পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় : ইটার কাত্যায়ন, পরাশর ও ভরদ্বাজ গোত্রীয় শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২১৫ টেংরার কৃষ্ণাত্রের গোত্রীয়গণ ভরদ্বাজ গৌত্রীয় রঘুনন্দনের অনুরোধে পঞ্চখণ্ড হইতে কৃষ্ণাত্রেয় গোত্রীয় রত্নেশ্বর ন্যায়বাগীশ টেংরায় আগমন করেন বলা গিয়াছে, তিনি কিছুদিন তথায় বাস করার পর তাহার একটি পুত্র সন্তান জন্মে, ইহার নাম গদাধর ভট্টাচাৰ্য্য। গদাধর কৃতী ব্যক্তি ছিলেন, নবাব আলিওর খাঁ এক সনন্দে (নং ১০৬) ইটা ও আলীনগর হইতে ইহাকে ৪/১ ভূমি ব্ৰহ্মত্র প্রদান করেন; তাহার পুত্র গঙ্গাধর উহা “তছরূপ" করেন। গঙ্গাধরের প্রপৌত্র জীবিত আছেন। গ্রন্থকার লক্ষ্মীকান্ত প্রভৃতি কৃষ্ণাত্রেয় গোত্রে ইটার মহাদেবী বড়কাপন গ্রামে রামভদ্র বাচস্পতি নামে একজন খ্যাত নামা পণ্ডিত ছিলেন, সিদ্ধ পুরুষ বলিয়াও তাহার খ্যাতি ছিল। তিনি মুর্শিদাবাদে নবাব দরবারে রাজপণ্ডিত পদে থাকিয়া হিন্দুদের দায়বাগ সংক্রান্ত ব্যবস্থা দিতেন। এই বংশীয় লক্ষ্মীকান্ত তর্কালঙ্কারের সঙ্কলিত “তন্ত্রকৌমুদী" ও "তন্ত্ররত্ন” নামক দুই খানা গ্রন্থ আছে। এ বংশীয় পণ্ডিত শ্যামসুন্দর ভট্টাচাৰ্য আগরতলা রাজধানীতে থাকিতেন; শ্রীহট্টে সাম্প্রদায়িক বিপ্রাগমন সম্পৰ্কীয় "বৈদিক সংবাদিনী" নামক গ্রন্থ ইহারই কৃত। ইটার পঞ্চগ্রামে এই কৃষ্ণাত্রেয় গোত্রে প্রসিদ্ধ "ভাস্কর" সম্পাদক গৌরীশঙ্করের জন্ম হয়, তাহার পিতৃপরিচয়াদি ৪র্থ ভাগে জীবনচরিত প্রসঙ্গে কথিত হইবে।