পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধষ্ঠ অধ্যায় : পুনঃ বিবিধ বংশ কথা শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩৩৩ উছব রায় স্ব-অজ্জিত সমস্ত অর্থই ভূসম্পত্তিক্রয়ে ব্যয় করেন; ইহাতেই তাহার বুদ্ধির প্রাখৰ্য্য বুঝিতে পারা যায়; ইহার পৌত্র গোবিন্দচান্দ রায় এক জন প্রবল প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। গোবিন্দচান্দ রায়ের সদ্ব্যয় অনেক ছিল; জলসুখার নরসিংহের আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা তিনিই। ঐ আখড়ার সেবাব্যয় নিৰ্ব্বাহাৰ্থ তিনি বার্ষিক ৪০০ শত টাকার বৃত্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন। খেলারামের বংশকথা খেলারাম রায় মৃতের ব্যবসায়ে ও অধমণদিগকে ঋণদান করিয়া, তাহার আয় দ্বারা প্রভূত ধন অৰ্জ্জন করেন। তিনি সদ্ব্যয়ে মুক্ত হস্ত ছিলেন, এজন্য সকলেই তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিত। তিনি কেবল পরের সাহায্য জন্য কতকগুলি চাকর নিয়োজিত করিয়া রাখিয়াছিলেন । ইহারা পীড়িত ও নিতান্ত দীন ব্যক্তিদিগকে নানাকার্য্যে সহায়তা করিত । তিনি সকলকে বলিয়া দিয়াছিলেন, যে কেহ “দুগ্ধ, ঘৃত বা চিনি চাহিলে অকাতরে দান করিও, কিন্তু তরি তরকারি চাহিলে দিও না।” তাহাব এই বাক্যটি সদুদ্দেশ্য পূর্ণ। অলস ব্যক্তিকে তিনি ভালবাসিতেন না; শাক শজি একটু পরিশ্রমে সকলেই উৎপাদন করিতে পারে; কিন্তু ঘৃত, দুগ্ধ বা চিনি আহরণে সকলে সমর্থ হয় না; দরিদ্রকে তাহাদের দুপ্রাপ্য ঘৃত দুগ্ধাদি চাহিলে দেওয়া উচিত; কিন্তু শাক সজি দিয়া অলস করিয়া তুলা কৰ্ত্তব্য নহে। তাহার পাচ পুত্র হয়, তন্মধ্যে রাজকিশোর রায় পিতার ন্যায় সদ্ব্যয়ী ছিলেন; তিনি বৃন্দাবনে এক কুঞ্জ, কাশীতে এক বাড়ী, ও নবদ্বীপে হরিসভার মন্দির প্রস্তুত করিয়া দিয়াছেন । ঢাকাদক্ষিণের শ্ৰীমহাপ্রভুর বাড়ীতেও তাহার অনেক নিয়মিত ও নিরূপিত দান ছিল। মৃত্যুকালে সদ্বয়ের জন্য তিনি ২৫০০০ সহস্র টাকা উইল করিয়া রাখিয়া যান; এই টাকা মহাভারত পাঠ, ব্রাহ্মণ ভোজন, বৈষ্ণবসেবা ও দরিদ্রকে দানাদিতে ব্যয়িত হইয়াছিল। দোলাগোবিন্দের পুত্র কৃষ্ণগোবিন্দ রায় প্রতাপশালী ব্যক্তি ও সদ্ব্যয়ী ছিলেন ৩ তাহার উন্নত সুপুষ্ট দেহ সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করিত। তিনি যেমন বলশালী ছিলেন, আহারও তদ্রুপ ছিল: পূর্ণকায় একটি অজ-মাংস স্বচ্ছদে একা আহার করিতে পারিতেন। দুর্ভিক্ষে দান, শিক্ষার্থ নিজ ব্যয়ে জলসুখা মধ্য ইংরেজী স্কুল প্রতিষ্ঠা, ব্রাহ্মণ বৈষ্ণবকে দানাদি সৎকার্য্যে তিনি প্রসিদ্ধ হইয়া উঠেন। শ্রীহট্টে যখন লর্ড নর্থব্রুকের শুভাগমন ঘটিয়াছিল, তখন শ্রীহট্টের দরবার সভায় ইনি উপস্থিত হইয়াছিলেন ও চাদার খাতায় সৰ্ব্বোচ্চ দান স্বাক্ষর করিয়াছিলেন। শুধু তাহা নহে, লাট মহোদয়ের সম্মানার্থ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া শহরের দীন দুঃখী ব্যক্তিবর্গকে নববস্ত্র দান করিয়াছিলেন: এই সদনুষ্ঠানের জন্য সকলেই তাহাকে ধন্য ধন্য করিয়াছিল। আসামের চিফ কমিশনার বাহাদুর ৩. রায়দেব বংশ-তালিকা এইঃ খেলারাম রায় | | H– | গৌর রায় দৌলগোবিদ মুলুকচাদ রাজকিশোর ব্রজকিশোর কন্যা | — = | | | নবকিশোর নদীয়াবাসী পদ্মলোচন কৃষ্ণগোবিন্দ চন্দ্রমনিবায সূৰ্য্যমনি রায় | | | .ــــــسـلسسسسسسس পাৰ্ব্বতিচরণ রায় বৈকুণ্ঠনাথ রায় চন্দ্রকুমার রাধাবৰ্মন রায় রাধামাধব --ा প্রভৃতি | - | রায়নবীনচন্দ্র রায় নিখিলচন্দ্র রায় বিচরণ বায় | নন্দলাল রায়