পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । মহারাজ নন্দকুমার লোক পরম্পরায় প্রভুর দেশগমন বাৰ্ত্ত শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত সন্তোষ লাভ করিলেন। তৎকালে তাহার দীক্ষার কাল এক প্রকার অতিক্রান্ত হইয়াছিল, তৰ্জ্জন্ত প্রভুকে লইয়া যাইবার জন্ত শিবিক ও দশজন বাহক পঠাইয়া দিলেন । তাহারা তৃতীয় দিন অপরাহ্নে প্রভুর বাটতে উপস্থিত হইয়া মহারাজের প্রদত্ত লিপি প্রদান করিল। প্ৰভু নন্দকুমারের অভিপ্রেত বিষয় অবগত হইয়া প্রীতিলাভ করিলেন এবং তৎপর দিন নবযানীরোহণে ধাত্রা করিয়া চতুর্থ দিবস মধ্যাহ কালে ভদ্রপুরে উপস্থিত হইলেন । f মহারাজ প্রভুর আগমনে প্রফুল্ল হইয়া সত্বর তৎসমীপে আগমন করিলেন এবং সাষ্ট্রাঙ্গে প্রণাম করিয়৷ তদীয় সুকোমল চরণ যুগল মস্তকে ধারণ করিলেস। প্রভুও সুবিশাল বাহুযুগল প্রসারণ পূৰ্ব্বক আলিঙ্গন করিয়া শারীরিক ও বৈষয়িক কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। নন্দকুমার গাত্ৰোখান পূৰ্ব্বক কৃতাঞ্জলি পুটে “প্রভুর চরণ দর্শনে সমস্ত মঙ্গল” বলিয়া একদৃষ্টি তাহার অমানুষিক লাবণ্য, প্রেম তরঙ্গায়িত গৌর কলেবর নিরীক্ষণ