পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩৮ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগ-চতুর্থ খণ্ড এবং তাহা প্রচার করাই কৰ্ত্তব্য বলিয়া বোধ করেন, তখন তিনি মাছুলিয়ার বিজন বনে তপস্যায় নিরত হন। নিৰ্জ্জন বনে বহুদিনের তপঃপ্রভাবে তাহার অলৌকিক শক্তি জনো; কথিত আছে যে ইহা শীঘ্রই দেশে প্রচারিত হইয়া পড়িয়াছিল; সে সংবাদ শ্রবণে সুলতানশীর জনৈক দেশ-পতি তাহার গুণপনা (কেরামত) কতদূর, ইহা পরীক্ষার্থ হিন্দুর অস্পৃশ্য কতকটা গো মাংস, আহাৰ্য্যরূপে তৎকাশে প্রেরণ করেন। ভেদাভেদবুদ্ধি বিরহিত সিদ্ধ মহাত্মা তাহা প্রত্যাখ্যান করিলেন না; কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আবরণ উন্মোচন করিলে দৃষ্ট হইল যে, পত্রটিতে আতপ তণ্ডুল ও চিনি প্রভৃতি রহিয়াছে! অনুচর মুখে এতদৃত্তান্ত শ্রবণে জমিদার সাহেব স্বয়ং তৎসমীপে আগমনপূৰ্ব্বক সেই বনভূমি সাধকে দান করিয়া যান। এই সময়ে রাঢ়িশাল নিবাসী সাহা-বণিক বংশীয় গোবিন্দ দাস তাহার গুণে আকৃষ্ট হইয়া এই স্থানে আগমন করেন ওতদীয় শিষ্যত্ব স্বীকার করেন। গুরু শিষ্য উভয়ের লোকান্তর গমনের পর মাছুলিয়াতে উভয়ের সমাধি হয়।৮ গোবিন্দের শিষ্য শান্ত গোসাই, ইনি জগন্মোহনের পুত্র ছিলেন। ৪র্থ ভাগে জগন্মোহন জীবনীতে ইহাদের প্রসঙ্গও থাকিবে। যে রামকৃষ্ণ গোসাঞি কর্তৃক এই ধৰ্ম্মমত সুপ্রচারিত হয়, যার সাধন স্থলেই বিথঙ্গলের আখড়া সংস্থাপিত, তিনি শান্ত গোসাইর শিষ্য ছিলেন। ইহর জন্মস্থান রিচি; ৪র্থ ভাগে ইহার জীবন-কথাও কথিত হইবে। শান্ত গোসাইর শিষ্য গোপীনাথ জলসুখার আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা। ইনিও সাহা বণিক জাতীয় ও জলসুখা সমাজের লোক ছিলেন।