পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত l মহোৎসব ও নিমন্ত্রণ । পয়ার । জয় হরি বল জয় গেীর হরিবল । নামের হুঙ্কার করি চলিল পাগল ॥ আর দিন পাগল রাই চরণেকে ল’য়ে। উপনীত হইলেন বইবুনে গিয়ে ॥ পাগল বলিল রাই তুমি বাড়ী যাও। আমি আসিতেছি তাহা অগ্ৰে গিয়া কও ৷ গঙ্গাচণ অসিবার সময় কালেতে । কলাতল দেখা হ’ল নায়েরীর সাথে ॥ নায়েরী রাইকে ধরি বাড়ী পর নিল । মহোৎসবের বাৰ্ত্ত সব জানাইল । রাই কহে জানত না বৃত্তান্ত সকল । তোমার এ নিমন্ত্রণ দিতেছে পাগল ॥ এ সময় পাগল আসিল ফিরে ঘুরে । নায়েরীর কথা রাই কহে পাগলেরে ॥ পাগলের ঠাই রাই কহিতে লাগিল । পাগল বলেন ইহা কেন জিজ্ঞাসিল ॥ করিবেক মহোৎসব যদি থাক্যে ভাগ্যে । বিশেষতঃ মহাপ্রভু দিয়াছেন আজ্ঞে ॥ অমনি চলিল দোহে গঙ্গাচর্ণ হ’তে। ওঢ়াকাদি মহোৎসব চৌধুরী বাটিতে। স্বয়ং মহাপ্রভু যান চৌধূরী আলয় । নায়েরীর নিমন্ত্রণ পাগল জানায় ॥ ঠাকুর বলেন সবে যাও কলাতলা । মহোৎসব করিবেক একটী অবলা ॥ অামি করয়াছি আজ্ঞা কেহনা থাকিও । মায়েরীর মহোৎসবে সকলে যাইও । অধিবাস দিন তথা গেলেন পাগল । ক্রমে হরিবল চলে বলে হরি বোল ॥ মহোৎসব দিনে সব হইল উদয় । সঙ্গেতে অনেক লোক চলে মৃত্যুঞ্জয় ॥ বদন গোস্বামী যায় লইয়। মতুয়া। • পার হ’তে এসে ঘাটে নাহি পায় খেয় ॥ পঞ্চাশৎ রসী হ’বে নদীর বিস্তার। সেই নদী মধ্যে কেহ দিতেছে সাতার ॥ হরি বলি কেহ যায় ঝাপিয়া ওপার । কেহ লম্ফ দিয়া পড়ে নদীর ভিতর ॥ নদীর মধ্যেতে আছে শিকারী কুঞ্জীর। তার যন্ত্রণায় লোক অনেকে অস্থির ॥ ঘটে বঁাশ গাড়ী তাতে বাত লগাইয়া । খোয়াড় বঁধিল তাতে গ্রেক লোহা দিয়া ॥ মতুয়ার। তাহ দেখি ভয় নাহি করে । হরি বলে ঝম্প দিয়া জল মধ্যে পড়ে। কেহ বলে সনাতনে করেছিলে পার। হয় পার কর নহে কবুহ আহার ॥ শিকারী কুন্তীর তথা মাঝে মাঝে ভাসে। মতুয়ার তাহ দেখি হরি বলে হাসে ॥ এই মত মাতোয়ারা মনের আনন্দে। হাসে কাদে নাচে গায় ডাকে হরিচাদে ॥ পাগল আসিল পারে ওপার বদন । একখানি নৌকা পেয়ে উঠিল তখন ॥ এ পার আসিয়া সব নামিবার কালে । নৌকা থানী ডুবে যায় মধুমতী জলে । যার নৌকা সেই জন আসিয়৷ তথায় । কঁদিতে লাগিল ধরি পাগলের পায় ॥ এমন সময় এক কুন্তীর ভাসিল । কুম্ভীরের সম্মুখেতে পাগল পড়িল ॥ বীপ দিয়া ডুব মারী পাগল সেখানে। ডাক দিয়া বলে তোর নৌকা এই খানে ॥ । ভয় কেহ নাহি জায় নদীর কিনারে । নৌকায় গলই জাগে জলের উপরে ॥ গোসাই কহিছে তোর কিছু নাহি ডর। গলই জেগেছে তুই আগু হ’য়ে ধর । ধরিয়া লইল নৌকা সেচিল তখন। তাহাতে হইল পার যত ভক্তগণ ॥ নায়েরীর বাট সব হল উপস্থিত। দৈবে ঘোর মেঘ সজ্জা হৈল আচম্বিত ॥ গোলোক পাগল দেখি কুপিল তখন। মহোৎসব বাদী ইন্দ্ৰ হ’ল কি কারণ ॥ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসে ডেকেছে ঘনেঘন। এস মোর করিব ইন্দ্রের সহ রণ ॥ অন্বেষণ করে মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের । মৃত্যুঞ্জয় পাগলের ভাব পেল টের। মৃত্যুঞ্জয় বলে, রাগে স্বধর্মের হানি। এসহে ঠাকুর খুড়া মোর। হারি মানি ॥ মৃত্যুঞ্জয় বাক্য শুনি গোলোক পাগল । মনোগত রাগযত হ’য়ে গেল জেল ॥