পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& ) চতুর্থ পরিচ্ছেদ । জননীকে প্রদান করিয়া তাহার চরণ বন্দনা করিলেন । । জননীর আহলাদের সীমা রহিল না । ইহার কিছুদিন পরেই গোপালপুর নিবাসী ঈশান চন্দ্র রায়ের কস্তার সহিত রাধামোহন প্রভুর বিবাহ সম্বন্ধ স্থির ৈ কৃত হইল। মহারাজ নন্দকুমার এই সংবাদ পাইয়া অনুচন্ন গণ সমভিব্যাহারে স্বয়ং মালিহাটী আগমন করিলেন ; এরং নিজে সমস্ত ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিয়া মহাড়ম্বরে স্বীয় অভীষ্ট দেবের পানিগ্রহণ কাৰ্ষ্য সম্পাদন করাইলেন । নব বিবাহিত পত্নী শ্ৰীমতী রাণী ঠাকুরাণী নামে অভিহিত হইলেন । মহারাজ নন্দকুমার মালিহাটীতে ভাল পুষ্করিণী না থাকায় প্রভুর বাটীর পুৰ্ব্বদিকে একট সুবৃহৎ পুষ্করিণী খনন করাইবার জন্ত অনেক লোক নিযুক্ত করিয়া বাট গমন করিলেন, এবং তথ্য হইতে তদ্ব্যয় নিৰ্ব্বাহোপধোগী অনেক অর্থ পাঠাইয় দিলেন। কিন্তু রাধামোহন প্ৰভু ভ্রাতৃগণ ও গ্রামবাসি ভদ্র ব্যক্তি দিগের সহিত পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন যে নন্দe কুমারের অভিলাষানুরূপ পুষ্করিণী খনন করাইলে অনেক জমী নষ্ট হইয়া সাধারণকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত করিবে, তজ্জন্ত তিনি সম্ভবমত একটা নাতিদীর্ঘ পুষ্করিণী প্রস্তুত করাইয়া প্রতিষ্ঠাকালে তাহার নাম রাধাসাগর রাখিলেন। সাধারণ লোকে তাছাকে দ্বী পুষ্কৰিণী বলিয় থাকে।