পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s হরিপাল বলে ওরে গদাই বাওয়াগী। দুই তিন জোল খাল পার হয়ে গেল । দুর্গম বাদণর মধ্যে হাটিয়াচলিল ॥: ; কই তোরকোটা গাছ কোথা ল’য়ে সালির গদা বলে হরিপাল বুঝিতে নাপার। - । সময় থাকিতে পরকালু চিন্তা কর। ; } আমার নিয়ম আছে বার্ষিক এস্থান:5:3': ' একটা মামুব দেই বাঘের যোগান ; ; ; ; সেই জন্য আসিয়াছি তোস্বারে লইয়ে। . তোরে দিয়া সেবার্ষিক যা’কশোধ হয়ে’ । হরিপালে ধরি তথা বসাইয়1রাগ্নে : , দুরে গিয়া গদ্বাই চালান মন্ত্র ডাকে ১ বসিলেন হরিপাল নয়ন মুদিয়া । i মরিলাম,হরিচাদ-বিদেশে আসিয় ॥ কেন মোরে বাদায় প্লাঠালে স্বপ্নাদেশে। । রাখ মহাপ্রভু আমি মরিকু বিদেশে ॥ এ বিপদে যদি পদে স্থান নাহি দিবে। অকলঙ্ক নামে তব কলঙ্ক রহিবে ॥ বাঘে থা’বে এত ভাবি ছেড়ে দিল দেহ । ] চুক্ষে ধারা জ্ঞানহীরা পড়ে গেল মোহ ॥ কতক্ষণ তথা অচৈতন্য হয়ে ছিল। . দৈব এক মহাপুরুষ তথায় আসিল ॥ হরিপালে উঠাইল ধ’রে দুই হাতে। বলে আমি আসিয়াছি ওঢ়াকাদি হ’তে ॥ ভয় নাই বাছারে নয়ন মেলে থাক । গদাই কি করে তাহা ব’সে ব’সে দেখ ॥ হরিগ্রীব। পরে হরি বসে পাছ দিয়ে। দুই দিকে দুই পদ বক্ষে বুলাইয়ে । দাড়িয়ে রহিল এক লৌহ গদা হাতে। হরিপাল বসিয়া রহিল নিৰ্ভয়েতে ॥ উরুযুগ বক্ষে চাপি বঙ্কিম জঙ্ঘায়।যেন নরসিংহ মূৰ্ত্তি ভয়ঙ্কর কায় ॥. ; হরিপাল বাহুযুগে উরু চাপি ধরি। } &চরণ হেরি দুনয়নে বহে বারি ॥ জীবমানে হেরিনাই শ্রীচরণ-তরী। দেখিব দেখিব মনে আশা ছিল ভারি। সেই আশা পূর্ণ হ’ল নৌকা বিসর্জনে। বৰ্ত্তমানে দেখিলাম গদাইর গুণে ॥ মৃত্যুঞ্জয়ে বিরচিত স্তোত্র গীতি যাহা । & স্থচিয় লক্ষণাদি দেখিলাম তাহা ॥ মন্ত্র পঠি ডাকে গদা হ’ল এক শৃঙ্গ। -- ভূমি কম্পে প্রায় শব্দেবনজন্তস্তব্ধ::-:ভs. সব পক্ষী উড়িল নিদান ডাক ছাড়ি: - ১ চকের মধ্যেতে যেন মহাহুড়াহুড়ি । ভীষণ শাৰ্দ্দল একতথায় আসিয়া " হরিপাল সম্মুখে পড়িল লম্ফ দিরা ॥7 - 2 ব্যাঘ্র এসে অল্পমাত্র রহিল তফাৎ1: . ব্যবধান অনুমান চারি পাচ হাত . . ১ লকৃ লক্ জিহবাএক-হীত পরিমাণ : ; লালাইছে বাহির করিয়৷ জিহব খান : , গর্জন করিছে ব্যাস্ত্ৰ হেন জ্ঞান হয়: . ভীমনাদে মহাক্রোধে:মাট ফেটে যায় ॥ . দণ্ড চারি এইরূপে গর্জন করিল। লম্ফ দিয়া দৌড়াইয়া ব্যাঘ্র পলাইল । গদাইর দ্বিকেতে হইল ধাববান । তাহা দেখি উড়েগেল গদাইর প্রাণ ॥ শঙ্কা পেয়ে গদাই কহিছে অতঃপরে । বলে বাবা হরিপাল রক্ষা কর মোরে । না বুঝিয়া হেন কাৰ্য্য করিয়াছি তোম। তুমি সাধু হরিভক্ত মোরে কর ক্ষমা ৷ তুমি মম পিতা হও আমি রং ছেলে । মরেছি মরেছি বাবা রাখ পুত্র বলে ॥ . আর আমি আসিবন বাওয়াল করিতে। এইবার বাচাইয়া লহরে দেশেতে ॥ স্বন্ধে থেকে প্রভু ডেকে বলে হরিপালে । বাচাইয়া লহ ওরে হ’ল যদি ছেলে ॥ এ বেটারে যদি অদ্য বাঘে ধ’রে খাবে। দুৰ্গম বাদার পথ কে দেখা’য়ে ল’বে ॥ হরিপাল আজ্ঞা দিল ব্যাঘ্র ফিরে গেল । ভয় নাই বলিয়া গদারে আশ্বাসিল ॥ দয়া করি গদাইর প্রাণ দান করি । তরীতে আসিল হরি বলে হরি হরি ; পুনৰ্ব্বার সায়রে র্যোয়ারে দিল টান । এক সঙ্গে ভাসাইল তরী তেরখান ॥ খুলনা আসিল যবে ট্যাক্সের অফিসে । হরিপালের নৌকা সকলের পাছে আসে। ট্যাক্স ঘাটে সকলের নৌকা লাগাইল । বিশ ত্রিশ টাকা প্রতি নৌকায় লাগিল ॥ হরির তরণী না ডাকিল টেক্স ঘাটে । নিজ ঘাটে নৌকা বেয়ে এল নিঃসঙ্কটে ৷ 3