মধ্য খণ্ড । לסל ༨ མཆ་ལ་ ཨ་ལ་ ༨༠་ འབག ག་ལ་ལ་ ༥༠~༨~~་ཤ་ཤ༨ 4. সব ভক্ত করে লম্ফ উল্লম্ফ প্রলম্ফ। ঠিক যেন তাহাতে হতেছে ভূমিকম্প । কীৰ্ত্তন হুঙ্কার উঠে গগণ ভেদিয়া। বৃক্ষ ছেড়ে পক্ষী সঙ্গে চলিল উড়িয়া । শৃষ্ঠে উড়ে যায় পক্ষী ভকতের সঙ্গ । জ্ঞান হয় দেবতার হয়েছে বিহঙ্গ । গ্রাম্য পশু বন্য পশু যে ছিল যেখানে। কীৰ্ত্তন শুনিয়। ধারা বহে নয়নে ॥ ফুকরা হইতে যান বেtয়ালীয়া হাট। দোকানীরা দেখে শুনে কীৰ্ত্তনের নাট ॥ কার হয় অশ্রু পাত কর যোড়ে রয়। কেহ পার্থ। ধরিয়া বাতাস দেয় গায় ॥ }
- বুনো পাড়া গাড়ী টান মহিষ যে ছিল।
• সকল মহিষ এসে একত্র হইল। -- কীৰ্ত্তনের ধ্বনী শুনি উদ্ধ মুখ হ’য়ে। উৰ্দ্ধ কর্ণ করি যায় পথ আগুলিয়ে ॥ অশ্রুজলে পরিপূর্ণ মহিষেরগণ । বন্দী গুলা রজ্জ্ব ছিড়ে আইল তখন ॥. মহিষ কতকগুলি দৌড়িয়া চলিল। আর কতগুলি তার চাহিয়া রহিল। রক্ষকেরা নাহি পারে মহিষ ঠেকাতে। ” বহু পরে ঠেকাইল অনেক কষ্টেতে ॥ গোচর নিকটবৰ্ত্তী যত গরু ছিল। . উৰ্দ্ধমুখ কৰ্ণ পূৰ্ছ ধাইয়া চলিল । কোনটা গোছড় ছিড়ে চক্ষে পড়ে জল । বৃষভ বলদ চলে ফেলাইয়া হাল ॥ বৎস গাভী একত্র হইয়া দেয় লম্ফ । । তাতে যেন হয় বাসুকির কণ কম্প ॥ হুলস্থূল লাগিয়াছে জীবাদি জন্তুর । ংকীৰ্ত্তন সঙ্গে চলে যতেক কুকুর। কুকুরে কুকুরে দেখা বিষম বিপদ । একত্র হইয়া চলে নাহি হিংসা বাদ ॥ এইরূপে উতরিল পাইকডাঙ্গায় । স্বরূপের বাট প্রভু হ’লেন উদয় ॥ চরি৷ পাচ শত লোক একত্র হইল। হরিনাম সংকীর্তনে সকলে মাতিল ৷ বহুক্ষণ পরে সেই কীৰ্ত্তন ভাঙ্গিল। স্বানান্তে ভকতগণ ভোজন করিল। চিড়া দধি মহোৎসব অগ্রেতে হইল। অন্নপাক অন্তে সবে ভোজনে বসিল। খাও খাও দেও দেও নেও নেও রব । কেহ খায় কেহ দেয় মহা মহোৎসব ॥ হেনকালে উপনীত দ্বিজ একজন । আমাদা নিবাসী নাম শ্ৰীহরি ভজন ॥ মাতুল আলয় ছিল পাইকডাঙ্গায় । ঠাকুরে প্রণাম করি ভূমিতে লোটায়। কাদিয়া কাদিয়া কহে আমি নরাধম। জন্মিয়াছি ব্ৰহ্ম কুলে অধমস্ত ধম ॥ আমাকে করহ প্রভু কৃপার ভাজন। বহু দিন-বুধি মম্ জ্বর পুরাতন ॥ । রোগে মুল্লুকর প্লভু নাহ্লিকু উপায়। তব ভক্ত হয়ে আমি থাকিব ধরায়। হীরামনে ডেকে বলে গোলোক ঈশ্বর । ব্রাহ্মণেকে ধ’রে সেরে দেহ জীর্ণ জ্বর ॥ " শুনি হীরামন গিয়া ব্রাহ্মণেকে ধরে। টানিয়া আনিল তারে বাড়ীর বাহিরে। বাটীর ঈশাণ কোণে পথে ছিল বালী । পাতাদিয়া বাড়ি মারে অtথালী পাতালী ॥ উচ্ছিষ্ট কদলী পত্র ছিল তথা পড়ি ॥ - চারি পাঁচ পাতা ধরি মারিলেন বাড়ি ॥ বালী মধ্যে ব্রাহ্মণেরে ফেলে লোটাঙ্গয়ে। বালী ধরি দেয় গায় মাজিয়ে ঘগিয়ে ॥ প্রভু হরিচাদ আজ্ঞা সেরে যারে জর । ব্যাধি মুক্ত উঠিয়া বসিল দ্বিজবর ॥ ছেড়ে দিল ব্রাহ্মণেরে উঠিয়া দাড়ায়। কর যোড়ে দাড়াইল অশ্র ধারা বয় ॥ . ব্রাহ্মণের বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইল। যাও বলি হীরামন তারে আজ্ঞা দিল ॥ । লোটাইয়ে পড়ে গিয়া প্রভুর চরণে। মহাপ্রভু বলে তোর কি ভাব এখনে ॥ ব্রাহ্মণ বলেন মোর আর ব্যাধি নাই। আজ্ঞাকর নিরন্তর তব গুণ গাই। মহাপ্রভু বলে তোর যাইচ্ছা করিস । মমভক্ত প্রতি সদা ভকতি রাখিস্ ॥ থাকিলে ব্ৰহ্ম গায়ত্রী ব্রাহ্মণ শরীরে । তবে কি ব্রাহ্মণ অঙ্গে ব্যাধি হতে পারে। সে সকল মন্ত্ৰ দিয়া আর কি করিব। মানুষ বলিয়া আৰ্ত্তি সতত রাখিবা । অাজ তোর হ’ল বাছা ব্যাধি সব নাশ । যাজনিক দ্বিজ বলে না হয় বিশ্বাস ॥
