. .
শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত।
٠ءممیلیم۔
শুকায়েছে চন্দ্রমুখ, দেখে মুখ ফাটে বুক ।
কোলে বসি পান করু স্তন ॥ . আর জন কহে বাণী, শুনীে যশোদা রাণী,
তোর কৃষ্ণ খেল তোর স্তন। আমার বলাই সঙ্গে, গোচারণে গিয়া রঙ্গে,
গোবৰ্দ্ধনে চরা’ল গোধন ॥ একজন কেঁদে কহে, এতকি পরাণে:সহে,
তোর কৃষ্ণ চোর-শিরে মণি । কল্য গেল মোর ঘবে, নাজানি কেমন ক’রে,
ভাণ্ড ভেঙ্গে খেয়ে এল ননী ॥ কেহ কেহ কেঁদে কহে, তোর কৃষ্ণ কালীদহে,
ডুবিয়াছে গিয়া দৈব দোষে। বিষজল করি পান, আছে কি ত্যজেছে প্রাণ,
কিম্বা রাগে কালীনাগে গ্রাসে ॥ ফলে স্বপনের ফল, ব্রতের ফল বিফল,
কৰ্ম্মফলে হারালি কানাই । * ডাক ম৷ কাত্যায়ণীরে, - फुल्ल-कभंणौमश्-उँौहद्भ, - কানায়েরে পাই র্কি না পাই ॥
. বলরামে লও সঙ্গে, বল। বাজাউক সিঙ্গে,
তাতে যদি পাই কৃষ্ণ ধনে । তবে সে পাইব ত্ৰাণ, নতুবা ত্যজিব প্রাণ,
কালীদহে বিষ জল পানে । কেহ ধরি কার হাত, শিরে হানি করাঘাত, আছাড়িয়া লোটায় ধরণী । মঙ্গল কহিছে ডেকে, বলাই দাদার ডাকে, পাইলাম তোর নীলমণি ॥ ঠাকুর কহিছে ডাকি, আমি নু কিছুই দেখি,
কোথা কৃঞ্চ বুখিালাদিগণ । গান ক’রে হরি বলে, করেছিস গোষ্ঠ লীলে,
এই কি তোদের বৃন্দাবন ॥ কি বলিতে কি বলিস, কি কহিতে কি কহিস্,
এ তোদের প্রেমের প্রলাপ । - দেখিলাম, নিজে যে কি হইলাম, ভয় বাসি করিতে আলাপ ॥ আমি মৃগ গোচারণে, চরাইতে গেনু বনে, খেতে যাই মলয়ার পত্র । কল্য কার একজনে, আমারে বিঁধিল বাণে,
বলে আমি শ্ৰীকৃষ্ণের পুত্র। সেবনে এসেছে সীতে, বিপ্ৰলম্ব জালপেতে,
আমি যে কি
এ বনে নাহিক ফল, এ বনে নাহিক। ধল, - সুনিৰ্ম্মল পত্র ভক্তি লতা ॥ প্রেমতরু ফল দানে, ফল ভোগী ভক্তগণে,
ফলে ফল ভক্তি লতিকায় । , ঐআনন্দ তরুবরে, আশা পত্র শোভা করে,
সে পত্র হরিণে লুঠে খায় ॥ " ইহা বলি কৃপা ডোরে, হাতে গলে বাধে মোরে,
বলে হারে কোথায় পালাবি ৷ করি যজ্ঞ জীবোদ্ধার, হরিনাম মন্ত্র তার, - সহজাগ্নি শূন্তে যায় হবি। যজ্ঞকৰ্ত্ত শ্ৰীগৌরাঙ্গ, হোতা গোলোক ত্রিভঙ্গ, যজ্ঞেশ্বরী সেই রাধারাণী । । - তোমারে আহুতি নিতে, রহিয়াছি হাত পুেতে, .
আত্মাধিক আত্ম করি আনি __ আমি তারে ব’লে কয়ে, আসিয়াছি ছাড়াইয়ে, ।
__ছুটিয়া না যা’ব রক্ষাং কুরু। : করি যত কাদা কাদি, হারায়েছি বাধা বাধি, আর না লুঠির পত্ৰতরু ॥ নাম সংকীৰ্ত্তন ক্ষান্ত, প্রলাপের হ’ল অন্ত,
রাত্রি পোহাইল এই দিকে। হরি হরি হরি বলে, যাত্রা করে সবে মিলে,
গোবিন্দ উঠিল সেই ঝোকে ॥ - গোবিন্দ মতুয়া ছেলে, ষে বিছানে রেখেছিলে, *
তথা ছিল গৃহস্থের মেয়ে। " প্রেমপ্রলাপের-ঝোকে, নিজ পুত্র তথ। রেখে,
চলিলেন সেই মেয়ে ল’য়ে ॥ - আসিয়া কতক দুরে, কহে মৃদু মধু স্বরে, গোবিন্দ কে দয়াল ঠাকুর । , দেখ দেখি দৃষ্টি করে, কি আনিলে কোলে করে, ... " হাটিয়া আসিলে এত দূর ॥. শুনিয়া প্রভুর বাক্য, বালিকার প্রতি লক্ষ্য,
ক’রে বলে আনিয়াছি কায়। কি আনিতে কারে আনি, এ যে কাহার নন্দিনী,
- এ বালিকা মম পুত্র নয়। সবে করে পরিহাস্য, ভাবাবেশে এ ঔদাস্ত,
যস্ত কন্যা তস্ত স্থানে লৈয়া। কন্ত। রাখিয়া,নন্দনে, লইয়া ঠাকুর স্থানে,
সংকীর্তনে মিলিল আসিয়া ॥ এই ভাবে করে লীলা, ভক্তগণ সঙ্গে খেল ;
জালগতে মোরে বাধে তথা ।
করে দীনদয়াল আমার । * । - *
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৭৩
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
