পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগ-দ্বিতীয় খণ্ড হওয়া যায় নাই। কাত্যায়ন গোত্রীয় প্রথমাগমন শ্রীধরাচাৰ্য্য হইতে ১৫শে পুরুষে১৭ বলভদ্র ভট্টাচার্যের উদ্ভব হয়; তিনি বঙ্গাধিপ শ্যামল বৰ্ম্মার (১০০১ শকাব্দ) সভাসদ ছিলেন এবং তাহার জীবন চরিত “শ্যামল বৰ্ম্ম চরিত" রচনা করেন। ইহার ভ্রাতা শ্রীগর্ভের পুত্র ভূধরোপাধ্যায়, ভূধরের দ্বাদশ পর্যায়ে "শুদ্ধি দীপিকার টীকা প্রণেতা গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীর উদ্ভব হয়। ইটার রাজজামাতা রঘুপতি ও চিন্তামণি দীধিতি” প্রণেতা ভারত বিখ্যাত রঘুনাথ শিরোমণি ইহারই পুত্র। রঘুনাথ শিরোমণির বৃত্তান্ত শ্রীহট্টের পূৰ্ব্বাংশে১৮ বিবর্ণিত হইয়াছে। রঘুপতি ইটার রাজকন্যা বিবাহ করিয়া ইটাবাসী হন, তদ্বংশীয়গণের বিবরণ পশ্চাৎ উক্ত হইবে। পঞ্চখণ্ডের ভরদ্বাজ গোত্রীয় কথা ভরদ্বাজ গোত্রীয় আতুয়াজান বাসী রাঘব বেদান্তের পঞ্চখণ্ডে বিবাহ হইয়াছিল, তাহার ত্যুর পর তদীয় পুত্র ত্রয় পঞ্চখণ্ডে আনীত হন,১৯ বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে জ্যেষ্ঠ, দেশে গমন করেন, ZuSeS মহাদেব হইতে ত্রিশূল অথবা ত্ৰিশূলের কৃপা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন বলিয়া কথিত আছে এবং তাহাতে তদ্বংশ “ত্রিশূলী বংশ" নামে খ্যাত হয়; এ বংশ একটি প্রসিদ্ধ বংশ, এ বংশে শ্ৰীযুত রাজচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য প্রভৃতি জীবিত আছেন। মিশ্র বংশ কথা সাম্প্রদায়িক বিপ্রবর্গ ব্যতীত পঞ্চখণ্ডে অন্য যে সমস্ত বিভিন্ন গোত্রীয় ব্রাহ্মণ বংশ বিদ্যমান, তাহাও অল্প প্রাচীন নহে; তন্মধ্যে সুপাতলাবাসী শাণ্ডিল্য গোত্রীয় মিশ্র বংশের উল্লেখই এস্থলে যথেষ্ট হইবে। ইহাদের পূৰ্ব্বপুরুষ মিথিলাগত বলিয়াই প্রকীৰ্ত্তিত। তাহাদের বংশ প্ৰবৰ্ত্তক আদিপুরুষ মিথিলাগত বলিয়াই প্রকীৰ্ত্তিত। তাহাদের বংশ প্ৰবৰ্ত্তক আদিপুরুষ কে ছিলেন, তিনি কবে পঞ্চখণ্ডে আগমন করেন, জানা যায় না ২০ প্রায় সপ্তম পুরুষ উদ্ধস্থলীয় হরিহর মিশ্রের সময় হইতে এবংশের বিবরণ ধারাবাহিকরূপে অবগত হওয়া যায়। হরিহরের পুত্র রামকৃষ্ণ বিদ্যাবাগীশ । বিদ্যাবাগীশের পুত্র কাশীনাথ মিশ্র ও রামচন্দ্র বিদ্যালঙ্কার। এই ভ্রাতৃদ্বয় সম্রাট আরঙ্গজেবের সময়ে শ্রীহট্টের নবাব হইতে এক সনদে পঞ্চখণ্ডে বিশহল ভূমি "মদতমাস” প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। কাশীনাথের পুত্র হরিনাথ ও রামনাথ ॥২১ তন্মধ্যে হরিনাথের বিশ্বনাথ ও রঘুনাথ নামে দুই পুত্র হয়, রামনাথের এক মাত্র পুত্রের নাম ধনমিশ্র। উক্ত ধনমিশ্রের নামে যে সনন্দ পাওয়া যায়, তাহার "জিমিন" বা পৃষ্ঠলিখিতে লিখিত আছে—“ধনমিশ্র স্বীয় জীবিকার জন্য পূৰ্ব্বপুরুষদের প্রাপ্ত সনন্দ বহাল রাখিতে দরখাস্ত দিলে, রামচন্দ্র ও কাশীনাথের প্রাপ্ত মদত মাস বাবতে পূৰ্ব্ব সনদে যে ১৩ টাকা ধাৰ্য্য ছিল, (তাহাদের মৃত্যুর পরে) তাহা হইতে রামচন্দ্রের অংশ ৯ টাকা “মিনা" (বাদ) দিয়া অবশিষ্ট ৪ টাকা তাং কাশীনাথ-হরিনাথ হইতে ১১৪০ পং সনে তদীয় ভরণ পোষণের জন্য দেওয়া হয় ॥২২ ১৭. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত উত্তরাংশ ঝ পবিশিষ্ঠে কাত্যায়ন বংশ তালিকা দ্রষ্টব্য। ১৮. ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৭ম অধ্যায় দেখ । ১৯. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত উত্তরাংশ ৩য় ভাগ ৫ম খণ্ড ১ম অধ্যায় দ্রষ্টব্য। ২০. এই বংশীয়গণ বলেন যে বহু পূৰ্ব্ব হইতে তাহারা এস্থানবাসী, শ্ৰীমহাপ্রভুর সময়ে তাহাদেব বংশে জ্ঞানবর প্রভূতি ভক্তগণ ছিলেন ।