পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r জন্মের সার্থক আমি কৃপার ভাজন । গোসাই দিলেন লাথি ধন্য এ জীবন ॥ অন্য লোকে লাথি ভেবে হ’য়েছে আকুল । লাথি নহে মম পৃষ্ঠে আশীৰ্ব্বাদী ফুল । তাহা শুনি গোস্বামীজী হাটীয়া চলিল । মৃত্যুঞ্জয় তাহ শুনি নীরব হইল ॥ " হীরামন লীলা খেলা মহিম। আপার । এ লীলা রচিল কবি রায় সরকার. { হীরামন গোস্বামী কর্তৃক মৃন্ময়ী . দুর্গাদেবীর স্তন্যপান । . পয়ার --বেথড়ি গ্রাম নিবাসী গোবিন্দ বিশ্বাস। তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা চৈতন্য বিশ্বাস । কৃষ্ণ ভক্ত শিরোমণি সাধু অতিশয়। বৈষ্ণব সুবুদ্ধি, অতি নিৰ্ম্মল হৃদয় ॥ করিতেন দুর্গোৎসব শরৎ কালেতে । আসিতেন হীরামন সে লীলা দেখিতে ॥ বসিয়া দেখিত পূজা প্রণালী সকল । তাহা দেখি নয়নে বহিত অশ্রু জল ৷ ব্রাহ্মণের মণ্ডপের বাহির হইলে । হীরাম্ন উঠিতেন দুর্গা দুর্গ বলে। ম৷ দুর্গে! মা দুর্গে ! বলে ছাড়িতেন হাই । হাসিয়া বলিত আমি মার কোলে যাই ॥ . এত বলি গোস্বামী মায়ের গলা ধরি ॥

  • বলে পুত্র কোলে কর ওগে। মা শঙ্করী।

এত বলি কোলে উঠিবারে আয়োজন। হেন কালে এল তথা পূজক ব্রাহ্মণ ॥ বলে ও পাগল ও কি করহ ওখানে । যাইতে হয় না মার কোলেতে এখনে ॥ এত শুনি প্রতিমার গলা ছেড়ে দিয়া। চাহিয়া প্রতিমা পানে র’ল দাড়াইয়। ॥ মৃদু মৃদু হাসে আর মৃদু ভাষে কয় । মায়ের কোলেতে বলে যাওয়া নাহি যায়। মার সেবা অন্তে কিছু প্রসাদ লইব । মায়ের কোলেতে বসি স্তন দুগ্ধ পিব । তাহা ন হইল মোর আমি অভাজন। মা কেন করে ন! দয়া না পিয়ায় স্তন ॥ আমি যেন অভাজন মার দয়া কই । কোন গুণে নাম ধরিয়াছ দয়াময়ী ॥ এতেক বলিয়া পুন যাইয়। সত্বরে । বাম হস্ত দিয়া প্রতিমার গলা ধরে । ডান হস্ত প্রতিমার বক্ষঃ পর দিয়া । বৃদ্ধাঙ্গুলী দিয়া স্তন দেখেন টিপিয় ॥ আমাদের এই মাতা সেই মাত হ’লে । দেখিয়। চিনিত মোরে করিতেন কোলে ৷ প্রভু রাম পূজিলেন দুঃখের সময়। মাল্যবাণ পৰ্ব্বতে মা হ’লেন উদয় ॥ অকালে দেবীর পূজা ব্ৰহ্মা পুরোহিত। পূজা নিল দেবী বড় হ’য়ে হরষিত ॥ সংকল্পিত অষ্টোত্তর শত নীলপদ্ম । শতদল পদ্মে পূজিলেন পাদপদ্ম । সেই দিন পদ্ম আনে তোর কোন বাবা। সেই দিন গত এবে কেমনে চিনিবা ॥ চৌকি দিতে লঙ্কাতে মা হ’য়ে উগ্ৰচণ্ড । রাবণের বাড়ছিলে হাতে ল’য়ে খাণ্ড ॥ বরাবর জানি তুই পাষাণীর মেয়ে। লঙ্কা ছেড়ে দিয়াছিলি মুষ্ঠ্যাঘাত খেয়ে ॥ দেীবারিণী কাজ নাই-চিনিবি কেমনে । এখনেত দুধ খেতে দিবি নে দিবি নে ॥ " পাতালে মহীর বাড়ী ছিলি ভদ্রকালী । বিক্রম দেখিয়া শেষে সদয়া হইলি । সে দিন আমার নাই ওগো ভদ্রকালী। সে যে ছিল ত্রেত যুগ এযে কাল কলি । সংকল্প করিয়া প্রভু পূজিল তোমায়। ছলনা করিলে তবু দুঃখের সময় ॥ পাষাণীর গৰ্ত্তে জন্ম ধৰ্ম্ম বরাবরি। দুঃখের সময় কৈলি একপদ্ম চুরি । সে যুগে দেখেছি তোর কাজ কৰ্ম্ম যত । প্রভুকে করিলি দয়া কাদাইয়। কত ॥ পাষাণীর মেয়ে বলে যত নিন্দ করি । মোরে ধিক শতধিক অপরাধ ভারি ॥ যত সব পাষাণ তোমার পিতৃ জ্ঞাতি। তাহারা ভাসিল জলে দুঃখে হ’য়ে সাথি । যদি কহ ব্ৰহ্ম বাক্য নলের উপরে। তথাপি সহায় হ’য়ে তারা ভাসে নীরে ॥ তোমার যে জ্যেষ্ঠ ভাই মৈনাক নামেতে । সমুদ্রে ডুবিয়া ছিল ইন্দ্রের ভয়েতে ।