পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায় : পুনঃ বিবিধ বংশ কথা শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ৩৩৭ ধৰ্ম্মাবলম্বিগণ ব্রাহ্মবাদী; প্রতিমা পূজায় তাহদের স্পৃহা নাই; "গুরু সত্য" বলিয়া গুরুকেই প্রত্যক্ষ দেবতাস্বরূপ স্বীকার করেন। ইহারা স্ত্রীত্যাগী, ধৰ্ম্মে তুলসী ও গোময়ের বিশেষত্ব স্বীকৃত হয় না ॥৬ প্রায় চারিশত বৎসর পূৰ্ব্বে বাঘাসুরাবাসী জগন্মোহন নামক এক সিদ্ধপুরুষ এক নূতন সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করেন।৭ জগন্মোহনের গুরু মুরারি রামানন্দী সম্প্রদায়ী একজন শুদ্ধ বৈষ্ণব ছিলেন। জগন্মোহনের প্রচারিত মত অভিনব হইলেও কাজেই এই নূতন ধৰ্ম্ম বৈষ্ণব ধৰ্ম্মাশ্রিত বলিয়া প্রচারিত হয়। জগন্মোহনের মনে যখন পরব্রহ্মের ধ্যান ধারণাই ধর্মের প্রধান অঙ্গ বলিয়া উপলব্ধি হয় ৬. সম্প্রতি ইহার কতক ব্যবহার চলিত হইয়াছে। ৭. লবনীদাস কৃত জগন্মোহন ভাগবতে জগনোহনের জন্মস্থান চন্দ্রদ্বীপ বলিয়া লিখিত আছে। কিন্তু স্মরণাতীতকালে হইতে বাঘাসুরাতে তদ্বংশীয়ের বাস। বাঘাসুবার পূৰ্ব্বনাম চন্দ্রদ্বীপ ছির কি না বিচাৰ্য্য। জগন্মোহন চরিত বর্ণনা করিয়াছে, ইহাই দৃষ্ট হয়। এস্থলে তিনি শ্রীচৈতন্য ভাগবতে অনুকরণে এইগ্ৰন্থ লিখিয়াছেন এবং শ্রীচৈতন্যের জন্মস্থান নবদ্বীপের অনুকরণে জগন্মোহনের জন্মস্থানকে চন্দ্রদ্বীপ লিখিয়াছেন। ইহার একটা কারণও ছিল । বাঘাসুবার অতি সন্নিকটে চন্দ্রপুর বা চান্দপুর নামক তৎকালপ্রসিদ্ধ পল্লীর নামেই তিনি চন্দ্রদ্বীপ নাম ব্যবহার করিয়াছেন দেখা যায়। আবার তিনি জগন্মোহনের পুত্র শ্যাম ও সুদামকে সরাইলবাসী বলিয়াছেন। অতএব তাহার বর্ণিত চন্দ্রদ্বীপ যদি সবাইলের মধ্যে হয়, তাহা হইলেও জগন্মোহনকে শ্রীহট্টবাসী বলা যায় । জগন্মোহনের সময় সরাইল শ্রীহট্টের অন্তর্গত ছিল । ৮. মাছুলিয়া, বিথঙ্গল ও জলসুখা আখড়ার শিষ্য পৰ্য্যায়ঃ ১. মাছুলিয়া, ২. বিথঙ্গল ৩. জলসুখ ৪. ঢাকা জিলা জগন্মোহন গোসাই রামকৃষ্ণ গোসাই শান্ত গোসাই কৃপালুমোহান্ত হইতে * ார কৃপালু মোহান্ত গোপীনাথ ” শান্ত " চৈতন্য " বিষ্ণু " রামকৃষ্ণ " নয়ানচন্দ্র “ আত্মারাম " কৃপালু মোহান্ত নরেন্দ্র মোহান্ত মুক্তারাম ” বাঞ্চিতরাম " রামহরি ” চরণ ঠাকুর গোবিন্দরাম " রাজচন্দ্র " কালিদাস বাবাজী | (বৰ্ত্তমান) রামকৃষ্ণদাস " রাধাচরণ দাস (শিষ্য নহে) | | বৃন্দাবনদাস " চন্দ্রনাথ দাস | মাণিকরামদাস মোহাত্ত শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত(উত্তরাংশ-তৃতীয় ভাগ)-২২