পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড “রৌজনপুর" রাখেন। ইহার চারিপুত্র; তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠপুত্র পিতার অনুকরণে সিরাজ বিবি নামী স্বীয় পত্নীর নামে “সিরাজপুর" গ্রাম স্থাপন করিয়া তথায় চলিয়া যান। তাহার দ্বিতীয়পুত্র ইসমাইল খা “ইসমাইলপুর" গ্রামের স্থাপয়িতা। চতুর্থ তনয় বদড় খা, ইহার পুত্রের নাম আফজল । আফজলের পুত্রের নাম মিয়াউদ্দীন; ইহার নাসির উদ্দীন ও ইউসুফ উদ্দীন নামে দুই পুত্র হয়। কথিত আছে যে নাসির উদ্দীন শ্রীহট্টের কানুনগো লোদী খার সহিত বিদ্রোহী খোয়াজ ওসমানের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া তাহার সহায়তা করেন। ইনিই চৌধুরাই সনন্দ প্রাপ্ত হন। ইহার পুত্র হাজি মোহাম্মদ "হাজিপুরের" স্থাপয়িতা। তাহার পুত্রের নাম শেখ বাহাদুর। ইনি মালগুজারি কার্যের জন্য ৬০ কাহন কৌড়ি বেতন পাইতেন । ইহার পুত্র সোণাঠাকুর পালপুর গ্রামে গিয়া বাড়ী প্রস্তুতক্রমে বাস করেন। ইহার দুই পুত্র, তাহাদের নাম মোহাম্মদ মনসুর, মোহাম্মদ মনিওর । মনিওর হাজিপুরে গিয়া বাস করেন। তত্ৰত্য পালকী নদীর উপরিস্থ পাকা সেতু ও পুষ্করিণী ইহারই কীৰ্ত্তি। মনসুরের পুত্র মোহাম্মদ মজহর ও আব্দুল গফুর এবং মোহাম্মদ বক্স। ইহাদের প্রপৌত্রগণের অভিপ্রায়ে প্রেরিত যে বিবরণী প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে, তদবলম্বনে ইহা লিখিত ॥৯ ইসমাইল পুরের ওলীবংশ পূৰ্ব্ববর্ণিত বিবরণোল্লেখিত ইসমাইল খার স্থাপিত ইসমাইলপুর গ্রামে সাকর ওলীর বংশ বলিয়া একটি বংশ আছে। এই বংশের আদি পুরুষের নাম অজ্ঞাত। গৃহদাহে প্রাচীন কাগজ পত্রের সহিত তাহার নামও বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। এই মাত্র জানা যায় যে তিনি স্থানান্তর হইতে শ্রীহট্ট জেলায় আসিয়া বেত্রীকুলের অন্তর্গত মধুরাই গ্রামে বাস করেন । তদ্বংশীয় সাকর ওলী হইতে বংশকথা পরিজ্ঞাত আছে। সাকর ওলী প্রকৃত নাম নহে: ইনি একজন গৃহত্যাগী সাধু হইয়া ছিলেন; গৃহত্যাগ করার পরই এই নামে খ্যাত হন । ইহার একমাত্র পুত্রও পিতার ন্যায় শেষাবস্থায় গৃহত্যাগী দরবেশ হন, তাহার নামও জানা যায় না। মোহাম্মদ জাহির নামে এক পুত্র রাখিয়া এই ব্যক্তি পরলোক গমন করেন। মোহাম্মদ জাহির প্রভূত বলশালী ও ধনী ব্যক্তি ছিলেন । মোহাম্মদ শের নামে তাহার শার্দুল-বিক্রম এক পুত্র ছিলেন, ইহার দুই পুত্রের নাম মোহাম্মদ সাদির ও মোহাম্মদ গণী । তন্মধ্যে গণীর তিন কন্যা ও তিন পুত্র হয়, পুত্রত্ৰয়ের মধ্যে মহোম্মদ খয়ের সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ; চিরকুমার শরফ উদ্দীন মধ্যম এবং বদর উদ্দীন সৰ্ব্ব কনিষ্ঠ ছিলেন। খয়ের অতিশয় সাহসী, বুদ্ধিমান ও বলশালী ব্যক্তি ছিলেন । ৮/১০ জনে যাহা উত্তোলন করিতে পারিত না, তিনি অক্লেশে সচরাচর তাহাই ব্যবহার করিতেন। তাহার সময়ে একভীষণ প্লাবনে বেত্রীকুল ডুবিয়া যায়, তখন তিনি স্বীয় সম্পত্তির দাবি ত্যাগ করিয়া তথা হইতে ইসমাইলপুরে আগমন করেন। ৯. শাহ-হেলিম উদ্দীনের পুত্র দৌলত মালিক, তৎপুত্র সুলতান খা, তৎপুত্র দাউদ খা, তৎপুত্র মিঞা খা, তৎপুত্র কললে ধা, তৎপুত্র মজলিস মেরামত খা, তৎপুত্র বড় খা গং, বড়খার পুত্র আফজল গা, তৎপুত্র মিয়াউদ্দীন, তৎপুত্র নাসির উদ্দীন চৌধুরী ও ইউসুফ, ইহার পুত্র হাজি মাং, তৎপুত্র শেখ বাহাদুর, ৩ৎপুত্র মাং মনসুর, তৎপুএ মাং মক্তহর ও আব্দুল গফুর । তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ মজহরের পুত্র জলাল বকস তৎপুত্র মণ্ডদলখত, তৎপুত্র মাহমুদ পথত চৌধুরী । মাং মনসুলের ১ম পত্র আব্দুল গফুর সিপাহী যুদ্ধের সময় পৰ্ত্তমান ছিলেন, তাহাব পুত্র আলী গওহর, তাহার আলী হাযদর প্রভৃতি ৫ পুত্র, তাহাদের পুত্ৰগণ বৰ্ত্তমান ।