বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 রাধামোহন চরিত্র । হইলাম। ১৬৪৭ শকাবীয় কাৰ্ত্তিক মাসের পৌর্ণমাসী রজনীর শেষ ভাগে শুভ লয়ে ও শুভ যোগে রাধামোহন ভূমিষ্ট হইলেন, র্তাহার অলৌলিক রূপ লাবণ্যে স্থতিকাগৃহ আলোক ময় হইয় উঠিল। তাহার কাঞ্চন কাস্তি, আকর্ণ পরিস্থত নীলনলিনাভ নয়ন যুগল, প্রশস্ত ললাট ফলক, বিশাল বক্ষঃস্থল, মুক্ষীণ মধ্যভাগ, আজানু লম্বিত বাহুদ্বয়, অরুণ বর্ণ কর পদতল নিরীক্ষণ করিয়া প্রস্থতি প্রসব বেদনা একবারেই বিস্তুত হইলেন, মুখ কমলের প্রতি অনিমিষ লোচনে দৃষ্টিপাত করিয়া মনে মনে অসীম আনন্দ অনুভব করিতে লাগিলেন গ্রামবাসী ভক্তবৃন্দ হরিনাম সংস্কীৰ্ত্তনে দিষ্মণ্ডল প্রতিধ্বনিত করিয়া নৃত্য করিতে লাগিলেন, প্ৰভু জগদানন্দ শুভক্ষণে বিকচ কমল সদৃশ পুত্রের মুখ মণ্ডল নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । র্তাহার স্বপ্ন কথা স্মরণ হইল পুত্রের কর পদতলে মহাপুরুষ লক্ষণ দেখিয়া আনন্দ সাগরে মগ্ন হইলেন, গ্রামস্থ দীন দুঃখী দিগকে ধন দান করিতে লাগিলেন। দৈবজ্ঞগণ লগ্নস্থির করিয়া কোষ্টী প্রস্তুত করিয়া কহিল এই পুত্র ভবিষ্যতে অদ্বিতীয় বিদ্বান ও অলৌকিক ক্ষমতাশালী হইবেন, ইহার যশোরাশি দিগদিগন্তে ব্যাপ্ত হইবে । প্ৰভু দৈবজ্ঞগণের বাক্যে সন্তোষ লাভ করিয়া আশাতিরিক্ত অর্থদানে তাহাদিগকে প্রীত করিয়া বিদায় করিলেন্স |