পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগ-প্রথম খণ্ড অপর দাস বংশ দিগলীর উক্ত কর ধর ও দাস এবং দত্ত বংশীয়গণই মৌলিক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তত্ৰত্য ধূজ্জটি দাসের বংশধরবর্গের প্রভাবে ইহারা কিয়ৎ পরিমাণে হীনবস্থা হইয়া পড়েন। ধূর্জটির মহাশয়ের কেহ কেহ শ্রীহট্টের নবাব সরকারে উচ্চপদে সমাসীন ছিলেন; এই বংশের বিজয়রাম দাস চট্টগ্রামের দেওয়ান ছিলেন। সোণারাম দেওয়ান নামক অপর এক ব্যক্তি এই বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ইহারা ক্রমে এ অঞ্চলে ভূম্যধিকারী হইয়া উঠিয়াছিলেন। ইদানীং এই বংশীয় স্বরূপচন্দ্র দাস শ্রীহট্টের কালেক্টরীর সেরেস্তাদার ছিলেন; ইহার পুত্র রায় শ্ৰীযুত সীতামোহন দাস বাহাদুর ও ডাঃ সুন্দরীমোহন দাস জীবিত আছেন। ইহাদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা স্বগীয় সারদা মোহনের নাম তদীয় বন্ধু কবি প্যারীচরণের “মিত্ৰবিলাপ” অমর করিয়া রাখিয়াছে। সারদা মোহন "কপটতা বিষয়ক প্রবন্ধ" নামক এক উপদেশ-পুস্তিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করিয়াছিলেন । পরগণা-বনভাগ পূৰ্ব্বাধ্যায়ে বনভাগের বিবরণে বিধর খার কথা কথিত হইয়াছে; বিধর খার কথা এস্থলেই বলা সঙ্গত। বিধরখা কর্তৃক বনভাগ বহুলাংশে আবাদ হইলে, তিনি প্রথমতঃ সেই স্থানের মালীক হন। বিধরখার বংশে পরবর্তীকালে ধনঞ্জয়ের উদ্ভব হয়; তাহার সময়ে এই পরগণা খালিসা বনভাগ, বাজুবনভাগ ও কাজাকাবাদ এই ভাগত্রয়ে বিভক্ত হইলে, বাজুবনভাগ তাহারই জমিদারী ভুক্ত থাকে। বাজু বনভাগের অনেকাংশ অদ্যপি তদ্বংশীয়ের অধিকারে আছে। এই বংশীয় রামনাথ ধর পূৰ্ব্বাধ্যায়ে উল্লেখিত গোপীনাথ বাচস্পতির সমসাময়িক ছিলেন। রামনাথের পুত্র রামজীবন চৌধুরী:২৫ ইনি গোপীনাথ নামে বিগ্রহ প্রাপ্ত হইয়া সেবা স্থাপন করেন। রাম জীবনের পুত্রের নাম ভবানী শঙ্কর,২৬ তাহার পুত্র রাম শঙ্কর, তৎপুত্র বিশ্বনাথ চৌধুরী । প্রসিদ্ধ “বিশ্বনাথের বাজার" তাহার নাম রক্ষা করিতেছে। বিশ্বনাথের পুত্র ব্ৰজনাথ স্থানীয় মহাপ্রভুর আখড়া স্থাপন করেন; তৎপুত্র বৈকুণ্ঠ নাথ, তাহার পুত্র বরদা নাথ একজন সুকবি । ২৫. ইহার নামীয এক খানা মনুষ্য ক্রয়ের দলিল এস্থলে উদ্ধৃত করিলাম, ইহাতে সম্রাট আরঙ্গজেবের সমযে ঢাকার নবাবের অধীনে শ্রীহট্টের নবাবের নাম আছে। দলিলে নবাবেব নামের মধ্যের অক্ষর কীটদংষ্ট, ইহা যে “ইনাত" অর্থাৎ ইনায়েত খা নবাবের নাম, তা স্পষ্টই বুঝা যায়। পূৰ্ব্বাংশ প্রণয়ন কালে ইহার সময় নিরূপিত হইতে পারে নাই, এতদ্বারা তাহা হইল; অবিকল দলিল খানা এই— "শ্ৰী শ্ৰীমতাং শুলতান ওরঙ্গ সাহা দেব পাদপদ্মানাস্বস্তি নবতি নবতু্যত্তর সহস্রাব্দে চৈত্রন্য একবিংশতি দিবসে স্বৰ্গীয় মভু্যদয়িনি রাজ্যে গৌড়বঙ্গের শ্ৰীযুত নবাব ইবাহিম খান মহাশযানাং ঢক্কাবস্থিতি কালে শ্রীহট্টাধিপতৌ শ্ৰীযুত নবাব সৈদই+ত খা মহাশয়স্য বিষয়ে পরগণে বাজু বনভাগ চত্বরকান্তর্গত মৌজে মসুনা গ্রাম পাটকস্থ শ্রীরাম জীবন চৌধুরী শকাশাত ষোড়শকাৰ্য্যাপণান গৃহীত্ব তত পরণান্তর্গত তদগ্রাম নিবাশনা শ্ৰী-ঙ্গা রামধরেন নিজ দাশী শ্রীবদজানন্দীঃ স্বেচ্ছয়া বিক্রিতামিত-অত্র প্রাণি এক অজয়মাল ১৬ সুল্ল কাহন ইতি সং ২০২৯ সালতে ২১ চৈত্র " (নিম্নে এই স্থান “অত্রাত্রে সক্ষিণঃ-” বলিয়া বিভিন্ন হস্তাক্ষরে সামধর প্রভৃতি তিনজনের সাক্ষর আছে এবং পার্শ্বে দলিল লেখকের হস্তক্ষরে “শ্ৰীগঙ্গারাম ধরস্য মতং শ্রীলদনী দাসী নাম্নী খতঞ্চ” এইরূপ লিপিত । ও নিমের দক্ষিণ কোণে "উভয়ানুমত্যা শ্ৰীগণেশরাম শৰ্ম্মণা লিখিতামি বলিয়া লেখকের দস্তখত আছে। দক্ষিণ পার্থে “উগাহী" শব্দের নিম্নে দুই ব্যক্তির স্বাক্ষর আছে। + চিহ্নত স্থল কীট भ६छे नी !)