পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s . t : २०२ “২ শ্ৰীমদ্রসিক সরকারের উপাখ্যান । পয়ার । - প্রভু জগন্নাথ এল ওঢ়ার্কাদি গ্রাম । ভকত ভবনে সদা ভ্রমণ বিশ্রাম ॥ বাল্যাদি পৌগণ্ড লীলা সফলাডাঙ্গায় । কৈশোরে হইল ভক্ত মিলন তথায় ॥ ওঢ়াকাদি আমভিটা যখন যুবত্ব । ভক্ত সঙ্গে দিবানিশি হরিনামে মত্ত ॥ মত্ত রাউৎখামার আদি মল্লকাদি । হেন কালে প্রভুর বসতি ওঢ়ার্কাদি । ওঢ়ার্কাদি যবে হ’ল লীলাঙ্ক,প্রচার । সবে কহে ওঢ়ার্কাদি উড়িয়ানগর। ওঢ়ার্কাদি ঘৃতকাদি আর মাছকঁাদি। . আড়োকাদি তিলছড়া আর আড়র্কাদি । রামদিয়া ফুকুর নড়ালসীগুহাটি। । নারিকেলবাড়ী পরগণে তেলিহাটি । সাধুস্থাটি মাতিঙ্গ রসিক সরকার । , অলৌকিক কীৰ্ত্তি তার অতি চমৎকার ॥ কলেজেতে পড়িতেন সেই মহামতি । বয়স তখন প্রায় হ’বে দ্বাবিংশতি " প্রথম মুনসেফ হইল বিচারপতি। তিন দিন চাকরী করিল-মহামতি ॥ মানসে বিমর্ষ কাৰ্য্য পরিত্যাগ করি - ছুটি লওয়া ছলে চলে আসিলেন বাড়ী । কায়স্থ কুলেতে উপাধ্যায় সরকার। তাহার পিতার নাম হয় গঙ্গাধর ॥ পিতা হল অসন্তোষ চাকরী ছাড়ায় । মহা দুঃখী তার খুল্লতাত মহাশয় ॥ খুড়া শ্ৰীকৃষ্ণমোহন বলে বার বার। চাকরী করুন। বাপ এ কোন বিচার ॥ তিনি জানালেন সেই রসিকের মায়। রসিকের মাতা গিয়া ঠাকুরে জানায় ॥ রসিকের কি হ'য়েছে নাহি শুনে কথা। চাকরী না করে রহে হেট করি মাথা ॥ যদি কিছু বলি কহে না করিও ত্যক্ত। ওঢ়াকাদি হরিচাদ আমি তার ভক্ত। চল প্রভু সাধুহাট সরকার বাড়ী। তব বাক্যে যদি বাছ করেন চাকরী। - مسسہ، بہت ہیس۔ یع“ ঐত্রহরিলীলামৃত | মহাপ্রভু উত্তরল সাধু হাট গ্রাম । . রসিক প্রভুর পদে করিল প্রণাম ॥ ঠাকুর বলেন বাছা বলত আমায় । চাকরী করন। কেন বলে তব মায় ॥ রসিক বলেন পদে নিবেদন করি । আবু না করিব আমি পাপের কাছারী ॥ আমা হ'তে হইবেন সূক্ষ্ম সুবিচার। অপরাধী হ’ব ল’য়ে বিচারের ভার ॥ কোন অসতের বাক্যে সতেরে মারিব । নির্দোষীকে দোষী, দোষী নির্দোষী করিব ॥ দ্বারগার বংশ নাই অত্যাচার জন্য । বিচারে মুনসেফা কাৰ্য্য সেই রূপ গণ্য । তাই বুঝে ছুটি লই আর নাহি যাই । ধন দিয়৷ কি করিব তোম। যদি পাই ॥ পিত। মাতা খুড় বলে চাকরী করিতে - ধন কি নিধন কালে যাইবে সঙ্গেতে । পড়ে রবে ধন জন কি দালান কোঠা । চুল গাছ সঙ্গে নিতে পারে কোন বেটা। কেব। মাত কেব। পিতা কিসের চাকরী। কিব। রাজ্য কিবা ভাৰ্য্যা দিন দুই চারি ॥ ( z আপনি বলেন যদি চাকরী করিতে ॥ • পাপপুন্ত নাহি জানি যাই চাকরিতে ॥ ঠাকুরের সঙ্গে ছিল মহেশ ব্যাপারী। বসিলেন রসিকেরে দণ্ডবৎ করি ॥ রসিক বলিল মোরে প্রণমিলে কেনে । প্রণামের স্থান আছে দেখন। নয়নে ॥ যশোমন্ত সুত হরি চাদ জগন্নাথ । - বর্তমানে সেচরণে কর প্রণিপাত ॥ মহেশ বলিল হেন স্থান যে দেখায়। তার পদে দণ্ডবৎ আগে হ’তে হয় ॥ ঠাকুর বলেন শুন রসিকের মাত । তোমার এ ছেলে না শুনিবে কারু কথা ॥ তোমার গৰ্ত্তেতে জন্ম এ মহাপুরুষ । অনুমানে বুঝি হ’বে ত্রেতার মানুষ ॥ রসিক গেলেন জয়পুর রাজধানী । ভেটিতে গেলেন জয়পুর নরমণি ॥ ধৰ্ম্ম শাস্ত্র আলাপ রাজার সঙ্গে করে। রাজা করে সবিনয় রসিকের তরে ॥ পড়েছি বিপদে বড় গৌরাঙ্গ লইয়া । পণ্ডিতেরা নাহি মানে স্বয়ং বলিয়া ।