পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

— ভৌগোলিক বৃত্তান্ত। | ১ম ভাঃ ৯ম অঃ אלאל সপরিবারে তরফে আসিয়া বাস করেন। তাহার একটি ੰ | কপিলা গাভী ছিল, ঐ গাভী প্রতিরাত্র বৎসকে ছফ্টপান করাইয়া থাকে বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল । কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেল যে, গাভী কোথায় চলিয়া যায় । একদা প্রহরায় থাকিয়া দেখা গেল যে, উষাকালে গাভী সবলে বন্ধনমুক্ত করতঃ অল্পদুরবর্তী এক মৃত্তিক স্তপের উপর দাড়াইয়া দুগ্ধধারা বর্ষণ করিতেছে। ইহার কারণ কি, কিছুই বুঝা গেল না। ভয়ে কেহ সেস্থান খনন করিতে ইচ্ছা করিলেন না। সেই রাত্রে বাচস্পতি স্বপ্নে তথায় নবরত্ন পীঠের অবস্থান জানিতে পারিলেন। পীঠ স্থানান্তরিত করিয়া প্রতিষ্ঠা করিতে তৎপ্রতি আদেশ হয়। তদনুসারে পরদিন তিনি পুত্ৰগণ ও প্রতিবাসীগণ লইয়া সেইস্থানে উপস্থিত হন ও সেই স্থান খনন করায় ভুনিয়ে একখানা প্রস্তর দৃষ্ট হইল, ইহাতে এক ইঞ্চি দেড় ইঞ্চি প্রমাণ আটটি ও মধ্যস্থলে প্রায় দুই ইঞ্চি পরিমাণ একটি, এই নয়টি গৰ্ত্ত দৃষ্ট হইল এবং মধ্যস্থ গর্তে অঙ্গুষ্ঠ পরিমিত এক শিবলিঙ্গ পাওয়া গেল। স্বয়ং বাচস্পতি শিব লইলেন, পুত্র ও ভৃত্যগণ গৰ্ত্তযুক্ত প্রস্তর বহন করিয়া চলিল। বাচস্পতি সেই শিব ও প্রস্তরপীঠ তথা হইতে বহন করিয়া আনিয়া, নিজ বাটীর সন্নিকটে স্থাপন করেন। তুঙ্গনাথ বৰ্দ্ধনশীল অনাদি লিঙ্গ, ব্ৰাহ্মণ শূদ্র সকলেই তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে। বাচস্পতির সপ্তম পুরুষে যদ্বমাণিক্য ব্ৰহ্মচারীর জন্ম হয়। ইহার সময়ে দেবদ্বেষী যবনের মুদগরাঘাতে তুঙ্গনাথের দক্ষিণ পার্শ্ব ভগ্ন হইয়া যায়। এই যবন কালাপাহাড় বলিয়া উক্ত আছে। এই সময়ে উনকোটি তীর্থেরও দুরবস্থা ঘটে। শিব যবনস্পৃষ্ট ও বিভগ্ন হইলে ব্রহ্মচারী স্বপ্নে আদিষ্ট হইলেন যে যবনস্পৃষ্ট বলিয়া নিয়মিত পূজায় যেন অবহেলা না হয় ; তাহার ক্ষোভ করিবার কারণ নাই, শিবের ভগ্নাংশ পূর্ণ হইয়া যাইবে । এইরূপ স্বপ্নাদেশ হওয়ায় শিবের পূজা বন্ধ হয় নাই এবং শিব ক্রমশঃ বৰ্দ্ধিত হওয়ায় ভগ্ন স্থানও পূর্ণ হইয়। আসিতেছে। է: মকুন্তদেহে যেমন শুষ্ক ব্ৰণ হয়, শিবের দক্ষিণ পার্থে তদ্রুপ কয়েকটি স্বেত কালাপাহাড়ের অত্যাচার |