পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છે. দৈবাধিন ঠাকুরের ভক্ত সঙ্গ পেয়ে । ওঢ়ার্কাদি শুভযাত্রা করে সেই মেয়ে ॥ পথে যেতে মনে মনে করে আনাগোণা। যেমন কপাল প্ৰভু দেখাত দিবেন ॥ নেত্রনীরে গাত্র ভাসে চলে কঁাদি কঁাদি। উপনীত হইল শ্ৰীধাম ওঢ়ার্কাদি ॥ ঠাকুরের রূপ দেখে হ’য়ে জ্ঞান হারা । কাপে গাত্র শিব নেত্ৰ বহে অশ্রীধারা ॥ দুইদণ্ড কাল প্রায় বহে দণ্ডাইয়ে । প্রভুর শ্রীমুৰ্ত্তি দেখে এক দৃষ্টে চেয়ে ৷ যুগল নয়নে তার বহে অশ্রুধার । কণ্ঠ রোধ বক্ষঃ স্থল তিতিল তাহার ॥ ঠাকুর বলেন তোর কেন হেন দশা । স্থির হয়ে বল তোর মনে কিবা আশ । দণ্ডবৎ হ’য়ে কেন রৈলি দাড়াইয়ে । মনে বাহ থাকে তাহা বল প্রকাশিয়ে ॥ তাহা শুনি সেই নারী ধীরে ধীরে কহে । জনমে জনমে যেন পদে মতি রহে ॥ প্রভু বলে তোর মতি থাকিল আমায়। জনমে জনমে তোর প্রতি দয়ারয় ॥ প্রভু কন নায়ের মা যাগে অন্তঃপুরে। দেখ গিয়া ঠাকুরাণী কিকি কাৰ্য্য করে ॥ বাক্য শুনি অন্তঃপুরে চলিল নায়েরী। লক্ষ্মীমার পদবন্দে স্তুতিনতি করি ॥ গৃহ কাৰ্য্য করে সব মেয়ে ব্যবহারে। শান্তিমতো প্রফুল্লিতা নায়েরী আচারে ॥ পরদিন বিদায় হইয়া বাড়ী যায়। বাইতে না পারে ঠাকুরের পানে চায় ॥ ফিরে ফিরে চায় তার চক্ষে বহে নীর । থাকি থাকি ঝাকি মারে প্রফুল্ল শরীর ॥ অষ্ট সাত্ত্বিক বিকার জন্মিল-আসিয়। সবে চমৎকৃত হৈল সে ভাব দেখিয়া ॥ দুই তিন মাস এই ভাবে রহে ঘরে । ওঢ়ার্ক।দি আত্ম স্বার্থ হরিনাম করে। দুই তিন মাসান্তর যায় ওঢ়াকাদি। অন্তঃপুরে থাকে ছয় সাত দিনবিধি । এই ভাবে যাতায়াত করে বহু দিন । ঠাকুরের নিকটে কহিল একদিন ॥ ওহে মহাপ্রভু মম আছে কিছু ধন। আজ্ঞা হ’লে তব নামে করি বিতরণ ॥ মধ্য খণ্ড । - >○○ প্রভু বলে ভাল ভাল তাই করা চাই । সাধু সেবা ভিন্ন ভবে ভাল কাৰ্য্য নাই । , যে সময় হইবেক যে অর্থ তোমার । অমনি করিবা ব্যয় হুকুম আমার ॥ এ সময় কত অর্থ আছয় তোমার। কি রকম পারিব করিতে বায় তার ॥ নায়েরী কহিছে কিছু নাহি জানি আমি । যাহা ইচ্ছ। তাহ কর সব হও তুমি ॥ প্রভু বলে নায়ের মতুয় সব ডাক । জনমের মত এক কীৰ্ত্তি করি রাখ ॥ চাউল লাগিবে তোর বিশকুড়ি মন । এর উপযুক্ত দ্রব্য কর আয়োজন ॥ তাহাই স্বীকার করি চলে গেল দেশে । করিল উদ্যোগ তার মনের উল্লাসে ॥ পুনৰ্ব্বার ওঢ়ার্কাদি চলিল নায়েরী ! নিজে প্রভু দিল তার দিন অবধারী প্রভু বলে তোর কিছু করিতে হবেন । কর গিয়া আয়োজন যে তোর বাসন ॥ নায়েরী করিল সাধু সেবা আয়োজন। এ দিকে ঠাকুর দিতেছেন নিমন্ত্রণ ॥ গোলোক পাগলে ডেকে বলে হরিচাদ । মঙ্গোৎসব করিবারে নায়েরীর সাধ ॥ যাহ বাছা নিমন্ত্রণ করহ সবারে । পরম্পর বলাবলি যে দেখ যাহারে ॥ বৈশাখের সীতাশে আটাশে উনত্রিশে । তিন দিন মহোৎসব করির হরিষে ॥ পূৰ্ব্ব দিন অধিবাস ভোজ মধ্য দিনে। শেষ দিন প্রহরেক নাম সংকীৰ্ত্তনে ॥ মহোৎসবে বাজে কথা কহিতে দিবেন। খা’বে আর হরিনাম গ'বে সৰ্ব্বজন ॥ হরি ভিন্ন আর নাহি ক’র গণ্ডগোল । শুধুমাত্র বলাইবা সুধা হরি বোল ॥ সেই দিন হ’তে স্বামী গোলোক পুলকে । মহোৎসব নিমন্ত্রণ আরম্ভিল লোকে ॥ নায়েরীর বাড়িল যে আনন্দ অপার । কবি বলে বুধি গেল দিন নাহি তার ॥