পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांलेि शं९ ॥

সে মহা পুরুষ কহে নাহি তোর কষ্ট।

অামি তোর কৃষ্ণ হই আমি তোর ইষ্ট ॥ যশোদা দুলাল আমি ভকতবৎসল । তোর জন্য বাছ আমি হ’য়েছি পাগল । গুরুমন্ত্র লয় জীবে মোরে পাইবারে । এই আমি পশিলাম তোমার শরীরে। গুরুনিষ্ঠা লোক হয় আমার পরাণ । তুই মোর প্রাণ বাছ আমি তোর প্রাণ ॥ দুষ্ট। দুশ্চারিণী তোর গুরুর রমণী। গুরু দণ্ড করিল তোমারে যাদুমণি ॥ গুরুপাট নিকটেতে আর নাহি যেও । হরি বলে ঘরে ঘরে ভিক্ষা করে খেও । এবে আমি হইয়াছি যশোমন্ত সুত । তোমার দেহেতে হইলাম আবির্ভূত। - মুকডোবা ছিন্তু বাসুদেব মূৰ্ত্তি ধরে। যশোমন্ত স্থত হৈন্থ রামকান্ত বরে। পরশুরামের দেহে বিষ্ণুতেজ ছিল। . রামের দেহেতে তেজ যেমন মিশিল ॥ যশোমন্ত স্থত দেখা যেখানে পাইব . আমি গিয়া সেই দেহে মেসামেসি হ’ব। তোমা হেন ভক্ত ছেড়ে নাযা’ব কখনে । আমি তোর তুই মোর জীবনে মরণে ॥ এতগুনি ব্ৰজনাথ ভ্ৰমিয়া বেড়ায় । কখন বা বৃক্ষতলা কখন অলিয়। মনে চিন্তা যশোমন্ত সুত কোন জন। কবে তার শ্ৰীঅঙ্গ করিব দরশন। এদিকেতে সফল নগরে প্রভু বাস । ব্ৰজনাথ মিলনেতে মনে হ’ল আশ ॥ উত্তরাভি মুখে প্রভু একদিন চলে। ডাকে প্রভু আহারে ব্রজারে কোথা বলে। এমন সময় উপনীত ব্ৰজনাথ । বসাইল প্ৰভু তারে হাতে ধ’রে হাত । নাটু আর বিশ্বনাথ সঙ্গে দুইজন। দোহে দেখে দুজনার অপূৰ্ব্ব মিলন। বার তের বৎসর বয়স এক ছেলে । , পরিধান পিতাম্বর বনমাল৷ গলে ॥ রতন বলয় হাতে চরণে নুপুর। নবঘন শ্রাম বর্ণ মুরতি মধুর ॥ ২ শিরে শোভে শিখিপাখা করে শোভে বঁাশী । ঞ্জিমুখে মধুমখ৷ মৃদুলছ হাসি। إ. ما ] ব্ৰজনাথ অঙ্গ হতে উঠে এক জ্যোতি। সেই জ্যোতি হ’তে এই মধুর মূরতি ॥ । ত্রিভঙ্গভঙ্গিম বাকা হাসি কথা কয় । হরিচাদ শ্ৰীঅঙ্গেতে সে অঙ্গ মিশায়। ঠিক যেন ব্রজধামে যমুনা মাঝেতে। * বাসুদেব পড়ে বসুদেব হাত হতে। সেই দেহে আবিহুত গেলোকবিহারী । বসুদেব সেই পুত্রে নিল কোলে করি। যশোদার গৰ্ত্তে হয় যমক সন্তান, সেই পুত্র এই পুত্র দোহে মিশে যান। ভাগবতে শ্লোক আছে তাহার প্রমাণ । ব্যাস বিরচিত শ্লোক মুক দেব গান। শ্লোক। বসুদেবগৃহে জাত বাসুদেবইধিলায়নি। নীলনদন্থতে রমা ঘনে সৌদামিনী যথা। গৰ্গোবাচ। . . সত্যে শ্বেতবর্ণানি চ ত্রেতায় রক্তবর্ণনি । পীতবর্ণ তথা কলোঁ এদানি কৃষ্ণতাং গতঃ ॥ , পয়ার । - পীতবর্ণ কলিকালে যখনে গৌরাঙ্গ । দ্বাপরে নারদ কহে লীলর প্রসঙ্গ ॥ " নারদীয় পুরাণে ॥ কলে প্রথমসন্ধ্যায়াং লক্ষ্মীকান্তে ভবিষ্যামি । সন্ন্যাসঃ গৌরবিগ্রহ সাত্বায় পুরুষোত্তমে ॥ পয়ার । , স্বয়ং এর কার্য্যে জন্মে ব্ৰহ্মা ইন্দ্রে ভ্রম। কতু নাহি হয় তার গৰ্ত্তেতে জনম ৷ শচীগৰ্ত্তে অবতীর্ণ হইল প্রকাশ। ভারতীর কাছে যবে লইল সন্ন্যাস। হা কৃষ্ণ বলিয়া প্রেমে হইল বিভোর। ভারতী কপিন দিল আর দিল ডোর ॥ কি মন্ত্র দিবেন তাই ভারতী ভেবেছে । বলেন গৌরাঙ্গ প্রভূ ভারতীর কাছে। স্বপনে পেয়েছি মন্ত্র গুরু তোমা কই। ভারতী বলেন সন্ন্যাসের মন্ত্র অই॥ সন্ন্যাস গ্রহণ হ’লে নামান্তর লাগে। কি নাম রাখিব গুরু ভেবেছেন যোগে ॥ হেন কালে শুষ্ঠ বাণী কহে থেকে শূন্ত । , রাধ নিমাইর নাম শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য ॥_ ! |