- متمام همت تیمتقننه تخت . ›ዓ8 শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । মোরে পাঠালেন, স্বামী বলিলেন, খাইবেন ভাল হ’য়ে ॥ কুবের রমণী, কহিছেন বাণী, - এই কথা নহে সাচ । উহ ন মানিব, আমি ন যাইব, ছাড়িয়া কাপড় কাঁচা ॥ কহিছেন রাগী, কি কহিলি মাগী, কুবের ক্রোধেতে পূর্ণ। গোসাই লোচন, কহিছে বচন, এ রাগ কিসের জন্ত ॥ বাছারে কুবের, কপালের ফের, মাকে কেন মন্দ বল । ক্রোধ নহে ভাল, তুমি আমি ভাল, মাত ও কহিছে ভাল ॥ চলহ এখন, আমরা দুজন, পাক তায়োজন করি । মা আসিবে পরে, পাক ৰুরিবারে, আমরা কি কাজে হাfর ॥ গোস্বামীকে আসিয়ে, কুবেরেকে ল'য়ে, রাখিয়ে নিজের ঘরে । যাইয়। গোসাই, সে নারীর ঠাই, কহিছেন মৃত্ন’ স্বরে ॥ মী এস এখন, ভোজন করিব আমি । সুপুরুষ হ’য়ে, খাইব বসিয়ে, দেখিতে পাইব। তুমি । তাহা শুনি সতী, অতি শীঘ্ৰ গতি, ভকতি করিল মনে । অন্নাদি ব্যঞ্জন, • করিল রন্ধন, লোচন বসি ভোজনে ॥ দেখিবারে পায়, শুীম নীলকায়, তাহাতে উঠেছে জ্যোতি । শশী শোভাবন্ত, দন্ত মুকুতার পাতি ॥ হস্ত পদাঙ্গুল, অতুল রাতুল, জবাফুল শোভ করে । কি অতুল পদ, যেন কোকনদ, চন্দ্র পতিত নখরে ॥ সেরূপ দেখিয়ে, পড়ে লোটাইয়ে, দিব্য জ্ঞান পেয়ে কয় ! করহ রন্ধন, অধর শ্ৰীমন্ত, তোমার শিবিরে, ডেকেছে কুবেরে, শিবের ধন উদয় ॥ কুবের দেখিয়া, তাহার নারীর পায় । চেতন পাইয়া, কহিছে কাদিয়া, আমার মস্তকে অtয় ॥ তুই নারী ধষ্ঠে, এ রূপের জন্তে, করেছিলি এ ছলনা। তোর স্পর্শ জন্ত, মোর দেহ ধষ্ঠ, সব শূন্ত তোমা বিনা ॥ কুবের গৃহিণী, যেমন যক্ষিনী, তেমনি মানি তোমারে । পড়িল ঢলিয়া, ভবানীর শোভা, পদে দিয়া জবা, দেখাইল কুবেরেরে ॥ - অদ্য তোর গুণে, আমার ভবনে, দেখিতে পাইকু তাই । এই বাঞ্ছা করি, তোমা হেন নারী, জনমে জনমে পাই ॥ দেখিতে দেখিতে, ক্ষণেক পরেতে, সেইরূপ লুকাইল। হরিষে বিরলে, গললগ্নি বাসে, কুবের পদে পড়িল ॥ ধরিয়া লোচন, করি আলিঙ্গন, কহিলেন কুবেরেরে। যা দেখ নয়নে, তোমাদের গুণে, যার কাজ সেই করে ॥ ধষ্ঠ সে কুবের, ধন্ত এ ভবের, লোচনের পদ সেবি । , শ্রবণে মঙ্গল, হরি হরি বল, রচিল তারক কবি ॥ শ্ৰীমল্লোছন গোস্বামীর জয়পুর গমন। পয়ার । গোস্বামী বেড়ান সদ। তরণী বাহিয়া। কখন বা পদব্রজে বেড়ান ভ্ৰমিয়া ॥ ভাদ্র মাসে একদিন তরীখানি ল’য়ে। এক। চলেছেন সাধু সে তরী বাহিয়ে ॥ ধীরে ধীরে চলেছেন তরীখানি ভগ্ন । টুণ্ড হাতে ধরে ডাণ্ডি করে করি লগ্ন ।
