পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান । ] শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । S bo “অদ্বৈত প্রকাশ” গ্রন্থে লিখিত আছে যে একদা রজনীযোগে অদ্বৈত প্রভুর জননী স্বপ্নে দর্শন করেন যে, তিনি নানা তীর্থ জলে স্নান করিতেছেন। প্রভাতে ধৰ্ম্মশীলা নাভাদেবী স্বপ্ন কথা স্মরণ করতঃ ও তীর্থ গমনের বিবিধ অসুবিধার বিষয় চিন্তা করিয়া বিমর্শ ভাবে অবস্থিতি করিতেছিলেন, এমন সময়ে পুত্র অদ্বৈতাচাৰ্য্য তথায় আগমন করতঃ মাতার বৈমর্শের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । জগতে এরূপ দৃষ্টাস্তের অভাব নাই যে, কেহ জন্ম হইতেই অতুল্য প্রতিভা কেহ বা অমানুষিক শারীরিক শক্তি ও কেহ বা দৈববল লইয়া ভূমিষ্ঠ হয়। অদ্বৈতাচাৰ্য্য ঐরূপ এক অদ্ভূত বালক ছিলেন। তিনি মাকে বিষঃ দেখিয়া “পণ ( প্রতিজ্ঞা ) করিলেন যে, এই স্থানেই তাবৎ তীর্থের আবির্ভাব করাইবেন । মনঃশক্তির প্রভাব অসীম, যোগবলের শক্তি অসাধারণ, অদ্বৈতাচাৰ্য্য এই শক্তি বলে তীর্থ সমূহকে আকর্ষণ করতঃ লাউড়ের এক ক্ষুদ্র শৈলের উপরে আনয়ন করিলেন। ঐ শৈল খণ্ডের একটি ঝরণা তীর্থবারি পরিপূরিত হইয় ফর ঝর করিয়া পড়িতে লাগিল। অদ্বৈত জননী তাহাতে স্নান করতঃ পরিতৃপ্ত হইলেন।* প্রায় চারিশত ষষ্টি বর্ষ হইল, “প্ৰভু কহে আজি নিশায় আসিবে সৰ্ব্বতীর্থ ; কালি স্নান করি সিদ্ধ করিহ সৰ্ব্বার্থ। নাভা কহে এই কথা কে করে প্রত্যয় ; প্রভু কহে এই কথা সত্য সত্য হয়। তবে নিশাকালে প্রভু করিয়া মনন, যোগে তীর্থগণে তবে কৈলা আকর্ষণ । যৈছে লৌহগতি অয়স্কান্ত আকর্ষণে । ভৈছে তীর্থগণ আইলা ঈশ্বর স্মরণে। মূৰ্ত্তিমতি শ্ৰীষমুনা গঙ্গা আদি তীর্থ, প্রভুরে পূজিয়া সবে হইলা কৃতাৰ্থ ।" “প্ৰভু কৈল মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী যোগে, সকলে আসিবা পণ কর মোর আগে । তীর্থগণ কহে মোরা সত্য কৈলু গণ,