পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান । ] · শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত। ' לסיכי খাসিয়া সেনাপতি বস্ত পশুবৎ হুঙ্কার করিয়া বীরদাপে সলম্ফে শিবের পার্থে আসিয়া বিষম অস্ত্রাঘাতে শিবের একাংশ ভগ্ন করিয়া দিল, এবং কথিত আছে যে, তন্মুহুর্তে মূচ্ছিত হইয়া ভূপতিত হইল। তাহার সে মূৰ্ছা আর তাঙ্গিল না, সে মৃত্যুমুখে পতিত হইল। রাজা তখন আগমবাগীশের কথা সত্য বলিয়া বুঝিলেন ; বুঝিলেন যে, শিবের স্বইচ্ছাতেই তিনি চলিয়া আসিয়াছেন। রাজা তখন শিবকে স্থানান্তর করার সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিলেন ও আগমবাগীশকেই দেবত্ৰ দিয়া শিবের পূজক নিযুক্ত করিলেন। আগমবাগীশের মহিমায় সকলেই আকৃষ্ট হইল, স্বয়ং রাজপুরোহিত র্তাহার শিষ্য হইলেন, এবং বর্ণফোঁদ ও খরিল পরগণার অধিকাংশ ব্রাহ্মণ আগমবাগীশ বংশের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিল। এই ঘটনা হইতে হাটকেশ্বরের নাম ও মহিমা চতুর্দিকে ঘোষিত হয়। জয়ন্তীয়া রাজ্যের পতনের সহিত হাটকেশ্বরের প্রভাব স্নান হইয়া যাওয়ায় এখন এ স্থানে আর পূর্ববৎ লোক সমাগম ঘটে না। বারুণী উপলক্ষে এস্থানে অস্কাপি একটি মেলা হইয়া থাকে। চুড়খাই পোষ্ট আফিস হইতে এস্থান এক মাইল মাত্র উত্তরে অবস্থিত। শ্ৰীহট্ট সহর হইতে চুড়খাই পৰ্য্যন্তই নৌকা আসিয়া থাকে। ( তুঙ্গেশ্বর মহাদেব । ) তুঙ্গনাথ নামক ভৈরব হইতেই তুঙ্গেশ্বর গ্রামের নাম হইয়াছে বিবেচনা করা অসঙ্গত নহে। একটি শ্লোকে তুঙ্গনাথ শিবের নাম পাওয়া যায়। ৯ খোয়াই নদীর তীরে এই বৃহৎকায় শিব বিরাজিত। সায়েস্থাগঞ্জ রেইলওয়ে ষ্টেশন হইতে এখানে যাওয়ার সুবিধা আছে। কথিত হয় যে, এ স্থানে দেবীর নয়টি অঙ্গুরীয়ক পতিত হইয়াছিল, এবং এ জন্য তুঙ্গেশ্বর নবরত্ন উপপীঠ বলিয়া খ্যাত । প্রায় আটশত বৎসর অতীত হইল, শম্ভুনাথ বাচস্পতি রাঢ় দেশ হইতে “ক্ষমায়াঃ পূৰ্ব্বভাগেচ তুঙ্গনাথম্ভ ভৈরবঃ। নবরত্ন মহাপীঠ তুঙ্গনাথশ রক্ষক।”—তীর্থচিন্তামণি ,