পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و به د তীর্থ ভ্রমণ কারণে, গিয়া ছিল বৃন্দাবনে, হাকৃষ্ণ হtষ্কৃষ্ণ রব মুখে । জয় রাধ। রাণী জয়, বলিত সব সময়, জয় হরি বলে ফিকে ফিকে ॥ . সাধু হাট গ্রামেঘর, শ্রীরসিক সরকার, তিনিও ছিলেন বৃন্দাবনে । শুীম কুণ্ডের নিকটে, শ্রীরাধা কুণ্ডের তটে, দেখাদেখি হয় দুইজনে ॥ দুই সাধু মেশামেশি, প্রেম রসে তাসাভাসি, হরিকথা প্রেমের আলাপে । কহিছে রসিকচন্দ্র, মনেতে পরমানন্দ, সাধু রাম ভরত সমীপে । কহ তব কোথা ধাম, কিবা জাতি কিবানাম, রসিকের শুনিয়া ভারতী । বলে রামভরত নাম, উপাসনা রাম নাম, অযোধ্যায় আমার বসতি ॥ রামভরত জিজ্ঞাসে, তব ঘর কোন দেশে, . রসিক দিলেন পরিচয় । বঙ্গদেশে মমধাম, সাধুহাটী নামে গ্রাম, রসিক আমার নাম হয় ৷ জনম কায়স্থ কুলে, বের হই কৃষ্ণবলে, যদি প্রভু করিতেন দয়া। করিতীৰ্থ পৰ্য্যটন, অযোধ্যাদি বৃন্দাবন, ঘুচাইতে সংসারের মায়া ॥ সাধু একথা শুনিয়া, ' দুই বাহু প্রসারিয়া, জড়িয়া ধরিল রসিকেরে ॥ আমিও যেমন দুঃখী, তোমাকে তেমন দেখি, বলিব কি যে দুঃখ অন্তরে ॥ বাসন হ’তে বৈরাগী, হ’য়েছি সংসার ত্যাগী, - রামনাম করিয়া স্মরণ। তবু মায়। ফাসীগুণে, সংসার বন্ধনে টানে ঘুচাইতে পারিনা কখন ॥ রসিক কহে তখন, মিছা করেছি ভ্রমণ, কাশী কাঞ্চি অবন্তী মথুরা ভ্ৰমি অযোধ্য ভুবন, আইলাম বৃন্দাবন, ভ্রম মাত্র এ ভ্রমণ করা ॥ ভ্রমণেতে কাৰ্য্য নাই, মনের মানুষ যেই দেশে । করিয়৷ তীর্থ ভ্ৰমণ, করি দিকদর্শন, রাজক্রিয় মনের হাউসে ॥ শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । এবে নিজ দেশে যাই, . শুনা মাত্র এই কথা, মনের মানুষ কোথা, রামভরত কহে কঁাদি কাদি । রসিক কহিছে তয়, মম মন যে ভুলায়, সে মানুষ আছে ওঢ়াকাদি ৷ মমপ্রাণ তার ঠাই, তবু যে ঘুরে বেড়াই, সেকেবল মনের বিকার । শুনহে রামভরত, গুরু করি শত শত, সেগুরু যে নাশে অন্ধকার ॥ যেখানে সেখানে যাই, স্থান মাত্র দেখি ভাই, দেখে শুনে জন্মিয়াছে হুষ । শ্ৰীক্ষেত্র নৈমিষবন, নবদ্বীপ বৃন্দাবন, নরলীলা সকলি মাতুষ ॥ এক মানুষের খেলা, সকল মানুষ লীলা, ' আছে যারা তারাও মাকুষ । - কত স্থানে কত মূৰ্ত্তি, মানুহ গঠিত মূৰ্ত্তি, রক্ষণকারী তারাও মানুষ । . আমি যে মানুষ বরে, জন্মিলাম ধরাপরে, সেই মোর মনের মানুষ। মনের কথা ষে জানে, সে মানুষ সন্নিধানে, যাই ভাই দেখিগে মানুষ । সাধু কহে রসিকেরে, সে মানুষ দেখিবারে, ’ আমি কি যাইতে পারি সাথে । রসিক কহিছে তারে, সে মানুষ দেখিবারে, বিশ্বাস কি হইবে মনেতে ॥ ভরত কহিছে ভাই, আর ছাড়াছাড়ি নাই, তুমি গুরু আমি যেন শিষ্য আমিত যাইতে নারী, লহ মোরে সঙ্গে করি, সে মানুষ দেখিব অবশু ॥ আসিয়া রসিক সঙ্গে, উপনীত হ’ল বঙ্গে, তারাইল কাছারীতে রয়। তথা লইয়। চাকরী, সদা বলে হরি হরি, সাধুহাটী মাঝে মাঝে যায়। থেকে রসিকের সঙ্গে, কৃষ্ণ কথা রসরঙ্গে, এক এক বার উঠে কাদি । কেঁদে কহে রসিকেরে, দেখাবে বলিলে মোরে, ক’বে ল’য়ে যা’বে ওঢ়ার্কাদি। রসিক কহিছে তারে, আমি য। ভাবি অন্তরে, ভাবিলে ঠাকুর দেখা পাই । আমি যাব পিছু ভাগে, তুমি ধাও কিছু আগে, ঠাকুর চিনিয়া লহ ভাই ॥ - _م -----------------------------------------------------------------------------------------------