পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত । বলে সবে মোরে ল’য়ে ওঢ়াকাদি চল ॥ আড়ঙ্গ করেছ জয় বাহিছ খেলা’য় ॥ - শুনিয়া বদন বড় হরষিত হ’ল। দশরথ বলে আমি লইয়৷ যাইব । ব্যাধিমুক্ত হ’লে মোরা তার দাস হ’ব ৷ শয্যাগত মৃত্যুবৎ ওষ্ঠাগত প্রাণ । ক্ষণে ক্ষণে অচেতন ক্ষণেক অজ্ঞান ৷ উত্থান শকতি নাই থাকেন শয্যায় । । তরণী সাজিয়া চলে দুই মহাশয় ॥ দুই জনে তরী বাহে ত্বরান্বিত হ’য়ে । বদন রহিল সেই নৌকাপুরে শুয়ে । দুই জন তরী বাহে হরিগুণ গায় - অশ্রুজলে বদনের বক্ষঃ ভেসে যায় ॥ মনে ভাবে যদি কিছু সময় পেতাম । মনোসাধ মিটায়ে নিতা’ম হরিনাম ॥ , ভাবিতে ভাবিতে কিছু উপশম পায়। সকাতরে ধীরে ধীরে হরিনাম লয় ॥ : ঠাকুরের ঘাটে নৌকা চাপিল যখন-– প্রভু করিলেন অন্তঃপুরে পলায়ন ॥ বাহির বাটীতে এসে পড়িল বদন । ধরায় শয়ন করি করেছে রোদন ॥ বদন রোদন করে হইয়। পতন । । দেখা দিয়ে প্রাণ রাণ শ্ৰীমধুসূদন ॥ - ক্ষণেক থাকিয়া প্রভু আসিল বাহিরে। তর্জন গর্জন করে বদনের পরে ॥ গালাগালি দিয়া বলে উঠ বেটা দুষ্ট । বল দেখি তোর কেন হ’ল এত কষ্ট ॥ বেয়েছ বঁাচাড়ি নৌকা পাছ নাচাইয়া। দেহ খাটাইয় লোক ধন উপাৰ্জ্জয়। . সেই ধন কাকেরে বকেৱে কে খাওয়ায়। এখন সে সোর শব্দ রহিল কোথায় । এক আশা এক যাওয়া সাথি কেবা হয় ॥ বদন বলিছে প্রভু মরিয়াছি আমি । ভগ্ন তরী ডুবে মরি কর্ণধার তুমি । ঠাকুর বলেন-চিনে সে কাণ্ডারীধর । মরিলি যদ্যপি বেটা ভাল ক’রে মর ॥ বদন বলেন মম ডুবু ডুবু তরী। আর কি চিনিতে যাব চিনেছি কাণ্ডারী। বদন বলেন তরী সবে যায় বেয়ে। ডুব তরী যেই বাহে তারে বুলি নেয়ে। w” বদন বলেন হরিপদ তরী দেও। ছাড়িলাম দেহতরী বাওঁ বা না বাও.॥ হরি হরি হরি বলি উঠিল বদন । ধরণী লোটা’য়ে ধরে প্রভুর চরণ ॥ সঙ্গে আসিয়াছে যারা রহে যোড় করে । ঠাকুর বলেন তোরা ফিরে যারে ঘরে ॥ বাটী গিয়া বল সবে মরেছে বদন । যে দারুণ পেট ব্যথা না রবে জীবন ॥ কেহ যদি থাকে সে করুক শ্রাদ্ধ আদি । বল গিয়া বদন ম’রেছে ওঢ়ার্কাদি ৷ মৃত দেহ এনে তোর রাখিলি এখানে। এখনে মরিবে ওরে কে ফে'লাবে টেনে ॥ ইহা বলি তা সবারে পাঠাইল ঘরে। * পদ দিল বদনের পেটের উপরে । , , عي - জীয়ন্তে কাহার পেটে কে করয় ছিদ্র । - পেটের ঘায়ের পর দিল পাদপদ্ম । —অমনি পেটের ঘা শুকাইয় গেল । * হরি হরি হরি বলি বদন উঠিল । , ঠাকুর বলেন তোর পেটে ছিল যেই। দেখ বাছা তোর পেটে আছে কিনা সেই ॥ " বদন বলেন মোর পেটে যেই ছিল। শ্ৰীপদপরশে সেই মুক্তি হয়ে গেল ॥ হরি ভিন্ন বদনে বলে না"অন্য বোল । নিশ্বাসে প্রশ্বাসে হরি ব’লেছে কেবল ॥ " " - বায়ু যবে পশে তার হৃদয় মাঝেতে। শত হরি নাম লয় প্রতি নিশ্বাসেতে ॥ বায়ু যবে বের হয় তাহার সঙ্গেতে। পঞ্চাশৎ হরিনাম করে সেকালেতে ॥ কেহ যদি কাছে এসে জিজ্ঞাসা করয়। নাম সঙ্গে কথা কয় নামে করে লয় ॥ কোন কালে নাম করা ক্ষান্ত নাহি হয়। হাতে যুখে চখে ঈষৎ ইঙ্গিত দেখায়। কেহ যদি বলে কিছু খাওরে বদন । বলে হরি দেও হরি করিব ভোজন ॥ ঠাকুর বলেন যদি বাড়ী যেতে বোল । বলে হরি হে হরি যাব না হরি বোল ॥ ঠাকুর বলেন তবে মম সঙ্গে অায়। . হরি হরি হরি বলি পিছে পিছে ধায় ॥ বাসস্থান পুৰ্ব্ব দিকে ধান্তভূমি ছিল। . তার মধ্যে উচ্চ এক স্থান আছে ভাল ?