচাদ দয়াময়। -- ভোজনে করা’তে ইচ্ছা পাইয়াছি টের। মাকে বল রাধিতে তণ্ডুল দশ সের। কঁাচা কলা কুষ্মাণ্ডের করহ ব্যঞ্জন । একসের ড'ল বল করিতে রন্ধন ॥ গৃহে আছে ঘৃত ভাণ্ড আনহ বাহিরে। কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ করি দেহ সবাকারে। পাক হ’ল ভক্ত সব করিল ভোজন। মহাপ্ৰভু ভোজ লন আনন্দিত মন ॥ । ঐঐহরিলীলামৃত। গণনাতে একশত ষাটিজন লোক । ভোজন দেখিয়া নাচে গোসাই গোলোক । পরিপূর্ণ ভোজনে সূকলে হৈল তৃপ্ত।. নৃত্য করে অধিকারী ভোজন সমাপ্ত ॥ অধিকারী প্রতি প্রীতি মহাপ্রভু কন। গোলোকে ল’য়ে আপনি করুণ ভোজন ॥ ঈশ্বর কৃতাৰ্থ হ’ল প্রভুর সেবায় । পরে স্বরূপের বাড়ী চলিল ত্বরায় ॥ সব ভক্তগণ উঠে হরিধবনী দিয়ে। হীরামন চলিলেন অগ্রবর্তী হ’য়ে। অধিকারী গোস্বামীর গলে কথা ছিল। সেই কথা হীরামন মাথায় লইল । প্রভু হরিচাদ কহে হীরামন জয় । জাননা কি জন্তে কঁথি। ল’য়েছে মাথায় ॥ উহার মনের ভাব দুই প্রভু পিছে। অtমি ভূত্য বাস রূপে অগ্ৰে পঠিয়াছে ॥ মহা প্রভু কহে অগ্রে যাকৃ হীরামন। অধিকারী কর তার পশ্চাতে গমন ॥ আমি যাব তব পিছে আনন্দ হৃদয়। তার পিছে যাবে দশরথ মৃত্যুঞ্জয়। আর সব ভক্ত যাবে তাহার পশ্চাতে। --গোলোক যাউক তার যথা ইচ্ছা মতে । তুমি মম আগ্রে থেকে গান ধরে দেও। নেচে গেয়ে স্বরুপের বাড়ী চলে যাও ॥ অধিকারী গোস্বামী ধরিল সংকীৰ্ত্তন। পশ্চাতে দোহারী করে যত ভক্তগণ । অধিকারী কণ্ঠধ্বনী সিংহের গর্জন। মৃত্যুঞ্জয় দশরথ তাদৃশ দুজন ॥ আর সব ভক্তগণ পিছে পিছে যায়। ভীম নাদ কুণ্ঠধ্বনী মত্ত হস্তী প্রায়। সব জিনি দেয় ধ্বনী গোলোক গোসাই। জলন্ত পাবক যেন অগ্র পিছে ধাই ॥ . জয় হরি বল মন গৌর হরি বল। সব ভক্ত মধ্যে গোলোকের এই বোল। সব ভক্তগণ গায় মুমধুর ধূয়। হেলিয়। দুলিয়া নাচে গোবিন্দ মতুয়৷ বিমুখ হইয়। পিছে মাথা নোয়াইয়। কক্ষ বাদ্য বুড়াবুড়ি দুবাহু তুলিয়। তাহা শুনি মঙ্গল সে বুড়বুড়ী দেন । বুড়বুড়ি করিতে বদনে উঠে ফেণ। -,