পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি খণ্ড । (૧ ধৰ্ম্মকন্যা ধৰ্ম্মে দিল ধৰ্ম্মে নিল ধন । ধৰ্ম্মের নিকটে নাহি অধৰ্ম্ম কখন ॥ ধৰ্ম্ম করিয়াছে কৰ্ম্ম অধৰ্ম্ম এ নয় । কন্যাকে বলিলে চোর অধৰ্ম্ম সঞ্চয় ॥ আগে কন্যা বলি যারে করিল। বিশ্বাস । এবে চোরা বলিলে বিশ্বাস ধৰ্ম্ম নাশ ॥ লক্ষ্মী দেবী থাকে সদ। ধৰ্ম্মের আশ্রয় । ধর্শ্বের সহিতষ্ঠার্থ লক্ষ্মী যে যোগায় ॥ এই ধন ছিল সেই লক্ষ্মীর গোচরে । সেই লক্ষ্মী এই ধন দেখাইল তারে ॥ সৰ্ব্বান্তৰ্য্যামিনী লক্ষ্মী সবজানতে পারে। যেনে সেই লক্ষ্মী কেন যান স্থানান্তরে ॥ যবে টাকা ল’য়ে যায় লক্ষ্মীদৃষ্টি করে। , দেখে কেন সেই লক্ষ্মী ধরিল ন৷ তারে । ধৰ্ম্মমাত। পিতা যার লক্ষ্মী নারায়ণ । সে কেন পাবে না বল এ সামান্য ধন ॥. কন্য। নিল টাকা তাত পরে লয় নাই। তব মনে যাহা প্রিয়ে মম মনে তাই। ধন উপার্জন করে বসিয়া খাইতে । দেখি মোর। ধন বিনে পাই কিনা খেতে । , খেতে কি দিবেন। কৃষ্ণ স্বষ্টি করে জীব । এই ধন বিনা-মোরা হ’ব কি গরীব ॥ কোথা হ’তে আসে ধন কোথা চলে যায়। কে বা দেয় কেব। লয় কে চিনে তাহায় ॥ এই ধন ফিরিতেছে সব ঘরে ঘরে । কোথা কার ধন ইহা কে বা রক্ষা করে ॥ ধনেশ কুবের ছিল কনকলঙ্কায় । ধনচু্যত করি তাকে রাবণ তাড়ায়। রাবণের গৃহে লক্ষ্মী করিত রন্ধন। ইন্দ্রমালাকার অশ্ব রক্ষক শমন ॥ বিষ্ণু অবতার রাম রাজার কুমার। ভাৰ্য্যা সহ বনবাসী চৌদ্দ বৎসর ॥ কার লঙ্কা কার হ’ল কে বা নিল ধন । কোথা সে ত্রিলোকজয়ী লঙ্কেশ রাবণ ॥ রাজপুত্রবধু রাজকন্যা সেই সীতা । বৈকুণ্ঠঈশ্বরী দেবী ত্রীরামবনিতা ৷ কোথা র’ল রাজ্য ধন কোথা র’ল পতি। আজন্ম বনবাসিনী কতই দুৰ্গতি । শ্ৰী বল ঈশ্বরের লীলা এ সকল। "; কৰ্ম্ম অনুসারে ফলে ফল । [ v. ) একই মানুষ সব একই সহরে । একই ব্যবসা করে একই বাজারে। , কেহ দুঃখী কেহ সুখী কেহ পরাধীন। কেহ লক্ষপতি হয় কার হয় ঋণ ॥ . অর্থে কিবা স্বার্থ শুধু অনর্থের_গোল । কৃষ্ণুপদ স্বার্থ ভেবে বল হরি বল ॥ একদিন লক্ষ্মীমাতা বাক্যের প্রসঙ্গে । মধু মাথা বাক্যে ঠাকুরকে বলে রঙ্গে ॥ লক্ষ্মীমাত বলে প্রভু নাহি কর কার্য্য । পুত্রকন্যা জন্মিয়াছে নাহি কর গ্রাহ ॥ ঠাকুরালী কর সদা ল’য়ে ভক্তগণ । কেমনে চলিবে এদের ভরণ পোষণ । ইহাদের কি হইবে নাহি ভাব মনে । আমি এক কি করিব তব দয়। বিনে ॥ ঠাকুর বলেন আমি কি কাৰ্য্য করিব। যাহা করে জগবন্ধু গৃহে বসে র’ব ৷ জমি ভূমি কৃষিকাৰ্য্য কিছুই না মানি । জনমে জনমে মাত্র গরু রাখা জানি ॥ জমি জমা চাষ কাৰ্য্য কিছু না করিব। এই মত ঠাকুরালী করিয়া” ফিরিব ॥ দেখি ঈশ্বরের দয়া হয় কি না হয়। দেখি প্ৰভু মোরে খেতে দেয় কিনা দেয় ॥ " ইহা বলি মহাপ্রভু ফিরিয়া ঘুরিয়া। দুই তিন দিন ওঢ়ার্কাদিতে রহিয়া ॥ নিজ বাটী না আইসে রহে অন্য ঘর। চারি দিন পরে গেল রাউৎখামার ॥ রাউৎখামার রাম চাদ বাড়ী যান। রামচাদ প্রভুকে করেন হরি জ্ঞান ॥ রাউৎখামার প্রভুর বিহার বিরাজ । রচিল তারকচন্দ্র করি রসরাজ ॥ ভক্তসঙ্গে নিজtলয় গমন । পয়ার : আত্মা সমপিয়া ভক্তি করে রামচাদ । ভক্তিতে হলেন বাধ্য প্রভু হরিচাদ। শ্ৰবংশীবদন আর শ্রীরামসুন্দর। বাসীরাম কাশীরাম শ্রীরামকিশোর ॥ বালী দের বাড়ী দিন দুদিন থাকিল । বালারা সগণ সহ মাতিয়া উঠিল। & রাউৎখামার গ্রামে প্রভুত্ব প্রকাশ ও