পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬০ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগ-পঞ্চম খণ্ড মাধব রাম ও শ্রীরাম নামে দুই পুত্র হয়। মাধব রাম একটি দীঘী দিয়াছিলেন, উহা “মাধব রামের তালাব" নামে দাম দলাবৃত অবস্থায় আছে। মাধবের পুত্র মদনরাম, তৎপুত্র মোহন রাম;২ মোহন রামের চারি পুত্র হয়, তাহাদের নাম দুৰ্ল্লভ রাম, রামজীবন, হুলাস রাম ও যোগজীবন। এই ভ্রাতৃচতুষ্টয় দশসনা বন্দোবস্তের সময় নিজ নিজ নামে কিসমত আতুয়াজানের ১নং ২নং ৩নং ও ৪নং তালুক যথাক্রমে বন্দোবস্ত গ্রহণ করেন; হুলাস রাম চৌধুরী বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান উমেদ রাজীব প্রধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন ও দেওয়ান হইতে তিনি অনেক ভূমি দান প্রাপ্ত হন।৩ দেওয়ানের প্রদত্ত ভূমি হইতেই পাইলগাওয়ের জমিদারীর বিস্তৃতি ঘটে। এই বংশীয় কোন কোন ব্যক্তি উপযুক্ত পাত্রে ভূমিদান করিয়া যশ ও পুণ্য অৰ্জ্জন করিয়া গিয়াছেন। পূৰ্ব্বে এই বংশীয়গণ শক্ত ছিলেন, পরে কুরুয়ার জয়গোবিন্দ গোস্বামী হইতে বিষ্ণুমন্ত্রে দীক্ষিত হন; গুরুপুত্র নন্দকিশোর গোস্বামী ও ঠাকুর যুগলের নামে তাঁহাদের প্রদত্ত ভূমি আছে। হুলাসরাম পাইল গাওয়ের স্বগীয় মদন মোহন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন, ১২১৪ বাংলায় তাহার পাকা মন্দির নিৰ্ম্মিত হয়। পূৰ্ব্বোক্ত শ্রীরামের প্রপৌত্রের নাম গোলাবরাম ছিল, ইহার নামে তত্ৰত্য ৪নং তালুকের বন্দোবস্ত হয়। ৬নং তালুকটিও ধরবংশীয় জয়চন্দ্র রায়ের নামে বন্দোবস্ত হইয়াছিল; ইহার পুত্র জয়গোপাল, তৎপুত্র জয়গোবিন্দ সঙ্গীত নিপুণ ও একজন উৎকৃষ্ট চিকিৎসক ছিলেন। ইনি দুলালীর গুপ্তবংশীয় প্রসিদ্ধ তিলকরাম শিরোমণির ভাগিনেয় ও ছাত্র ছিলেন। যোগজীবনের পৌত্র ব্ৰজনাথ চৌধুরী একজন প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন, তিনি জজকোর্টের ওকালতি ব্যবসায়ে অনেক অর্থ উপাৰ্জ্জন করেন, পরে অনারেরি ম্যাজিষ্ট্রেট হইয়াছিলেন। ইহার সুযোগ্য পুত্র শ্রীযত সুখময় চৌধুরীও উক্ত পদারুঢ়। হুলাস রামের প্রপৌত্র শ্ৰীযুত রাসমোহন চৌধুরী মহাশয় এই বিবরণ প্রেরণপূৰ্ব্বক আমাদের সহায়তা করিয়াছেন। কুবাজপুরের চৌধুরী বংশ এই সুপ্রাচীন বংশের আদি পুরুষ হরিহর রায়ের কথা পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। রাজা বিজয়সিংহ যখন হবিবখা কর্তৃক পরাভূত হন, তখন তাহার সম্পত্তির অনেকাংশ হরিহরের ২. মোহনরামের বংশধরবর্গের নামাবলী নিমের তালিকায় দৃষ্ট হইবেঃ মােনাম प्रडिवाभ রামজীবন इलामबान्न त्यागजीवन ਗੋਬ লালৰি ਬੋਰਿਸ਼ विजानावाहन ਬਾਬਿਕ বাজাগলি হলি বামুণ ব্ৰজনাৰ সী কমিশর চৌধুরী রবিন চৌধুরী লির ਗਾਂ ੋ চৌধুরী ও নবীনকিশোর ও কৃষ্ণকুমার “ চৌধুরী প্রভৃতি চৌধুরী ও সুখময় তালিকার লিখিত পরবত্তিগণের পুত্রাদির নাম বাহুল্য ভয়ে লিখিত হইল না, ইহারা সকলেই জীবিত থাকিয়া বংশগৌরব রক্ষা করিতেছেন। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য় ভাঃ ৩য় খঃ ৩য় অধ্যায় “সাধারণ দুটা কথা” ইতি প্রকরণ দ্রষ্টব্য। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য় ভাঃ ৩য় খণ্ডঃ ১ম অধ্যায়ে দ্রষ্টব্য। এই বংশীয়েরা মহারাষ্ট্রদেশীয় ক্ষত্ৰকুলোৎপন্ন বলিয়া আপনাদিগকে বলেন। তাহাদের আদিপুরুষ মহারাষ্ট্রদেশ হইতে প্রথমে লৌহজঙ্গও তৎপরে তথা হইতে কুবাজপুরে আগমন করেন। ইহাদের সম্বন্ধে “দ্বিজ” শব্দের ব্যবহার স্থলে ভ্রমতঃ পূৰ্ব্বাংশে "ব্রাহ্মণ" বলা হইয়াছিল। .