পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান । ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। o Ye X পৃষ্ঠায় লিখিত আছে,—“ফালজোর একটি প্রধান পীঠস্থান। এখানে দেবীর বামজজঘা পতিত হয়, এজন্য ইহাকে বামজজঘা পীঠও বলে । বামজজঘা পীঠের সাধারণ নাম ফালজোরের কালী বাড়ী। তন্ত্রচুড়ামণি মতে—“জয়ন্ত্যাং বামজজ্যা চ জয়ন্তী ক্রমদীশ্বর ।” \ “এখানকার দেবীর নাম জয়ন্তী, ইহারই নামানুসারে এই স্থান জয়ন্তী নামে পরিচিত। এখানকার ভৈরবের নাম ক্রমদীশ্বর। তন্ত্র বলেন— কৈলাসে দশ লক্ষ্যেণ জয়ন্ত্যাং পঞ্চ লক্ষতঃ I’ আর্থাৎ পঞ্চ লক্ষ বার মাত্র মন্ত্র জপেই এখানে সিদ্ধি হয় ।” “এই মহাপীট শ্ৰীহট্ট নগরী হইতে ৩৮ মাইল উত্তরপূৰ্ব্বে পৰ্ব্বত পাদদেশে একখণ্ড সমতল ভূমে, ইষ্টক নির্মিত প্রকাণ্ড এক ভিত্তির মধ্যস্থিত চতুষ্কোণ অগভীর এক গৰ্ত্ত মধ্যে ও একখানি চতুষ্কোণ প্রস্তরোপরি অবস্থিত। ভৈরবও প্রস্তররূপী হইয়া দেবীর সহিত একত্র অবস্থান করিতেছেন। ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত এই স্থানে বহুতর নরবলি হইয়া গিয়াছে। ইংরেজ রাজ এই নৃশংস প্রথা রহিত করিবার জন্য জয়ন্তীয় রাজ্য দখল করিয়া লন। তদবধি নরবলি বন্ধ হইয়াছে।” “দেবীর মন্দিরের পূর্বদিকে একটি অতি প্রাচীন পুষ্করিণী আছে, ইহা প্রায় বুজিয়া গেলেও, জল অতি পরিষ্কার থাকে কম বেশী হয় না ; দেখিলে চমৎকৃত হইতে হয় ।” “জয়ন্তীয়ার স্বাধীনতার সময় রাজ্যোচিত ভাবেই দেবীর সেবা হইত। রাজার বলিতেন ‘সমস্ত জয়ন্তী রাজ্যই মায়ের -র্তাহার জন্য আবার পৃথক দেবোত্তর কি ?’ বস্তুত সেই জন্যই কোনও দেবোত্তর নির্দিষ্ট নাই। জয়ন্তীয়ার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই এই পীঠেরও দুরবস্থা ঘটিয়াছে। এখন দেবী একখানি জীর্ণ কুটীরে বাস করিতেছেন।” এই মহাপীঠের প্রকাশ সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ বলা আবণ্ঠক । ফালজোরের কালী ও নরবলির বিষয় উল্লেখ করা যাইবে । জয়ন্তীয়ায় পীঠ প্রকাশ । so *= কিরূপে কখন হইতে এই ভীষণ প্রথা প্রবর্তিত হয়,