পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় : আরও কতিপয় বংশ বিবরণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৩১ শ্যাম নারায়ণের পুত্র শিব নারায়ণ। ১২৪০ ত্ৰিং সনের একখানা “রামাজ্ঞা” মোহরাঙ্কিত বাজে সনন্দে তদীয় পূৰ্ব্বপুরুষের প্রাপ্ত বার্ষিক ১২ বার টাকা বৃত্তি তাহাকে সমজাইয়া দেওয়ার জন্য, ইজারাদারকে আদেশ দেওয়া হয় বলিয়া জানা যায়।১৫ ১২৮৯ ত্রিং সনে গবর্ণমেণ্টসহ “গোড়কাটি” মহাল লইয়া মহারাজের রাজ্য সংক্রান্ত এক তর্ক উপস্থিত হইলে, উক্ত শিবনারায়ণের প্রদত্ত প্রমাণ বলে তাহা নিষ্পত্তি হয়। উক্ত বিবাদীয় ভূমি এখন “খালাসি" জমি নামে রাজকির অধীন আছে,১৬ ফলতঃ এই বংশীয়গণ ত্রিপুরেশ্বরের বিবিধ প্রকারে হিত করিয়াছেন ॥১৭ রামাজ্ঞা মোহরাঙ্কিত আর একখানা পরওয়ানাতে শিব নারায়ণকে সনন্দাদি সমস্ত কাগজাত সহ হাজির হইয়া তৎসমস্ত প্রদর্শনার্থ আদেশ দেওয়া হইয়াছিল; সনন্দ প্রাপকগণকে মধ্যে মধ্যে দলিলাদি দৰ্শাইয়া বৃত্তি ও জমি প্রভৃতির হিসাব ঠিক রাখিতে হইত। শিব নারায়ণের পুত্র শ্ৰীযুত গঙ্গানারায়ণ চৌধুরী জীবিত আছেন। বৰ্ত্তমান মহারাজের বিবাহ ও অভিষেকোৎসবে তিনি যোগ দেওয়ার জন্য যে নির্দেশ পত্র প্রাপ্ত হন, তাহাতে দেখা যায় যে, “রামাজ্ঞা"র পরিবৰ্ত্তে ইদানীং “শ্রীহরি আজ্ঞা” মোহর ব্যবহৃত হইতেছে। শ্ৰীযুত গঙ্গানারায়ণ চৌধুরীর জনৈক পুত্র হইতেই এই বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। ১৫ “শ্রীরামাজ্ঞ" মোহর। “লক্ষীদামোদর" । "শ্রীচাকলে কৈলাশহরের মাহলে জোম ও বনকর মাহালের ইজারাদারকে সমাজ্ঞেয়ং কাৰ্য্যঞ্চ পরং স্বগীয় দেবতার দেবোত্তর চাকলে তথায় জোম ও বনকরে দরমাহা ১ এক টাকা হিসেবে বৎসর ১২ টাকা হাপ্ত মিরার (r) পাইয়াছে অতয়ব লিখা যায় হাণ্ড মিরার দস্তুর মতে দেবোত্তরের সনদ দৃষ্টে ঐ বার টাকা চাকলে তথায় শ্রীসিব নারায়ণ সৰ্ম্মাকে বুঝাইয়া দিয়া ওজৰ থাকে হুজুর এতেলা করিবা ইতি ১২৪০ ত্রিং ২ মাঘ । ১৬. উক্ত জমির পটার নং ১০৯/১১০ ৷ ১৭. "শ্ৰীশ্ৰীযুতের কৈলাসহর ভ্রমণ" নামক পুস্তিকায় ৫০ পৃষ্ঠায় ইহা স্বীকৃত হইয়াছে।