পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় : বৈদ্য ও কায়স্থাদির কথা শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১১১ খ্যাত হন। এই কবি নাম যে অপ্রকৃত তাহা ১০৫ সালের লিখিত “হকিগত নামা" হইতে জানা যায় ॥২০ ভাইয়া পরশুরাম ও পং ফরক্কাবাদ পূৰ্ব্বোক্ত দ্বিতীয় (রবিলোচনের) শাখায় পরশুরাম দাস এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন, ইনি প্রথম শাখার চণ্ডীচরণ চৌধুরীর সমসাময়িক। পরশুরাম বিংশতি বর্ষ পর্যন্ত নিরক্ষর ছিলেন; একদা পরশুরাম আহার করিবার জন্য বসিলে তাহার মাতা অন্নের পরিবৰ্ত্তে একথালা ছাই দিয়া পুত্রকে বললেন, "খাও, মুখের খাদ্য ইহাই।” পরশুরাম মাতা কর্তৃক এইরূপ অবজ্ঞাত হওয়ায় নিজমনে ধিকৃত হইলেন ও সেই দিনই দিল্লী যাত্রা করিলেন। দিল্লীতে গিয়া তিনি পারস্য ভাষা সুন্দররাপে শিক্ষা করেন। শম্ভুচরণের পৌত্র চণ্ডীচরণ ঐ সময় কোন কারণে দিল্লীতে বাস করিতেছিলেন; তখন __(১) পেন্সনার। আসাম সেক্রেটারীয়েটে সুপারিনটেনডেণ্টেব পদে কার্য্য করিযা ১৭৫ টাকা পেন্সন পাইতেন। ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে রায়সাহেব উপাধি প্রাপ্ত হন। ইনি স্বীয় চরিত্র মাধুৰ্য্য সৰ্ব্বসাধারণের সম্মান ভাজন হইযা আছেন । ২০. নিম্নোদ্ধৃত হকিগত নামা (স্বত্ব নামা) হইতে ১০৫৪ সালের ভাষা ও লিখন পদ্ধতির উদাহরণ পাওয়া যাইবে, যথা ঃ“হকিগত নামা পত্র মিদং কাৰ্য্যঞ্চ আগে আমবা আপনা বুরব্বি (১) সকলের পাসত (২) শুনিয়াছি জয়ার বায়গড়ের রঘুনন্দন চৌধুবী আছিলা দচপত (৩) তান আছিল। পগণাব সিকদার আছিলা স্বগীয় খিতাবী নাম রঘুনন্দন সিকদার আছিল-তান বেটা (৪) বিষ্ণুদাস দেবে রাজ হলে উনকামাইতা (৫) সে খানত আসিয়া সাদি (৬) করিয়া পুনশ্চ উন গেছিলা (৭) পরে অনেক বছর বাদে (৮) এক আসা বরদার (৯) সঙ্গে লৈয়া এক মাসর বিদায় লৈয়া বাড়িতে আসিলা একমাস বাদে আসাবরদারে নিবার (১০) একীয়ত করিল (১১) তাতে বিষ্ণুদাস দেব উন যাইবার কবুল (১২) না করণে তান পিতা চৌধুরীএ অনেক কহিলা তথাচ উন জাইবার কবুল না করিলা পরে রঘুনন্দন চৌধুরী উন জাও তাইন (১৫) উন জাইবার কবুল করিলা তান উপর খুস (১৬) হৈয়া পাগুড়ি (১৭) বান্দিয়া রাজমহলে উন দিলা-শস্তুরামদেবে অনেক বছর (১৮) উন কামাইলা পরে রঘুনন্দন চৌধুরীর কাল (১৯) হৈলে পরে শঙ্কুরাম দেবে কবি নামে চৌধুরাই ছনদ হাসিল করিয়া (২০) আনিয়া পরে বিষ্ণুদাস দেব গং স্বগীয় ইখান (২১) নালিস করিলা আমার পিতা রঘুনন্দন চৌধুরীর নামে দচখত আছিল শঙ্কুবাম দেবে কবি নামে ছনদ আনিলা ছববকি (২২) তাতে শঙ্কুরাম দেবে জবাব দিলা আমার কেওর (২৩) নাম কবি না হয় বিনাম ছনদ আনিছি (২৪) জুয়ারর ছরবরা করিযা স্বগীয় কাম জে দেয় তার নাম কবি-এই ছনদ বিষ্ণুদাস দেবের হৈল তাইন (২৫) কবি নামে দছখত করূকা (২৬) পরে বিষ্ণুদাস দেবে জবাব দিলা বিনামের দচগত আমি না করিমু আমার পিতা রঘুনন্দন চৌধুরী নামে দচগত আছিল এখন ফয়েতি (২৭) হৈছে হাদুজ সেই নামে দচগত করিতেছি এখন সেই নাম লেখিমু পরে আমার নামে ছনদ হাসিল করিমু এইকথা স্বগীয় সাক্ষাত মঞ্জুৰ হৈল-কবি নামর ছনদ জারি না হৈল-বিষ্ণুদাস দেবে জুয়ারর ছরবরা করিয়া কাম দিতা (২৮) পরে বিষ্ণুদাস দেব কাহিলা হৈয়া ঘর বসিলা শস্তুরায় দেবে কামহিমতে করিয়া কবি নামের ছনদ জারি করি মথুরেশ নামে দছগত কারলা বিষ্ণুদাস দেব গং না জানিয়াই---(২৯)---মজাহিম না মানিলা---হৈতে---আমরা মুরবিব সকলর পাসত শুনিছি জানি শুনিয়া হকিগত পত্র লিখিয়া দিলাম ইত সন ১০৫৪ (তারিখ কীট ভক্ষিত) শব্দার্থ– (১) প্রাচীন (২) নিকটে (৩) দস্তখত (৪) পুত্র (৫) উন কাৰ্য্য? (৬) বিবাহ (৭) গিয়াছিলা (৮) বৎসর অতীতে (৯) আসাধারী কৰ্ম্মচারী (১০) লইবার (১১) জানাইল (১২) সম্মত (১৩) ক্রুদ্ধ হইয়া! (১৪) বলিলেন (১৫) তিনি (১৬) আনন্দিত (১৭) উষ্ণীষ (১৮) বৎসর (১৯) মৃত্যু (২০) মঞ্জুর করিয়া (২১) এই থানে (২২) কারণ কি? (২৩) কেহর (২৪) আনিয়াছি (২৫) তিনি (২৬) করুণ (২৭) মালীক শূনা (২৮) দুৰ্ব্বল (২৯) এই স্থানে কীট দংষ্ট প্রায় দুই ছত্র আছে। এই দলিলে ঢাকাদক্ষিণ ও ঢাকাউত্তরের ১১ জনা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির নাম সাক্ষব আছে, যথা-মথুরেশ, শম্ভুচরণ, রাজারাম গুপ্ত, শেখ বিরাহিম ইত্যাদি ।