পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ : i রামায়ণ গায়কের গায় রামায়ণে । শিব শুক নারদাদি তত্ত্ব নাহি জানে ॥ তব ভূত্য মোরা জগন্নাথ পরিবার। নর কুলে নরাধম কি বুঝি তোমার ॥ তব কৃপা জন্য ধন্স হইকু এবার। ওঢ়াকাদি শ্ৰীধামে এ লীলার প্রচার ॥ এ প্রসাদ নিলে দিলে বলিবারে মান । মোরা কি বলিব জানিবেক ভক্ত জনা ॥ অস্তুরঙ্গ বহিরঙ্গ সকলে জানিবে। এ হেন আশ্চৰ্য্য লীলা গোপনে কি ব্ল’বে ॥ প্রভু বলে হয় হয় না রবে গোপন । গ্রন্থে তুলি ভক্তগণে করিবে কীৰ্ত্তন ॥ অভক্ত কি ভক্ত ইহা জানিবে বিশেষ । জানিল ভবানী এক ভাসাইবে দেশ ॥ এত বলি পাণ্ডীদ্বয় বিদায় করিল । পাণ্ড দ্বয় সে প্রসাদ অনেকে বিলা’ল ৷ দী চতুপাশ্বে যত গ্রাম ছিল। বহুদিন থেকে সে প্রসাদ বিলাইল । কেঁদে কেঁদে বলিত প্রসাদ বিবরণ। মাঝে মাঝে করিতেন শ্রীরূপ দর্শন ॥ ধষ্ঠ। সে ভবানী দেবী পাও দুইজন। জয় জগন্নাথ পুৰ্ব্ববঙ্গে আগমন ॥ ওঢ়ার্কাদি শীক্ষেত্র একত্র এক কাজ । রচিল তারক চন্দ্র কবি রসরাজ ॥ ভক্ত জয়চাদ উপাখ্যান । পয়ার । ঠাকুরের প্রিয়ভক্ত জয়চাঁদ ঢালী । তাহার বসতি ছিল গ্রাম ভূম্বাইলী ॥ মধুমতী নদী তীরে ভূষাইলি গ্রাম। . পরগণে মকিমপুর জয়চাদ নাম ॥ মকিমপুর কাছারী চাকরী ছিল তার। কাছারীতে ভালবাসা ছিল সবাকার ॥ নায়ের মুহুরী কিম্বা আমিন পেস্কার। সবাই বাসেন ভাল, বাক্য মানে তার ॥ জমিদার ঘদি কোন কাৰ্য্য করিতেন। জয়চাদ নিকটেতে সম্মতি নিতেন ॥ রাণী রাসমণি তিনি বড় দয়াময়ী । মণ্ড্য লোকে জন্ম ভগবতী অংশ সেই । t শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। তাহার অধিন মকিমপুর পরগণ। সদর কাছারী তার মকিমপুর থান। আট টাকা মাহিয়ানা পা’ক যতজন । দশটাকা ছিল জয়চাদের বেতন । আমালারা মফস্বলে নজর পাইত । জয়চাদ যদি সেই সঙ্গেতে যাইত ॥ আমলার নজর পাইত যেই খানে । জয় চাদ নজর পাইত সেই সনে ॥ এই মত সম্মানিত ছিল কাছারীতে। অধৰ্ম্মের কার্য্য না করিত কোন মতে ॥ নড়াইল বিনাসিনী ভবানী নামিনী। রাম কুমার বিশ্বাসের মধ্যম। ভগিনী ॥ সেই মেয়ে আসিতেন ভূষাইল গ্রামে। ছিলেন প্রমত্ত। হরিচাদ নামে প্রেমে ॥ তাহার নিকট শুনি হরিচাদ বাৰ্ত্ত । জয়র্চাদ সমৰ্পিল মন প্রাণ আত্মা ॥ জয়চাদে ভাই ভাই বলি ডাকিতেন। জয়চাদ দিদি সম্বোধন করিতেন ॥ ঠাকুরের মহিম। সে বহুত কহিল । মন ভুলে জয়চাদ ভাবোন্মত্ত হ’ল । জয়চাদ কেঁদে কহে ভবানীর ঠাই । ঠাকুর নিকটে আমি কেমনে বা যাই ॥ কেমনে পাইব আমি ঠাকুরের দেখা । ঠাকুরে না দেখে আর নাহি যায় থাকা । দেহ মন প্রাণ মম সকল নিয়াছে। .চৰ্ম্ম চক্ষে দৃষ্টি মাত্র বাকী রহিয়াছে। দেহ মাত্র রহিয়াছে পিঞ্জরের প্রায় । মন পাখী উড়ে গেছে ঠাকুর যথায় ॥ আমি যে কি হইয়াছি বুঝা নাহি যায়। হরিচাদ রূপ মম জেগেছে হৃদয় ॥ ঝোরে আখি রূপ যেন দেখি দেখা যায়। শীঘ্ৰ নিয়া হরিচাদে দেখাও আমায় ॥ گی۔ তাহা শুনি সে ভবাণী করিল স্বীকার । তোমারে দেখা’ব নিয়া ঠাকুর আমার ॥ দিন করিলেন যা’ব কল্য সকালেতে । ভবানী থাকিল জয়চাদের বাটতে ॥ নিশী পোহাইল দোহে ভাব উন্মাদেতে । চিন্তা জাগ্রজুলুদে ভাবনা বিচ্ছেদেতে ॥ ব্ৰহ্ম-মুহূর্ডের কালে চলে দুইজনে। প্রেমে গদ গদ বারি বহিছে নয়নে ॥