পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e - ২১৪ জাত-মৃত পুত্রের জীবন দান । 이 যবে আনন্দের বংশে পুত্র নাহি হয় । মেঝে ভ্রাতা হীরামন নামে যেই রয় ॥ তার গৃহে জনমিল একটা নন্দন । গর্ভস্রাব যন্ত্রনাতে ত্যজিল জীবন ॥ . সে আনন্দ নিরানন্দ শুনে শ্রুতি মূলে । দিয়া পুত্র ওহে হরি কেন হরি নিলে । আনন্দের মত। সতী আয়ুবতী নামে । খোলায় ভাজিল নাড়ী জীবদিব কামে ৷ শুনিয়া আনন্দ ওঢ়াকাদি মুখ হ’য়ে । উচ্চৈঃস্বরে হরিচাদে সুধায় ডাকিয়ে ॥ ওরে বাবা হবিচাদ ওঢ়ার্কাদি বাসী। দুৰ্গতি বিনাশ কর দুর্গাপুর আসি ॥ এক ডাক দুই ডাক তিন ডাক দিল । : ওঢ়ার্কাদি থেকে হরি কর্ণেতে গুনিল ॥ ভক্ত বাক্য রাখিবারে অসিলেন আশু । চেচায়ে উঠিল সদ্য জাত মৃত শিশু ॥ অপার মহিমা প্রভু পূর্ণ অবতার। প্রশস্ত গার্হস্থ্য ধৰ্ম্ম এল শিখাবার ॥ অবনীতে অবতীর্ণ ভব কর্ণধার। করিলেন শেষ লীলা অতি চমৎকার ॥ হরিবর আনন্দেব হয় জ্যেষ্ঠ পুত্র। অতপর তারকের হ’ল শিষ্য পুত্র । আনন্দ বলিল তারকের বরাবর । .” তোমারে দিলাম মম পুত্র হরিবর ॥ ভক্তিভাবে যেই করে এলীল। শ্রবণ । ধনধান্ত বিদ্যালাত পায় পুত্ৰধন ॥ এ তারকের শিষ্য হরিবর তাহে হ’ল । হরিচাদ প্রীতে সবে হরি হরিবল ৷ মহানন্দ মহানন্দ এ গ্রন্থ রচনে । দশরথ রসন। রমনা ইহা ভনে ॥ মুর্তন সংঞ্চমে- ন8 দেশের পূর্বাবস্থাও আনন্দের সঙ্কটাপন্ন ব্যাধি মুক্ত। পয়ার । o ওঢ়ার্কাদি অবতীর্ণ ভবকর্ণধার। . স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য ব্যপি চলে প্রেমবঙ্গ তাঁর । < শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । পুৰ্ব্ব বঙ্গে হরিনাম নাছিল প্রচার । ক্রমে ক্রমে ঘরে ঘরে নামের সঞ্চার ॥ কেহ রোগে কেহ শোকে ধনের লাগিয়া । পুত্ৰ হীন পুত্র জন্য মিলিল আসিয় ॥ কেহ যদি হরিনাম কখন বলিত । চমকিত হয়ে সবে গালাগালি দিত । মানুষ মরিলে যাহ। বলে তিনবার। খানক। বলিস তাই বাড়ীর উপর । কি সাহস তোর কিছু ভয় নাই মনে । মরিতে বাসনা তোর হ’ল কি কারণে ॥ পরে পূর্ববঙ্গে শোধিবারে ঋণ ধার। যাশোমন্ত রূপে হরি হ’ল অবতীর ॥ ঘরে ঘরে দ্বারে দ্বারে প্রাচারিল নাম । কিবা দিব। বিভবেরী নাহিক বিরাম ॥ হরিবল হরিবল হরিবল হরি - - উচ্চৈঃস্বরে নাম করে ব্যোম ভেদ করি । হাসে কঁদে নাচে গায় হইয়া বিভোলা । নামগুনে রূপ দেখে কেহব। মাতিল ॥ কেহ বলে মতুয় কেহব। হরি বোল।। কেহ করে গলাগলি হরিবল শাল ॥ গালাগালি পরে ক্রমে ঢল ঢলি হয়। ক্রমে দেশ ডুবে গেল নামের বস্তায় ॥ পুত্র পেয়ে হরিবোল হইল আনন্দ । ওঢ়ার্কাদি আসে যায় করে প্রেমানন্দ ॥ কতু বা সস্ত্রীক কভু সপু এক যান । প্রভুনামে সংকীৰ্ত্তন বেঁধে করে গান ॥৫ সব লোকে বলে তুমি ওঢ়ার্কাদি যাও। যাহা লও তাহ দিয়ে বাড়ী এসে খাও ৷ যত লোক যায় যত দ্রব্য ল'য়ে সাথে । সবদ্রব্য কেড়ে রেখে নাহি দেয় খেতে ॥ তাহ।শুনি আনন্দের অন্তরে বিষাদ । বলে ভাই খানাক করোনা বিষম্বাদ ৷ শোকে রোগে দায় ঠেকে ওঢ়াকাদি যাই। দায় মুক্তি চাই মোর খেতে নাহি চাই ॥ রোগী ভিন্ন অণ্ঠ অঙ্গ যত লোক যায়। পরম আদরে তারা পরমান্ন খায় ৷ আনন্দ আনন্দ মনে করে বিবেচন । আt'জ যা’ব ওঢ়ার্কাদি না খেয়ে আসূবন ॥ পথশ্রান্তে উপনীত প্রভুর গোচরে। সভক্তি প্রণাম করে শ্রীপদনথরে ॥ 例 “ང་ :