পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

— ভৌগোলিক বৃত্তান্ত । [ ১ম ভাঃ ৯ম অঃ وا ہ ھ পরস্পরে সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না। প্রবাদ এই যে, দেবাসুর যুদ্ধে পরাভূত দেবগণ অসুরভয়ে এই নির্জন গুহায় লুকাইয়া আত্মরক্ষা করেন। পূর্বে এই স্থানে মধ্যে মধ্যে অনেক মহাপুরুষকে বসিয়া সাধন করিতে দেখা যাইত । গুহার দ্বারে বঙ্গাক্ষরে রাজা রামসিংহের নাম খুদিত আছে। গহ্বর হইতে বাহির হইয়া, ইহার নিকটবর্তী "সাতহাতপানি" নামক এক নিৰ্ম্মল সলিলা কুণ্ডে স্নান তপন করিতে হয়। এই কুণ্ডের গভীরতার পরিমাণ হইতেই তাহার নামকরণ হইয়াছে। সাত হাত পানির অল্প উত্তরে “পাতাল গঙ্গায়” ও তৰ্পণাদি করিতে হয়। তাহার উত্তরে একটা অতি বৃহৎ ও উচ্চ পাথর আছে, ঐ পাথরের নীচে একটা গভীর কূপ । একটা গুপ্ত জলস্রোত সে সে শব্দে অদৃষ্ঠ ভাবে ঐ কূপে পতিত হইয়া, একদিক দিয়া বাহির হইয়া যাইতেছে, হইরেই নাম “গুপ্তগঙ্গা ।” এস্থানে স্নান করা যায় না, ঘটদ্বারা জল লইয়া লোকে মাথায় দেয়। শিবের বাড়ীর দক্ষিণে একটা পুষ্করিণী আছে, জয়ন্তীয়ার জনৈক রাজা একরাত্রে ঐ পুষ্করিণী খনন করাইয়া দিয়াছিলেন বলিয়া কথিত আছে । পুকুরের উত্তরে কৃষ্ণপ্রস্তরের একটা প্রকাণ্ড হস্তী রহিয়াছে, ঠিক জীবন্ত বন্য হস্তী জলপান করিতে আসিয়াছে বলিয়াই বোধ হয়। নিম্ন প্রবাহী “ভুবনছড়ার” পশ্চিমাংশে ঐরূপ আর একটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত হস্তীমূৰ্ত্তি আছে। প্রস্তর শিল্পে এক সময় জয়ন্তীয়াবাসীরা বিশেষ উন্নতি করিয়াছিল । শিবের বাড়ীর পথে একটা প্রকাণ্ড প্রস্তরে, বৃহৎকায় একদণ্ড গণেশের এক মূৰ্ত্তি আছে, কিন্তু তাহার কোনরূপ পূজা অৰ্চনা নাই। রূপনাথ শিব: পূজার্থে যাত্রীগণকে অৰ্চনার দ্রব্য ও নিজের পুরোহিত সঙ্গে নিতে হয়। গুহাভ্যন্তরে কোন দেবতার পূজার প্রথা নাই। শিবরাত্র ও বারুণী উপলক্ষে এই স্থানে বহুলোকের সমাগম হয়।

  • ( গ্রীব। পীঠ । ) বিশ্বকোষ ১১শ ভাগ ৪৬৮ পৃষ্ঠায় বিশেষ প্রমাণের সহিত লিখিত হইয়াছে যে, গ্রীবা পীঠ শ্ৰীহট্টে অবস্থিত,—ভৈরবীর নাম মহালক্ষ্মী ও ভৈরব সৰ্ব্বানন্দ।

সাতহাত পানি ও গুপ্ত,গঙ্গা ।